যশোরের চৌগাছা উপজেলায় বুধবার পৃথক তিনটি ঘটনায় তিনজনের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। এসব মৃত্যুর কারণ হিসেবে দগ্ধ হওয়া, পানিতে ডুবে যাওয়া এবং আত্মহত্যার ঘটনা উঠে এসেছে।
অগ্নিদগ্ধ হয়ে বৃদ্ধার মৃত্যু
চৌগাছা উপজেলার জগদীশপুর ইউনিয়নের মারুয়া গ্রামে আগুন পোহাতে গিয়ে ভয়াবহভাবে দগ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে এক বৃদ্ধার। নিহত ফেকশি বালা বয়স ৮০ বছর। তিনি কার্তিক পরমানিক বিশ্বাসের স্ত্রী ছিলেন।
পরিবারের সদস্যরা জানান, মঙ্গলবার রাতে ঘরের ভেতরে আগুন জ্বালিয়ে শরীর গরম করার সময় হঠাৎ তার শাড়িতে আগুন ধরে যায়। এতে তিনি গুরুতরভাবে দগ্ধ হন। পরে তাকে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হলে বুধবার দুপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
পুকুরে ডুবে মাদ্রাসাছাত্রের মৃত্যু
আরেক ঘটনায় চৌগাছা উপজেলার পাতিবিলা ইউনিয়নের নিয়ামতপুর গ্রামে পুকুরে ডুবে মৃত্যু হয়েছে এক মাদ্রাসাছাত্রের। নিহতের নাম হাফেজ আবদুল্লাহ, বয়স ১৬ বছর। তিনি ঢাকার উত্তরা এলাকার তানজিমুল উম্মাহ ক্যাডেট মাদ্রাসার অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন।
নিহত আবদুল্লাহ নিয়ামতপুর গ্রামের আবদুল গনির ছেলে। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তার বাবা চাকরির সুবাদে নারায়ণগঞ্জে থাকেন এবং আবদুল্লাহও সেখানেই অবস্থান করছিল। দুই দিন আগে সে গ্রামে আসে। বুধবার পুকুরে গোসল করতে নেমে অসুস্থ হয়ে পড়লে সে পানিতে তলিয়ে যায়। পরে তাকে চৌগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
পারিবারিক কলহে গৃহবধূর আত্মহত্যা
এদিকে চৌগাছা উপজেলার সুখপুকুরিয়া ইউনিয়নের বল্লভপুর গ্রামে এক গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছেন। নিহত মনোয়ারা বেগম বয়স ৩০ বছর। তিনি সোলাইমান আলীর স্ত্রী।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, স্বামীর সঙ্গে পারিবারিক কলহের জেরে বুধবার সকাল প্রায় ১০টার দিকে নিজ ঘরের ভেতরে গলায় ফাঁস দিয়ে তিনি আত্মহত্যা করেন।
চৌগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রেজাউল করিম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, প্রতিটি ঘটনায় আইনগত প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
সারাক্ষণ রিপোর্ট 



















