০৪:৪২ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৫
যুদ্ধ ও নিষেধাজ্ঞায় রাশিয়ার তেল উৎপাদন হুমকিতে: অর্থনীতির সামনে বড় ঝুঁকি যুক্তরাষ্ট্র-চীন উত্তেজনা তীব্রতর: হংকং কনসুল জেনারেলকে ঘিরে নতুন দ্বন্দ্ব যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক নীতি বদলাচ্ছে বিশ্ব বাণিজ্যের মানচিত্র চীনের ফিউশন শক্তি অভিযাত্রায় বিশাল সাফল্য স্বাস্থ্যসেবায় সংকট: প্রায় ৩ লাখ মানুষের জন্য বিয়ানীবাজারে একজন মাত্র ডাক্তার এআই ডেটা-সেন্টার বুম: একটি অস্বচ্ছ অর্থনীতি ইথিওপিয়ার জন্য ইরিত্রিয়ার হুমকি মাদাগাস্কারে প্রতিবাদ: সরকারের বিরুদ্ধে অসন্তোষ এবং দারিদ্র্য-দুর্নীতির প্রতিবাদ জাপানের নির্বাচন: শাসক দলটির নেতৃত্ব নির্বাচন শেষের পথে মন্টানায় শিকারীদের জন্য নতুন নিয়ম

বাংলাদেশের রোমাঞ্চকর জয়: শারজাহতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টি

সহজ জয় প্রায় হাতছাড়া

বাংলাদেশ বৃহস্পতিবার রাতে শারজাহতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে রোমাঞ্চকর এক জয় তুলে নেয়। ১৫২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা দারুণ হলেও মাঝপথে ভরাডুবিতে ম্যাচ হাতছাড়া হওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। শেষ দিকে নুরুল হাসান আর রিশাদ হোসেনের ঝড়ো ব্যাটিং দলকে রক্ষা করে।


দুর্দান্ত সূচনা

পারভেজ হোসেন ইমন ও তানজিদ হাসান ইনিংসের শুরুতে স্বপ্নের মতো ব্যাটিং করেন। দুজনই একই সংখ্যক বলে অর্ধশতক হাঁকান— ইমন ৩৭ বলে ৫৪, তানজিদ ৩৭ বলেই ৫১ রান করেন। ১২ ওভারের মধ্যেই আফগানিস্তানকে চাপে ফেলে বাংলাদেশ ১০৯ রান তুলে নেয় কোনো উইকেট না হারিয়ে।


হঠাৎ ধস

কিন্তু এখানেই খেলার মোড় ঘুরে যায়। রশিদ খান বরাবরের মতোই বিধ্বংসী হয়ে ওঠেন। কয়েক ওভারের মধ্যে একাই চার উইকেট তুলে নেন তিনি। বাংলাদেশের রান ১০৯/০ থেকে মুহূর্তে নেমে আসে ১১৮/৬ এ। হঠাৎ করেই সহজ ম্যাচটি কঠিন হয়ে যায়, আর শারজাহর দর্শকরা প্রাণ ফিরে পান।


শেষ দিকে নুরুল-রিশাদের ভরসা

তবে আফগান বোলাররা শেষ পর্যন্ত কাজটা শেষ করতে পারেননি। ১৮তম ওভারে নুরুল হাসান দুটি ছক্কা হাঁকিয়ে চাপ কমান। তিনি ১৩ বলে অপরাজিত ২৩ রান করেন। পাশে রিশাদ হোসেন ছিলেন ১৪ রানে অপরাজিত। তাদের জুটিতে বাংলাদেশ ৮ বল হাতে রেখে ১৫৩/৬ এ জয় নিশ্চিত করে।


আফগানিস্তানের ব্যাটিং ব্যর্থতা

এর আগে ব্যাট করতে নেমে আফগানিস্তান নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৫১/৯ রান তোলে। রহমানউল্লাহ গুরবাজ ৪০ রানে ভালো শুরু দিলেও নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারানোয় তারা বড় সংগ্রহ গড়তে পারেনি। মোহাম্মদ নবী করেন ৩৮ রান। বাংলাদেশের তানজিম সাকিব ও রিশাদ দুটি করে উইকেট নেন। মুস্তাফিজুর রহমান ও নাসুম আহমেদও নিয়ন্ত্রিত বোলিং করেন।


ম্যাচ-পরবর্তী প্রতিক্রিয়া

রশিদ খান পরে স্বীকার করেন, তারা ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছিলেন। তার ভাষায়,
“টি-টোয়েন্টিতে একবার গতি হারালে ফেরানো কঠিন। আমরা উইকেটগুলো খুব সহজে বিলিয়ে দিয়েছি। আবার বোলিংয়েও প্রথম ১০ ওভারে স্টাম্পে যথেষ্ট বল রাখতে পারিনি।”

বাংলাদেশ অধিনায়ক শান্ত বলেন,
“শুরুরটা দুর্দান্ত ছিল, কিন্তু এমন ধস চিন্তার বিষয়। ক্রিকেট এমনই খেলা—কখন কী হয় বলা যায় না। শেষটা দারুণভাবে সামলেছে নুরুল আর রিশাদ।”

