মার্কিন প্রযুক্তি শেয়ারে সম্ভাব্য বুদ্বুদ নিয়ে উদ্বেগ বাড়তে থাকায় বৈশ্বিক বিনিয়োগকারীরা ক্রমেই নজর দিচ্ছেন চীনের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা খাতে। যুক্তরাষ্ট্রের আধিপত্য থাকা সত্ত্বেও দ্রুত ব্যবধান কমাচ্ছে চীন—এমন প্রত্যাশা থেকেই বিনিয়োগের দিক বদলাচ্ছেন অনেক বড় তহবিল ব্যবস্থাপক।
বিনিয়োগের মোড় ঘোরার কারণ
হংকং ও নিউইয়র্কভিত্তিক বিনিয়োগকারীদের মতে, প্রযুক্তিতে স্বনির্ভরতা জোরদার করার বেইজিংয়ের নীতিই চীনের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কোম্পানিগুলোর প্রতি আস্থা বাড়াচ্ছে। উন্নত চিপ নির্মাতা ও প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের তালিকাভুক্তি দ্রুততর হওয়ায় বাজারে নতুন উদ্দীপনা তৈরি হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চ মূল্যায়ন ও ঝুঁকির বিপরীতে চীনের বাজারকে তুলনামূলকভাবে আকর্ষণীয় দেখছেন বিনিয়োগকারীরা।
চীনের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বনাম যুক্তরাষ্ট্র
বিশেষজ্ঞদের বিশ্লেষণে বলা হচ্ছে, উদ্ভাবনে এখনও যুক্তরাষ্ট্র এগিয়ে থাকলেও প্রকৌশল দক্ষতা, উৎপাদন সক্ষমতা ও বিদ্যুৎ সরবরাহে চীনের শক্ত অবস্থান রয়েছে। প্রযুক্তিযুদ্ধে চাপের মুখে চীন নিজস্ব প্রযুক্তি গড়ে তুলতে বড় অঙ্কের বিনিয়োগ বাড়িয়েছে, যা ভবিষ্যতে বাজারে প্রতিযোগিতার ভারসাম্য বদলে দিতে পারে।
তহবিল ও বাজারে প্রবাহ
সাম্প্রতিক মাসগুলোতে চীনকেন্দ্রিক প্রযুক্তি তহবিলে বিনিয়োগ উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও সেমিকন্ডাক্টরভিত্তিক কোম্পানিগুলোর শেয়ারে প্রবাহিত হচ্ছে নতুন অর্থ। অনেক বিনিয়োগকারী এটিকে বৈচিত্র্য আনার কৌশল হিসেবে দেখছেন, যাতে ভূরাজনৈতিক ঝুঁকি সামাল দেওয়া যায়।
ঝুঁকি ও সতর্কবার্তা
তবে সবাই যে আশাবাদী, তা নয়। কিছু তহবিল ব্যবস্থাপক সতর্ক করে বলছেন, চীনের কিছু প্রযুক্তি শেয়ারের মূল্যায়ন এখনও বাস্তব ভিত্তি পায়নি এবং বাজারে অতিরিক্ত উন্মাদনা রয়েছে। নির্বাচিত কোম্পানি বাছাই ও বৈশ্বিক শীর্ষ প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ভারসাম্য রক্ষার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশ্লেষকরা।
সারাক্ষণ রিপোর্ট 



















