১১:০০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫
রাজেশপুর শালবন: কুমিল্লার সবুজ হৃদয়ে প্রকৃতির নিঃশব্দ সিম্ফনি রাশিয়ার হুমকির মুখে পোল্যান্ডের প্রতিরক্ষা জোরদার — সামরিক ব্যয়ে জিডিপির প্রায় ৫ শতাংশে পৌঁছেছে ওয়ারশ সৌদি আইনপ্রণয়ন: স্বচ্ছতা ও অংশগ্রহণে এগিয়ে যাচ্ছে উন্নয়ন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ঢাকা (পর্ব-৩৬) আনন্যা পান্ডের সোনালি আভা: মানিশ মলহোত্রার উৎসব-রূপ আরামকো: সৌদি আরবের রত্ন এখন জনগণের হাতে এইচএসসি ফল পুনঃনিরীক্ষার আবেদন ১৭ অক্টোবর থেকে মিয়ানমার সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে আহত বিজিবি সদস্য সিএমএইচে নারীদের বিশ্বকাপে বাংলাদেশ ২৩২—ব্যাটিংয়ের পর এবার রক্ষণে স্পিন ভরসা মুন্সীগঞ্জে বাস–অটোরিকশা সংঘর্ষে প্রবীণ দম্পতি নিহত, আহত ৩

চীনের সেপ্টেম্বর রপ্তানি–আমদানি প্রত্যাশাকে ছাড়িয়ে গেল

রপ্তানি ও আমদানি অবস্থা

  • সেপ্টেম্বর ২০২৫-এ চীনের ডলার মূল্যে রপ্তানি বছরের ভিত্তিতে বৃদ্ধি পেয়েছে ৮.৩ শতাংশ — যা অর্থনীতিবিদদের ৬.০ শতাংশ অনুমানকে ছাপিয়ে গিয়েছে।
  • একই সময়ে চীনের আমদানি বেড়েছে ৭.৪ শতাংশ, যা আগ্রাসনমূলক প্রবণতা ও স্টক সংরক্ষণের চাহিদাকে নির্দেশ করে।
  • তবে বাণিজ্য ঘাটতি কমে হয়েছে ৯০.৪৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, আগের মাসের ১০২.৩৩ বিলিয়ন থেকে।

মার্কেট ডাইভার্সিফিকেশন ও বাজার রূপান্তর

  • চীন যুক্তরাষ্ট্র থেকে রপ্তানির নির্ভরতা কমিয়ে এশিয়া, আফ্রিকা ও ইউরোপের দিকে রপ্তানি বাড়াচ্ছে।
  • সেপ্টেম্বর মাসে যুক্তরাষ্ট্রের দিকে রপ্তানি বছর ভিত্তিতে ২৭ শতাংশ কমেছে।
  • অন্যদিকে, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ও আফ্রিকার বাজারে রপ্তানি যথাক্রমে ১৪%, ১৫.৬% ও ৫৬.৪% বৃদ্ধি পেয়েছে।


অভ্যন্তরীণ চাহিদা ও কোম্পানির চ্যালেঞ্জ

  • গৃহভিত্তিক চাহিদা এখনও নিম্নমুখী, ফলে অনেক উৎপাদক বিদেশি ক্রেতা আকৃষ্ট করতে মূল্যের প্রতিযোগিতা চালাচ্ছে। স্টিল, কয়লা ও সয়াবিন আমদানি বাড়িয়ে চীন কাঁচামালের সংগ্রহ কমায়নি; এই চাহিদা বৃদ্ধিতে মজুদ বাড়ানোর প্রবণতা কাজ করেছে।
  • স্টিল আমদানি ও খনিজ তেলের চাহিদা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।

নতুন আমেরিকা–চীন বিবাদ ও ঝুঁকি

  • চীন সম্প্রতি বিরল পৃথিবীর উপাদান (rare earth) রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ কঠোর করেছে, যা আমেরিকার বিরুদ্ধে নতুন পদক্ষেপের কারণ হয়েছে।
  • যুক্তরাষ্ট্র ১০০% শুল্ক পুনর্মূল্যায়নের হুমকি দিচ্ছে, যা চীনের রপ্তানিকারী প্রতিষ্ঠান ও নিম্ন-আয় কারখানাগুলোর ওপর চাপে ফেলতে পারে।
  • বিশ্লেষকরা বলছেন, চীনের অর্থনীতি আরও গভীরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে যদি বিবাদ অগ্রসর হয়।
  • উদ্বেগের বিষয় হলো, এই উত্তেজনা আগামী কয়েক সপ্তাহে বাণিজ্য আলোচনায় বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে।

বিশ্লেষণ ও ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জ

  • যদিও রপ্তানি ও আমদানি উভয়ই শক্তিশালী প্রবৃদ্ধি দেখিয়েছে, তবুও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কোনো নতুন বিবাদ — বিশেষ করে প্রযুক্তি ও উপাদান রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ নিয়ে — বড় ধাক্কা হতে পারে।চীনের বাণিজ্যভিত্তিক অর্থনীতি যদি গৃহভিত্তিক চাহিদা পুনরুদ্ধারে ব্যর্থ হয়, তাহলে এই বিদেশি বাজারনির্ভরতা দীর্ঘমেয়াদে বিপজ্জনক হতে পারে।

  • রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অস্থিরতার কারণে বিনিয়োগকারীরা একটি “নতুন স্বাভাবিক” মানতে শুরু করেছে, যেখানে উত্তেজনা, সমঝোতা ও আপোষের চক্র চলমান থাকবে।