ম্যাচসেরা ইমন জানান,
“আমি শুধু নিজের মতো খেলতে চেয়েছি, শুরুতে চাপ দিতে চেয়েছি। আমরা যেভাবে শুরু করেছিলাম, সেটাই চেয়েছিলাম। মাঝপথে ভয় ছিল, কিন্তু শেষমেশ জয়টাই বড়।”


সামনে কী

দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি আগামী শনিবার, একই ভেন্যু শারজাহতে অনুষ্ঠিত হবে।

জনপ্রিয় সংবাদ

যুদ্ধ ও নিষেধাজ্ঞায় রাশিয়ার তেল উৎপাদন হুমকিতে: অর্থনীতির সামনে বড় ঝুঁকি

বাংলাদেশের রোমাঞ্চকর জয়: শারজাহতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টি

১২:১০:২০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ অক্টোবর ২০২৫

সহজ জয় প্রায় হাতছাড়া

বাংলাদেশ বৃহস্পতিবার রাতে শারজাহতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে রোমাঞ্চকর এক জয় তুলে নেয়। ১৫২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা দারুণ হলেও মাঝপথে ভরাডুবিতে ম্যাচ হাতছাড়া হওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। শেষ দিকে নুরুল হাসান আর রিশাদ হোসেনের ঝড়ো ব্যাটিং দলকে রক্ষা করে।


দুর্দান্ত সূচনা

পারভেজ হোসেন ইমন ও তানজিদ হাসান ইনিংসের শুরুতে স্বপ্নের মতো ব্যাটিং করেন। দুজনই একই সংখ্যক বলে অর্ধশতক হাঁকান— ইমন ৩৭ বলে ৫৪, তানজিদ ৩৭ বলেই ৫১ রান করেন। ১২ ওভারের মধ্যেই আফগানিস্তানকে চাপে ফেলে বাংলাদেশ ১০৯ রান তুলে নেয় কোনো উইকেট না হারিয়ে।


হঠাৎ ধস

কিন্তু এখানেই খেলার মোড় ঘুরে যায়। রশিদ খান বরাবরের মতোই বিধ্বংসী হয়ে ওঠেন। কয়েক ওভারের মধ্যে একাই চার উইকেট তুলে নেন তিনি। বাংলাদেশের রান ১০৯/০ থেকে মুহূর্তে নেমে আসে ১১৮/৬ এ। হঠাৎ করেই সহজ ম্যাচটি কঠিন হয়ে যায়, আর শারজাহর দর্শকরা প্রাণ ফিরে পান।


শেষ দিকে নুরুল-রিশাদের ভরসা

তবে আফগান বোলাররা শেষ পর্যন্ত কাজটা শেষ করতে পারেননি। ১৮তম ওভারে নুরুল হাসান দুটি ছক্কা হাঁকিয়ে চাপ কমান। তিনি ১৩ বলে অপরাজিত ২৩ রান করেন। পাশে রিশাদ হোসেন ছিলেন ১৪ রানে অপরাজিত। তাদের জুটিতে বাংলাদেশ ৮ বল হাতে রেখে ১৫৩/৬ এ জয় নিশ্চিত করে।


আফগানিস্তানের ব্যাটিং ব্যর্থতা

এর আগে ব্যাট করতে নেমে আফগানিস্তান নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৫১/৯ রান তোলে। রহমানউল্লাহ গুরবাজ ৪০ রানে ভালো শুরু দিলেও নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারানোয় তারা বড় সংগ্রহ গড়তে পারেনি। মোহাম্মদ নবী করেন ৩৮ রান। বাংলাদেশের তানজিম সাকিব ও রিশাদ দুটি করে উইকেট নেন। মুস্তাফিজুর রহমান ও নাসুম আহমেদও নিয়ন্ত্রিত বোলিং করেন।


ম্যাচ-পরবর্তী প্রতিক্রিয়া

রশিদ খান পরে স্বীকার করেন, তারা ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছিলেন। তার ভাষায়,
“টি-টোয়েন্টিতে একবার গতি হারালে ফেরানো কঠিন। আমরা উইকেটগুলো খুব সহজে বিলিয়ে দিয়েছি। আবার বোলিংয়েও প্রথম ১০ ওভারে স্টাম্পে যথেষ্ট বল রাখতে পারিনি।”

বাংলাদেশ অধিনায়ক শান্ত বলেন,
“শুরুরটা দুর্দান্ত ছিল, কিন্তু এমন ধস চিন্তার বিষয়। ক্রিকেট এমনই খেলা—কখন কী হয় বলা যায় না। শেষটা দারুণভাবে সামলেছে নুরুল আর রিশাদ।”

ম্যাচসেরা ইমন জানান,
“আমি শুধু নিজের মতো খেলতে চেয়েছি, শুরুতে চাপ দিতে চেয়েছি। আমরা যেভাবে শুরু করেছিলাম, সেটাই চেয়েছিলাম। মাঝপথে ভয় ছিল, কিন্তু শেষমেশ জয়টাই বড়।”


সামনে কী

দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি আগামী শনিবার, একই ভেন্যু শারজাহতে অনুষ্ঠিত হবে।