ভাগফলগুলিকে ক্রমান্বয়ে একটির উপর আর একটি করিয়া যতক্ষণ না সমান হয়
উনাগ্রচ্ছেদভাজিতে শেষম, উনাগ্রের যাহা ছেদ তাহা দ্বারা বিভক্ত হইলে ‘শেষ’ পাওয়া যাইবে। অর্থাৎ উনাগ্রচ্ছেদ দ্বারা পূর্বরূপ গণিত কর্ম নিষ্পন্ন রাশি দ্বারা ভাগ করিলে যাহা অবশিষ্ট থাকিবে তাহাই ‘শেষ’ বলিয়া গৃহীত হইবে।
অধিকাগ্রচ্ছেদগুণম্-অর্থাৎ অধিকাগ্রছেদদ্বারা গুণিত, দ্বিচ্ছেদাগ্রম্ অর্থাৎ দুইটি ছেদক সংখ্যাকেই ‘অগ্র’ বলা হইয়াছে। অগ্র শব্দের অর্থই সংখ্যা।
অধিকাগ্রযুতম্ অর্থাৎ অধিকাগ্র (সংখ্যা) এর সহিত যুক্ত। এইরূপ বলা হইয়াছে যে উনাগ্র (সংখ্যা) ছেদ দ্বারা বিভক্ত হইলে যে ‘শেষ’ থাকে তাহাকে উনাগ্র (সংখ্যা) ছেদ সংখ্যাদ্বারা গুণ করিয়া গুণফলে অধিকাগ্র যোগ করিলে উহা ছেদ রাশিদ্বয়ের ভাজ্য রাশি হয়।
সূর্যদেব যজ্জার ঢাকা: অগ্রং শেষঃ। যেন ভাগহারেণ রাশৌ হৃতে শেষোহধিকসংখ্যঃ সৌংধিকাগ্রভাগহারঃ। যেন হৃতে পূর্বম্মাদ হীনসংখ্যঃ শেষঃস উনাগ্রভাগহারঃ। তমধিকশেষ ভাগহারম্নশেষভাগহারেণ ভজেত,। লতেন নাস্তি প্রয়োজনম্। শেষপরস্পরভক্তং ভাজ্য ভাজকশেযয়োঃ স্বরূপম্ অন্যেন্যভক্তং শ্যাত, যাবন্ধরভাজ্যয়োরল্পতা। লব্ধানিফল্লাহ্যপর্যধোভাবেন স্থাপিতানি সমানি চ ভবন্তি তাবদন্যোক্সং ভজেদিত্যর্থঃ। ততো ভাজ্য শেষং মতিগুণম্ অগ্রান্তরে ক্ষিপ্তং চ কার্যম্। কথময়ং ভাজ্যরাশিঃ কেন গুণিতঃ অগ্রয়োঃ শেষয়োবন্তরেণ সংযুতশ্চ ভাগহারশেষেণ শুধ্যতীতি স্ববুদ্ধয়া গুণকারং পরিকল্প, ফলানামধঃ স্থাপয়েত,।
তেন চ ভাজ্যং গুণয়িত্বা ক্ষেপং সংযোজ্য তদধস্বভাজকেন হত্বা লব্ধং ফলং মতিসং জিতাদধঃ স্বাপয়েত। অথ উপরি গুণিতমন্ত্যযুক্ ততো মত্যা স্বোপরিস্থং গুণয়িত্বা স্বাধঃস্থং ফলং প্রক্ষিপ্য তন্নাশয়েত। শিষ্টপদানাম্পান্ত্যেন স্বোপরিস্থং গুণয়িত্বা মতি সংজ্ঞক অন্ত্যং প্রক্ষিপ্য নাশয়েত। এবং তাবত কুর্যাত, যাবদ দ্বারেব রাশী খ্যাতাম্।
উনাগ্রচ্ছেদভাজিতে শেষ মুপরিম্ভরাশিম ‘উনাগ্রচ্ছেদেন উনশেষেণ ভাগহারেণ বিভাজ্য যদ্দিষ্টং তদধিকাগ্রচ্ছেদগুণম্, অধিকশেষেণ গুণিতম্ অধিকাগ্রযুতং দ্বিচ্ছেদাগ্রং ভবতি। দ্বিয়োশ্চেদয়োঃ ভাজ্যরাপির্ভবতীত্যর্থঃ
অনুবাদ-অগ্র অর্থাৎ শেষ। যে ভাগহার দ্বারা রাশিটিকে ভাগ করিলে শেষটির সংখ্যা অধিক হয় সেইটির অধিকাগ্রভাগহার; যাহা দ্বারা ভাগ করিলে শেষটি পূর্বতন সংখ্যা হইতে অল্প হইবে তাহাই উনাগ্রভাগহার, উক্ত অধিকাগ্রভাগকে উনাগ্রভাগহার দ্বারা ভাগ করিবে। ভাগফলের প্রয়োজন নাই। শেষ পরস্পর ভক্তং অর্থাৎ ভাজ্য ভাজকের অবশিষ্ট সংখ্যা দুইটির একটিকে অপরটির দ্বারা ততক্ষণ ভাগ করিবে যতক্ষণ না ভাজ্য ও ভাজকের অল্পতা হয়। অর্থাৎ ভাগফলগুলিকে ক্রমান্বয়ে একটির উপর আর একটি করিয়া যতক্ষণ না সমান হয় ততক্ষণ পর্যন্ত ভাগ করিয়া চলিবে। তাহার পর মতি গুণিত ভাজ্যশেষকে অগ্রান্তরে ‘ক্ষেপ’ রূপে ব্যবহার করিবে।
(চলবে)