প্রকল্পের সারসংক্ষেপ
গুগল ঘোষণা করেছে যে তারা আগামী বছরের শুরুতে নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে তাদের প্রথম ফাইবার-অপটিক সাবমেরিন কেবল স্থাপন করতে যাচ্ছে। এটি হবে হোনোমোয়ানা (Honomoana) ট্রান্স-প্যাসিফিক কেবল প্রকল্পের একটি সম্প্রসারিত অংশ, যা যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়াকে সংযুক্ত করছে।
২০২৩ সালে হোনোমোয়ানা কেবল প্রকল্প অনুমোদন পায় এবং এক বছর পর গুগল সিদ্ধান্ত নেয় এর একটি শাখা উত্তর অকল্যান্ডের মাধ্যমে নিউজিল্যান্ডে সম্প্রসারণ করার।

ডিজিটাল স্থিতিশীলতায় বড় অগ্রগতি
গুগলের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই নতুন কেবল নিউজিল্যান্ডের ডিজিটাল স্থিতিশীলতা, ডেটা ধারণক্ষমতা এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে যোগাযোগের পরিসরকে ‘উল্লেখযোগ্যভাবে শক্তিশালী করবে।’
এর আগে নিউজিল্যান্ড দীর্ঘদিন ধরে আন্তর্জাতিক যোগাযোগের জন্য মূলত ‘সাউদার্ন ক্রস কেবল নেটওয়ার্ক’-এর ওপর নির্ভরশীল ছিল, যার মালিকানার একটি অংশ ছিল টেলিকম (বর্তমান স্পার্ক)-এর হাতে।
২০১৮ সালে হাওয়াইকি কেবল (Hawaiki Cable) চালুর মাধ্যমে সেই একচেটিয়া অবস্থার অবসান ঘটে। পরবর্তীতে সাউদার্ন ক্রস কনসোর্টিয়াম আরেকটি কেবল স্থাপন করে, যার নাম ‘নেক্সট’। এর ফলে নিউজিল্যান্ডের আন্তর্জাতিক যোগাযোগ সক্ষমতা দ্বিগুণ হয়।

দক্ষিণ দ্বীপে নতুন সংযোগ পরিকল্পনা
২০২৪ সালে স্থানীয় টেলিকম প্রতিষ্ঠান কোরাস (Chorus) এবং সিঙ্গাপুরভিত্তিক কোম্পানি ডেটাগ্রিড (Datagrid) ঘোষণা দেয় যে তারা নিউজিল্যান্ডের দক্ষিণ দ্বীপকে সরাসরি সংযুক্ত করবে এমন একটি নতুন সাবমেরিন কেবল স্থাপন করবে।
তাদের প্রস্তাবিত ‘তাসমান রিং নেটওয়ার্ক’-এ ইনভারকারগিল শহর থেকে অস্ট্রেলিয়ার সিডনি ও মেলবোর্ন পর্যন্ত সংযোগ স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে ডেটাগ্রিড দক্ষিণ দ্বীপে ঠান্ডা আবহাওয়া কাজে লাগিয়ে ডেটা সেন্টার শিল্প গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ করছে।
সম্ভাব্য প্রভাব
এই নতুন কেবল স্থাপনের মাধ্যমে নিউজিল্যান্ড শুধু ডেটা সংযোগে নয়, বরং আঞ্চলিক অর্থনীতিতেও নতুন সুযোগ পাবে। ডিজিটাল অবকাঠামো শক্তিশালী হলে আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ, ক্লাউড কম্পিউটিং এবং প্রযুক্তি-নির্ভর শিল্পে প্রবৃদ্ধি বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সারাক্ষণ রিপোর্ট 



















