শৈশব ও প্রারম্ভিক জীবন
বাংলা চলচ্চিত্রের ইতিহাসে যারা দীর্ঘদিন রাজত্ব করেছেন, তাঁদের মধ্যে অন্যতম নাম রোজিনা। তাঁর জন্ম ১৯৫৬ সালের ১২ এপ্রিল, তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের ফরিদপুর জেলার গোয়ালন্দ উপজেলায় (বর্তমানে রাজবাড়ী জেলার অন্তর্গত)। জন্মের সময় তাঁর নাম ছিল রেনু। পরবর্তীকালে চলচ্চিত্রে প্রবেশের সময় তিনি নিজের নাম পরিবর্তন করে রাখেন “রোজিনা” — যা হয়ে ওঠে বাংলা সিনেমার এক উজ্জ্বল প্রতীক।
রেনু ছোটবেলা থেকেই ছিলেন স্বপ্নবিলাসী ও কল্পনাপ্রবণ মেয়ে। গ্রামের খোলা মাঠে দাঁড়িয়ে তিনি প্রায়ই আকাশের দিকে তাকিয়ে ভাবতেন — “একদিন আমিও সিনেমার মানুষ হব।” সে সময় টেলিভিশন ছিল না, সিনেমা দেখা মানে ছিল গ্রামীণ প্রেক্ষাগৃহে গিয়ে বড় পর্দার ঝলক দেখা। তিনি নিয়মিত যেতেন সিনেমা হলে, বাংলা ও হিন্দি ছবি দেখে মুগ্ধ হতেন সুচিত্রা সেন, সাবানা ও শাবানার অভিনয়ে। সেই সময়ই তাঁর মনে জন্ম নেয় অভিনয়জগতে প্রবেশের এক অদ্ভুত আকাঙ্ক্ষা।
কিন্তু ৭০-এর দশকের গোড়ার দিকে বাংলাদেশের সমাজে সিনেমা জগতে প্রবেশ করা কোনো মেয়ের জন্য সহজ ছিল না। সমাজ তখনও ছিল রক্ষণশীল, আর পরিবারে মেয়েদের জন্য অভিনয় ছিল একরকম “বেআব্রু পেশা”। তবু রেনু ভয় পাননি। একদিন তিনি চুপিচুপি ঢাকায় চলে এলেন — সিনেমায় অভিনয়ের স্বপ্ন পূরণের আশায়।
ঢাকায় আগমন ও চলচ্চিত্রে প্রথম সুযোগ
ঢাকায় এসে রেনু নানা বাধার মুখে পড়েন। প্রযোজক বা পরিচালকরা নতুন মুখ নিতে চাইতেন না, আবার অনেক সময় ‘অডিশন’ নামের ফাঁদে অনেককে প্রতারণার শিকার হতে হতো। রেনু নিজের সৌন্দর্য, আত্মবিশ্বাস ও কণ্ঠস্বরের জোরে টিকে যান।
অবশেষে তাঁর জীবনের প্রথম বড় সুযোগ আসে ১৯৭৬ সালে, যখন তিনি অভিনয়ের প্রস্তাব পান “রাজমহল” ছবিতে। পরিচালক তাঁকে নতুন নাম দেন “রোজিনা”। ছবিতে তাঁর নায়ক ছিলেন জনপ্রিয় অভিনেতা ওয়াসিম। মুক্তির পর ছবিটি তরুণ দর্শকদের মধ্যে আলোচনায় আসে। রোজিনার চোখের অভিব্যক্তি, নরম কণ্ঠস্বর এবং সৌম্য রূপ যেন পর্দায় এক নতুন ছায়াপাত ঘটায়।
‘রাজমহল’-এর সফলতা রোজিনাকে পৌঁছে দেয় ঢাকাই সিনেমার মূলধারায়। এরপর তিনি অভিনয় করেন ‘রোশের বাইদানি’, ‘রাজসিংহাসন’, ‘ঝরকা’, ‘সুখের সংসার’সহ আরও কয়েকটি ছবিতে।
৭০ ও ৮০-এর দশকের স্বর্ণযুগে রোজিনার উত্থান
সত্তরের দশকের শেষভাগে ও আশির দশকের শুরুতে বাংলা চলচ্চিত্রে যখন নায়ক-নায়িকা জুটি মানেই ওয়াসিম-শাবানা বা জসিম-ববিতা, সেই সময়েই রোজিনা ধীরে ধীরে নিজের জায়গা করে নেন।
তিনি অভিনয় করতেন এমনভাবে, যেখানে আবেগ ও মাধুর্য দুটিই মিলেমিশে থাকত। তিনি কখনো কোমল মেয়ে, কখনো তেজস্বিনী নারী — প্রতিটি চরিত্রেই এনে দিতেন বাস্তবতার ছোঁয়া।
রোজিনা শুধু ঢাকাই সিনেমাতেই সীমাবদ্ধ থাকেননি; তিনি ভারতীয় বাংলা চলচ্চিত্রেও অভিনয় করেছেন। তাঁর সৌন্দর্য ও অভিনয় দক্ষতা দুই বাংলার দর্শককেই মুগ্ধ করেছিল।
