০৫:৪১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫
সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বাড়ায় উপকূলীয় শহরের নগর পরিকল্পনায় বড় পরিবর্তন এশিয়ায় উন্নত চিপ উৎপাদন বাড়ায় বৈশ্বিক সেমিকন্ডাক্টর সরবরাহে পরিবর্তন গাজা যুদ্ধবিরতি আলোচনায় অচলাবস্থা, কূটনৈতিক তৎপরতা জোরদার বক্স অফিসে অসম পুনরুদ্ধারের মধ্যে পরিচিত ফ্র্যাঞ্চাইজির ওপর ভর করছে হলিউড মধ্য এশিয়ায় বিরল স্নো লেপার্ড শাবকের দেখা, সংরক্ষণ প্রচেষ্টায় আশার আলো পরিষ্কার জ্বালানির প্রবৃদ্ধিতে বৈশ্বিক নিঃসরণ স্থিতিশীল, তবে চ্যালেঞ্জ রয়ে গেছে বিশ্বজুড়ে এআই ব্যবহারের গতি বাড়ায় নতুন নিরাপত্তা স্তর ঘোষণা ওপেনএআইয়ের শীতের শুরুতে যুদ্ধের চাপ বাড়াচ্ছে ইউক্রেন, দীর্ঘ সংঘাতের ইঙ্গিত মস্কোর কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে নতুন কড়াকড়ি, চাপের মুখে বড় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান গাজায় সাময়িক যুদ্ধবিরতির চাপ বাড়ছে,মানবিক সহায়তা নিয়ে উদ্বেগ

নেপালের সাবেক প্রধানমন্ত্রী প্রচণ্ডের প্রশ্ন: ‘সরকারি সচিবালয় রক্ষায় সেনাবাহিনী ব্যর্থ কেন?’

সেনা হেফাজত থেকে মুক্তির পর প্রচণ্ডের বক্তব্য

নেপালের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও সিপিএন–মাওবাদী কেন্দ্র (সিপিএন–এমসি)-এর নেতা পুষ্পকমল দাহাল প্রচণ্ড সেনাবাহিনীর ভূমিকা নিয়ে তীব্র প্রশ্ন তুলেছেন। শুক্রবার গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপচারিতায় তিনি বলেন, “সরকারি সচিবালয় ও রাষ্ট্রীয় সম্পদগুলো সুরক্ষিত রাখা সেনাবাহিনীর দায়িত্ব ছিল, কিন্তু তারা তা করতে ব্যর্থ হয়েছে।”

তিনি আরও বলেন, “আমি সেনাবাহিনীর কাছে কৃতজ্ঞ যে তারা আমাদের তিন প্রধান রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতাদের নিরাপত্তা দিয়েছে। কিন্তু একই সঙ্গে প্রশ্ন তোলার অধিকারও আমার আছে—কেন সরকারি ভবনগুলো রক্ষা করা গেল না?”


সেনাবাহিনীর দ্রুত প্রতিক্রিয়া

প্রচণ্ডের এই বক্তব্যের জবাবে নেপাল সেনা সদর দপ্তর একটি বিবৃতি প্রকাশ করে জানায়, তারা সমালোচনাগুলো নিরপেক্ষভাবে মূল্যায়ন করছে এবং যথাসময়ে প্রয়োজনীয় জবাব দেবে। সেনাবাহিনী বলেছে, “আমরা দায়িত্বশীলভাবে পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করছি এবং রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতা রক্ষায় অঙ্গীকারবদ্ধ।”


প্রেক্ষাপট: তরুণ প্রজন্মের আন্দোলন ও রাজনৈতিক পরিবর্তন

গত ৭ ও ৮ সেপ্টেম্বর নেপালে জেনারেশন–জেড (জেন জেড) নেতৃত্বাধীন দুর্নীতি বিরোধী আন্দোলন হঠাৎ সহিংস রূপ নেয়। এই আন্দোলনে কিছু অপরাধী গোষ্ঠী ও প্রধান রাজনৈতিক দলের কর্মীরা অনুপ্রবেশ করে। এর প্রেক্ষিতে সেনাবাহিনী কয়েকজন শীর্ষ রাজনীতিককে “সুরক্ষামূলক হেফাজতে” নেয়, যাতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।

এই প্রতিবাদের সূচনা হয়েছিল তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী কে.পি. শর্মা ওলির সরকারের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আরোপিত নিষেধাজ্ঞা ও দুর্নীতির অভিযোগ ঘিরে। ব্যাপক বিক্ষোভ ও রাজনৈতিক চাপে পড়ে ওলি শেষ পর্যন্ত পদত্যাগ করেন। পরে প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি সুশীলা কার্কি নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।


রাজনৈতিক বিশ্লেষণ: সেনাবাহিনীর ভূমিকা নিয়ে নতুন বিতর্ক

প্রচণ্ডের বক্তব্য নেপালের রাজনীতিতে নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, সেনাবাহিনীর ভূমিকা “রক্ষাকারী না নিয়ন্ত্রণকারী”—এই প্রশ্ন এখন জনমতের কেন্দ্রে। অনেকে বলছেন, সাম্প্রতিক রাজনৈতিক অস্থিরতা নেপালের গণতান্ত্রিক কাঠামোর জন্য একটি সতর্কবার্তা।