উপরোক্ত বিশ্লেষণ থেকে বোঝা যায়, চীন আপাতত কিছুটা প্রতিরোধশীল অবস্থায় থাকলেও, সামনে বাণিজ্যক্ষেত্রে বড় ধরণের ঝড় অপেক্ষা করছে। বৈশ্বিক এই হানাহানির মধ্যে কতটা কৌশলী ও ভারসাম্যপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে পারে, তাই নির্ধারণ করবে চীনের অর্থনৈতিক ভবিষ্যৎ।

জনপ্রিয় সংবাদ

রাজেশপুর শালবন: কুমিল্লার সবুজ হৃদয়ে প্রকৃতির নিঃশব্দ সিম্ফনি

চীনের সেপ্টেম্বর রপ্তানি–আমদানি প্রত্যাশাকে ছাড়িয়ে গেল

০৭:০৬:২৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫

রপ্তানি ও আমদানি অবস্থা

  • সেপ্টেম্বর ২০২৫-এ চীনের ডলার মূল্যে রপ্তানি বছরের ভিত্তিতে বৃদ্ধি পেয়েছে ৮.৩ শতাংশ — যা অর্থনীতিবিদদের ৬.০ শতাংশ অনুমানকে ছাপিয়ে গিয়েছে।
  • একই সময়ে চীনের আমদানি বেড়েছে ৭.৪ শতাংশ, যা আগ্রাসনমূলক প্রবণতা ও স্টক সংরক্ষণের চাহিদাকে নির্দেশ করে।
  • তবে বাণিজ্য ঘাটতি কমে হয়েছে ৯০.৪৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, আগের মাসের ১০২.৩৩ বিলিয়ন থেকে।

মার্কেট ডাইভার্সিফিকেশন ও বাজার রূপান্তর

  • চীন যুক্তরাষ্ট্র থেকে রপ্তানির নির্ভরতা কমিয়ে এশিয়া, আফ্রিকা ও ইউরোপের দিকে রপ্তানি বাড়াচ্ছে।
  • সেপ্টেম্বর মাসে যুক্তরাষ্ট্রের দিকে রপ্তানি বছর ভিত্তিতে ২৭ শতাংশ কমেছে।
  • অন্যদিকে, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ও আফ্রিকার বাজারে রপ্তানি যথাক্রমে ১৪%, ১৫.৬% ও ৫৬.৪% বৃদ্ধি পেয়েছে।


অভ্যন্তরীণ চাহিদা ও কোম্পানির চ্যালেঞ্জ

  • গৃহভিত্তিক চাহিদা এখনও নিম্নমুখী, ফলে অনেক উৎপাদক বিদেশি ক্রেতা আকৃষ্ট করতে মূল্যের প্রতিযোগিতা চালাচ্ছে। স্টিল, কয়লা ও সয়াবিন আমদানি বাড়িয়ে চীন কাঁচামালের সংগ্রহ কমায়নি; এই চাহিদা বৃদ্ধিতে মজুদ বাড়ানোর প্রবণতা কাজ করেছে।
  • স্টিল আমদানি ও খনিজ তেলের চাহিদা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।

নতুন আমেরিকা–চীন বিবাদ ও ঝুঁকি

  • চীন সম্প্রতি বিরল পৃথিবীর উপাদান (rare earth) রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ কঠোর করেছে, যা আমেরিকার বিরুদ্ধে নতুন পদক্ষেপের কারণ হয়েছে।
  • যুক্তরাষ্ট্র ১০০% শুল্ক পুনর্মূল্যায়নের হুমকি দিচ্ছে, যা চীনের রপ্তানিকারী প্রতিষ্ঠান ও নিম্ন-আয় কারখানাগুলোর ওপর চাপে ফেলতে পারে।
  • বিশ্লেষকরা বলছেন, চীনের অর্থনীতি আরও গভীরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে যদি বিবাদ অগ্রসর হয়।
  • উদ্বেগের বিষয় হলো, এই উত্তেজনা আগামী কয়েক সপ্তাহে বাণিজ্য আলোচনায় বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে।

বিশ্লেষণ ও ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জ

  • যদিও রপ্তানি ও আমদানি উভয়ই শক্তিশালী প্রবৃদ্ধি দেখিয়েছে, তবুও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কোনো নতুন বিবাদ — বিশেষ করে প্রযুক্তি ও উপাদান রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ নিয়ে — বড় ধাক্কা হতে পারে।চীনের বাণিজ্যভিত্তিক অর্থনীতি যদি গৃহভিত্তিক চাহিদা পুনরুদ্ধারে ব্যর্থ হয়, তাহলে এই বিদেশি বাজারনির্ভরতা দীর্ঘমেয়াদে বিপজ্জনক হতে পারে।

  • রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অস্থিরতার কারণে বিনিয়োগকারীরা একটি “নতুন স্বাভাবিক” মানতে শুরু করেছে, যেখানে উত্তেজনা, সমঝোতা ও আপোষের চক্র চলমান থাকবে।

উপরোক্ত বিশ্লেষণ থেকে বোঝা যায়, চীন আপাতত কিছুটা প্রতিরোধশীল অবস্থায় থাকলেও, সামনে বাণিজ্যক্ষেত্রে বড় ধরণের ঝড় অপেক্ষা করছে। বৈশ্বিক এই হানাহানির মধ্যে কতটা কৌশলী ও ভারসাম্যপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে পারে, তাই নির্ধারণ করবে চীনের অর্থনৈতিক ভবিষ্যৎ।