সবচেয়ে বড় মাইলফলক আসে ১৯৮৫ সালে, যখন ভারতের কিংবদন্তি পরিচালক শক্তি সামন্ত তাঁকে নেন ‘অন্যায় অবিচার’ (Anyaay Abichar) ছবিতে, যেখানে তাঁর সহ-অভিনেতা ছিলেন মিঠুন চক্রবর্তী। একই ছবির হিন্দি সংস্করণ ছিল ‘আর পার’ (Aar Paar)। এই ছবির মাধ্যমে রোজিনা আন্তর্জাতিক দর্শকের সামনে আসেন।
জনপ্রিয়তা, সাফল্য ও পরিপক্বতা
৮০-এর দশকের মাঝামাঝি থেকে শেষ পর্যন্ত রোজিনা ছিলেন একের পর এক হিট ছবির নায়িকা। তিনি অভিনয় করেছেন ওয়াসিম, আলমগীর, উজ্জ্বল, রোজি আফসারি, সুবর্ণা মুস্তাফা প্রমুখ তারকার সঙ্গে।
রোজিনা একবার এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন —
“আমি শুধু সুন্দরী হতে চাইনি, আমি চেয়েছিলাম মানুষ যেন আমার চোখের দিকে তাকিয়ে বুঝতে পারে আমি চরিত্রটা বাঁচিয়ে তুলেছি।”
এই মনোভাবই তাঁকে এনে দিয়েছিল বাংলাদেশ জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার।
- • ১৯৮০ সালে ‘কসাই’ (Koshai) ছবির জন্য তিনি পান সেরা পার্শ্ব অভিনেত্রীর পুরস্কার।
- • ১৯৮৮ সালে ‘জীবনধারা’ (Jibondhara) ছবির জন্য পান সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার।
এই দুটি পুরস্কারই তাঁকে প্রতিষ্ঠিত করে দেশের অন্যতম সেরা অভিনেত্রী হিসেবে।
রোজিনার পাঁচটি বিখ্যাত চলচ্চিত্র
১. কসাই (১৯৮০)
‘কসাই’ ছবিটি ছিল রোজিনার ক্যারিয়ারের এক বিরাট বাঁক। ছবির কাহিনি ছিল সমাজের অন্ধকার দিক, পাপ ও শাস্তির গল্প নিয়ে।
রোজিনা এতে অভিনয় করেছিলেন এমন এক নারী চরিত্রে, যিনি পাপ ও অনুশোচনার মাঝে দ্বিধাগ্রস্ত। তাঁর সংলাপ ও চোখের ভাষা দর্শককে মুগ্ধ করেছিল।
এই ছবির জন্য তিনি পান জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার (পার্শ্ব অভিনেত্রী) — যা তাঁর অভিনয় জীবনের প্রথম বড় স্বীকৃতি।
২. জীবনধারা (১৯৮৮)
এটি রোজিনার অন্যতম শ্রেষ্ঠ কাজ। ছবিটি ছিল পারিবারিক ও সামাজিক টানাপোড়েনের গল্প, যেখানে রোজিনা অভিনয় করেছিলেন এক দৃঢ়প্রতিজ্ঞ নারী চরিত্রে।
তিনি এখানে আবেগ, ত্যাগ ও প্রতিবাদের প্রতীক হয়ে উঠেছিলেন।
এই ছবির জন্য তিনি পান জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার (সেরা অভিনেত্রী) — যা তাঁকে দেশজুড়ে নতুন মর্যাদা দেয়।
৩. অন্যায় অবিচার / আর পার (১৯৮৫)
এই ছবিটি রোজিনাকে আন্তর্জাতিক পরিসরে তুলে আনে। ভারত ও বাংলাদেশ দুই দেশেই মুক্তিপ্রাপ্ত ছবিতে তিনি ছিলেন এক সাহসী, বুদ্ধিমতী নারী চরিত্রে।
সহ-অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তীর সঙ্গে তাঁর অনস্ক্রিন কেমিস্ট্রি আলোচিত হয় দুই বাংলার গণমাধ্যমে।
ছবিটি শক্তি সামন্ত পরিচালিত, যিনি রাজেশ খান্না ও শর্মিলা ঠাকুরের মতো তারকাদের নিয়েও কাজ করেছিলেন।
এই ছবির মাধ্যমে রোজিনা প্রমাণ করেন, তিনি শুধু স্থানীয় তারকা নন, আন্তর্জাতিক মানের অভিনেত্রী।
৪. আঘাত (১৯৮৬)
‘আঘাত’ ছিল একটি সামাজিক ও মনস্তাত্ত্বিক নাটকীয় ছবি, যেখানে রোজিনা “মিতু” চরিত্রে অভিনয় করেন।