প্রচণ্ডের এই প্রশ্ন ও সেনাবাহিনীর প্রতিক্রিয়া নেপালে নতুন রাজনৈতিক আলোচনার সূচনা করেছে। দুর্নীতি ও সামাজিক নিয়ন্ত্রণবিষয়ক বিক্ষোভের পটভূমিতে সেনাবাহিনীর ভূমিকা নিয়ে এই বিতর্ক নেপালের ভবিষ্যৎ রাজনীতির গতিপথ নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।


#নেপাল #প্রচণ্ড #সেনাবাহিনী #রাজনীতি #বিক্ষোভ #সারাক্ষণ_রিপোর্ট

জনপ্রিয় সংবাদ

সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বাড়ায় উপকূলীয় শহরের নগর পরিকল্পনায় বড় পরিবর্তন

নেপালের সাবেক প্রধানমন্ত্রী প্রচণ্ডের প্রশ্ন: ‘সরকারি সচিবালয় রক্ষায় সেনাবাহিনী ব্যর্থ কেন?’

১২:২৬:২৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৫

সেনা হেফাজত থেকে মুক্তির পর প্রচণ্ডের বক্তব্য

নেপালের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও সিপিএন–মাওবাদী কেন্দ্র (সিপিএন–এমসি)-এর নেতা পুষ্পকমল দাহাল প্রচণ্ড সেনাবাহিনীর ভূমিকা নিয়ে তীব্র প্রশ্ন তুলেছেন। শুক্রবার গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপচারিতায় তিনি বলেন, “সরকারি সচিবালয় ও রাষ্ট্রীয় সম্পদগুলো সুরক্ষিত রাখা সেনাবাহিনীর দায়িত্ব ছিল, কিন্তু তারা তা করতে ব্যর্থ হয়েছে।”

তিনি আরও বলেন, “আমি সেনাবাহিনীর কাছে কৃতজ্ঞ যে তারা আমাদের তিন প্রধান রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতাদের নিরাপত্তা দিয়েছে। কিন্তু একই সঙ্গে প্রশ্ন তোলার অধিকারও আমার আছে—কেন সরকারি ভবনগুলো রক্ষা করা গেল না?”


সেনাবাহিনীর দ্রুত প্রতিক্রিয়া

প্রচণ্ডের এই বক্তব্যের জবাবে নেপাল সেনা সদর দপ্তর একটি বিবৃতি প্রকাশ করে জানায়, তারা সমালোচনাগুলো নিরপেক্ষভাবে মূল্যায়ন করছে এবং যথাসময়ে প্রয়োজনীয় জবাব দেবে। সেনাবাহিনী বলেছে, “আমরা দায়িত্বশীলভাবে পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করছি এবং রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতা রক্ষায় অঙ্গীকারবদ্ধ।”


প্রেক্ষাপট: তরুণ প্রজন্মের আন্দোলন ও রাজনৈতিক পরিবর্তন

গত ৭ ও ৮ সেপ্টেম্বর নেপালে জেনারেশন–জেড (জেন জেড) নেতৃত্বাধীন দুর্নীতি বিরোধী আন্দোলন হঠাৎ সহিংস রূপ নেয়। এই আন্দোলনে কিছু অপরাধী গোষ্ঠী ও প্রধান রাজনৈতিক দলের কর্মীরা অনুপ্রবেশ করে। এর প্রেক্ষিতে সেনাবাহিনী কয়েকজন শীর্ষ রাজনীতিককে “সুরক্ষামূলক হেফাজতে” নেয়, যাতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।

এই প্রতিবাদের সূচনা হয়েছিল তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী কে.পি. শর্মা ওলির সরকারের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আরোপিত নিষেধাজ্ঞা ও দুর্নীতির অভিযোগ ঘিরে। ব্যাপক বিক্ষোভ ও রাজনৈতিক চাপে পড়ে ওলি শেষ পর্যন্ত পদত্যাগ করেন। পরে প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি সুশীলা কার্কি নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।


রাজনৈতিক বিশ্লেষণ: সেনাবাহিনীর ভূমিকা নিয়ে নতুন বিতর্ক

প্রচণ্ডের বক্তব্য নেপালের রাজনীতিতে নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, সেনাবাহিনীর ভূমিকা “রক্ষাকারী না নিয়ন্ত্রণকারী”—এই প্রশ্ন এখন জনমতের কেন্দ্রে। অনেকে বলছেন, সাম্প্রতিক রাজনৈতিক অস্থিরতা নেপালের গণতান্ত্রিক কাঠামোর জন্য একটি সতর্কবার্তা।


প্রচণ্ডের এই প্রশ্ন ও সেনাবাহিনীর প্রতিক্রিয়া নেপালে নতুন রাজনৈতিক আলোচনার সূচনা করেছে। দুর্নীতি ও সামাজিক নিয়ন্ত্রণবিষয়ক বিক্ষোভের পটভূমিতে সেনাবাহিনীর ভূমিকা নিয়ে এই বিতর্ক নেপালের ভবিষ্যৎ রাজনীতির গতিপথ নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।


#নেপাল #প্রচণ্ড #সেনাবাহিনী #রাজনীতি #বিক্ষোভ #সারাক্ষণ_রিপোর্ট