শিক্ষকদের প্রতি সম্মান ও ন্যায্য সুযোগের আহ্বান
বিশ্ব শিক্ষক দিবস উপলক্ষে দেশের কিন্ডারগার্টেন শিক্ষকরা তাদের পেশাগত মর্যাদা, আর্থিক নিরাপত্তা ও ন্যায্য স্বীকৃতির দাবিতে সরকারের কাছে চার দফা দাবি উত্থাপন করেছেন।
রোববার সকালে, জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানায় বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন অ্যাসোসিয়েশন।
সংবাদ সম্মেলনে নেতৃত্ব
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি মিসেস মনোয়ারা ভূঁইয়া, আর লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মহাসচিব মো. মিজানুর রহমান।
এ সময় সহ-সভাপতি ডা. আব্দুল মাজেদ, জেসমিন নাহার, যুগ্ম মহাসচিব মো. ফারুক হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক হামিদুর রহমান, শিক্ষা সম্পাদক আব্দুল আলিম এবং অর্থ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম অনিক সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
চার দফা দাবি
১. শিক্ষক ও শিক্ষিকাদের ন্যূনতম ভাতা প্রদানের ব্যবস্থা করা।
২. বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের জন্য নিয়মিত প্রশিক্ষণের সুযোগ সৃষ্টি করা।
৩. মাধ্যমিক ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মতো বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকাদেরও জাতীয় শ্রেষ্ঠ শিক্ষক পুরস্কার প্রদান করা।
৪. শিক্ষানীতি বাস্তবায়ন কমিটিতে বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রতিনিধি অন্তর্ভুক্ত করা।
শিক্ষকের ভূমিকা: জাতি গঠনের মূল কারিগর
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, শিক্ষকের দায়িত্ব কেবল পাঠদানেই সীমিত নয়; তাঁরা সমাজ ও জাতি গঠনের মূল কারিগর। শিক্ষকেরা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের পথপ্রদর্শক এবং মানবিক মূল্যবোধ ও জ্ঞানের আলোকবর্তিকা।
বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন অ্যাসোসিয়েশনের মতে, প্রাথমিক শিক্ষা হলো জাতীয় উন্নয়নের ভিত্তি। শিশুর হৃদয়ে যখন ভালোবাসা, শৃঙ্খলা, নৈতিকতা ও জ্ঞানচর্চার বীজ বপন করা হয়, তখন সেই শিশু ভবিষ্যতে একজন দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে সমাজ ও রাষ্ট্রের উন্নয়নে ভূমিকা রাখে। আর এই প্রক্রিয়ার নেতৃত্ব দেন শিক্ষক।
সীমাবদ্ধতার মধ্যেও নিবেদিত শিক্ষক সমাজ
বক্তারা বলেন, আধুনিক প্রযুক্তি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কিংবা উন্নত কারিকুলাম থাকলেও শিক্ষকই শিক্ষাব্যবস্থার প্রাণশক্তি। তাঁরা সমাজকে এগিয়ে নিচ্ছেন এবং ভবিষ্যতের জন্য নতুন প্রজন্মকে প্রস্তুত করছেন।
সীমিত সুযোগ ও নানা চ্যালেঞ্জের মধ্যেও কিন্ডারগার্টেন শিক্ষকরা প্রতিদিন অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। তাদের ত্যাগ, ভালোবাসা ও আন্তরিকতার ফলেই কোমলমতি শিক্ষার্থীরা জ্ঞানের আলোয় আলোকিত হচ্ছে।
শিক্ষকদের প্রতি শ্রদ্ধা
সংগঠনের সভাপতি মনোয়ারা ভূঁইয়া বলেন, শিক্ষকরা আমাদের সমাজের আলোকবর্তিকা। তাদের অবদান অমূল্য। আমরা সরকার ও সমাজের সকল স্তরের কাছে শিক্ষকদের প্রতি সম্মান, মর্যাদা ও ন্যায্য সুযোগ নিশ্চিত করার আহ্বান জানাই।