এতে তাঁর সহ-অভিনেতা ছিলেন আলমগীর ও রোজি আফসারি। ছবিটি মুক্তি পায় ১৯৮৬ সালের ১৫ আগস্ট।
এই ছবির সম্পাদক পান জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার (সেরা সম্পাদনা)।
‘আঘাত’-এ রোজিনার সংলাপভঙ্গি ও দৃষ্টির দৃঢ়তা আজও স্মরণীয়।
৫. রাক্ষুসী (২০০৪)
৯০-এর দশকে কিছুটা বিরতি নেওয়ার পর রোজিনা ২০০৪ সালে এই ছবির মাধ্যমে ফিরে আসেন।
‘রাক্ষুসী’-তে তিনি এমন এক নারীর চরিত্রে অভিনয় করেন, যিনি স্বামীর হত্যার প্রতিশোধ নিতে গিয়ে নিজেই হয়ে ওঠেন প্রতিহিংসাপরায়ণ আত্মা।
এই জটিল চরিত্রে রোজিনা নিজের অভিনয়কে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যান।
তিনি পান মেরিল-প্রথম আলো সমালোচক পুরস্কার (সেরা চলচ্চিত্র অভিনেত্রী)।
এছাড়া তাঁর বিপরীতে অভিনয় করা অভিনেতা ফেরদৌস ছিলেন তাঁর চেয়ে প্রায় ১২-১৩ বছর ছোট, যা সে সময়ের চলচ্চিত্রে সাহসী পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হয়েছিল।
অভিনয়ের ধরণ ও দর্শকের ভালোবাসা
রোজিনার অভিনয়ে ছিল আবেগের গভীরতা ও সংযম। তিনি কণ্ঠস্বর, অঙ্গভঙ্গি এবং চোখের ভাষা দিয়ে চরিত্র ফুটিয়ে তুলতেন। তাঁর চরিত্রগুলো ছিল বহুমাত্রিক — কখনো নারী স্বাধীনতার প্রতীক, কখনো নিপীড়নের শিকার, কখনো আবার প্রতিশোধপরায়ণ দেবী।
তিনি বলেছিলেন — “চরিত্র যত কঠিন, আমার ভালো লাগে তত বেশি। সহজ চরিত্রে আমি নিজেকে খুঁজে পাই না।”
দর্শকের ভালোবাসাই ছিল তাঁর সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি। সিনেমা হলে যখন পর্দায় রোজিনার নাম উঠত, দর্শকরা হাততালি দিতেন — এটাই ছিল তাঁর আসল সম্মান।
পরিচালক ও সহকর্মীদের সঙ্গে সম্পর্ক
রোজিনা কাজ করেছেন দেশের প্রায় সব নামকরা পরিচালকের সঙ্গে — আজিজুর রহমান, দেলোয়ার জাহান ঝন্টু, দেলোয়ার হোসেন সাইদি, ববী খান, শিবলী সাদিক প্রমুখ।
সহকর্মী আলমগীর একবার বলেছিলেন — “রোজিনা সেটে আসলে সবাই নিশ্চিন্ত থাকত, কারণ সে চরিত্রে ঢোকার আগেই নিজেকে প্রস্তুত করে আনত।”
ওয়াসিম বলেছিলেন — “রোজিনা খুব সিরিয়াস অভিনেত্রী। ক্যামেরা অন হওয়ার আগে সে নিজেকে চরিত্রে হারিয়ে ফেলত।”
টেলিভিশন, নির্দেশনা ও নতুন অধ্যায়
৯০-এর দশকের পর রোজিনা চলচ্চিত্রের পাশাপাশি টেলিভিশন নাটকেও যুক্ত হন।
তিনি পরিচালনা করেছেন দুইটি নাটক — ‘মেজদিদি’ ও ‘বড়দিদি’, যা সাহিত্যিক শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের গল্প অবলম্বনে নির্মিত।
এছাড়া তিনি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গল্প ‘বদনাম’ অবলম্বনে নাটক নির্মাণ করেন এবং নিজেও অভিনয় করেন।
তাঁর পরিচালিত নাটকগুলোতে দেখা যায় সমাজ, নারীজীবন ও ভালোবাসার সংবেদনশীল বিশ্লেষণ।
ব্যক্তিজীবন ও নিঃসঙ্গতার গল্প
রোজিনার ব্যক্তিজীবন সব সময় মিডিয়ার আলোচনার বাইরে ছিল। তিনি সবসময় চেয়েছেন অভিনয়কেই সামনে রাখতে।
এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন — “আমি কখনো কাউকে কষ্ট দিতে চাইনি, আবার কাউকে খুশি করতেও অভিনয় করিনি। আমি কাজ করেছি নিজের ভালোবাসা থেকে।”
তাঁর জীবনের অনেক সময় কেটেছে একাকীত্বে। আলো, ক্যামেরা, অ্যাকশনের পেছনে লুকিয়ে ছিল তাঁর নিঃসঙ্গ জীবনযাত্রা। তবু তিনি হার মানেননি — কারণ সিনেমা ছিল তাঁর প্রথম ও শেষ ভালোবাসা।
পুরস্কার ও সম্মাননা
রোজিনার সাফল্যের তালিকা দীর্ঘ —
- • জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার (১৯৮০) — ‘কসাই’ ছবির জন্য সেরা পার্শ্ব অভিনেত্রী।
- • জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার (১৯৮৮) — ‘জীবনধারা’ ছবির জন্য সেরা অভিনেত্রী।
- • মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার (২০০৪) — ‘রাক্ষুসী’ ছবির জন্য সমালোচক পুরস্কার।
- • জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার (২০২২) — আজীবন সম্মাননা।
২০২৩ সালে তিনি যখন এই আজীবন সম্মাননা গ্রহণ করেন, তখন বলেন —
“আমি মঞ্চে দাঁড়িয়ে আমার মায়ের কথা ভেবেছিলাম। তিনি বেঁচে থাকলে আজকের দিনটা দেখে কত খুশি হতেন।”
এই বক্তব্যই যেন রোজিনার জীবনবোধের প্রতিচ্ছবি — ত্যাগ, মমতা ও স্মৃতির সংমিশ্রণ।
সময়ের পরিবর্তন ও রোজিনার অবস্থান
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে চলচ্চিত্রের ধরণ বদলেছে, প্রযুক্তি বদলেছে, নতুন প্রজন্মের তারকারা এসেছে। কিন্তু রোজিনার নাম আজও শ্রদ্ধার সঙ্গে উচ্চারিত হয়।
তিনি এমন এক সময়ের প্রতিনিধি, যখন সিনেমা ছিল আবেগ, ভালোবাসা এবং সামাজিক বার্তার বাহন।
তিনি প্রমাণ করেছেন — একজন অভিনেত্রী শুধুমাত্র সৌন্দর্যের কারণে নয়, বরং কাজের আন্তরিকতা ও চরিত্রের গভীরতায় দর্শকের মনে স্থান করে নিতে পারেন।
উত্তরাধিকার ও প্রেরণা
রোজিনা আজও নবীন প্রজন্মের অভিনেত্রীদের কাছে অনুপ্রেরণা। তাঁর অভিনয়, আত্মনিবেদন ও মানসিক দৃঢ়তা বহু তরুণীর স্বপ্ন জাগায়।
তাঁর মতো নারীরা প্রমাণ করেছেন — শিল্পী হওয়া মানে শুধু আলোতে থাকা নয়, বরং সত্যিকার অর্থে নিজের ভেতরের মানুষকে চিনে নেওয়া।
বাংলা চলচ্চিত্রের ইতিহাসে রোজিনা এক অনিবার্য নাম। তাঁর অভিনয়, সৌন্দর্য ও সংগ্রামের গল্প মিলেমিশে গড়ে তুলেছে এক কিংবদন্তি জীবন।
রেনু থেকে রোজিনা হয়ে ওঠার এই যাত্রা আসলে এক নারীর আত্মমর্যাদা রক্ষার ইতিহাস।
একজন নারী কীভাবে প্রতিকূল সমাজে নিজের জায়গা তৈরি করতে পারেন, সেটির জীবন্ত উদাহরণ রোজিনা।
তিনি প্রমাণ করেছেন — সময়, বয়স কিংবা লিঙ্গ কোনো বাধা নয়, যদি মনের ভেতর থাকে শিল্পের প্রতি সত্যিকারের ভালোবাসা।
রোজিনা শুধু একজন অভিনেত্রী নন — তিনি এক প্রতীক, এক ইতিহাস, এক অনন্ত আলো।
#রোজিনা #বাংলাচলচ্চিত্র #অভিনেত্রী #বাংলাসিনেমারইতিহাস #বাংলারসংস্কৃতি #চলচ্চিত্র #সারাক্ষণরিপোর্ট #রাক্ষুসী #জীবনধারা #কসাই #অন্যায়অবিচার #রোজিনারজীবনযাত্রা