জব্দ অভিযান ও আইনি প্রক্রিয়া
খুলনার কয়রা উপজেলায় প্রায় ৮ কেজি হরিণের মাংসসহ এক নারীকে আটক করেছে পুলিশ। সুন্দরবনসংলগ্ন এলাকায় বেআইনি শিকার ও সরবরাহচক্রের তথ্য মিলতেই রাতে অভিযানে যায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। জব্দ মাংস প্রমাণ হিসেবে সিলগালা করা হয়েছে; সরবরাহকারীদের শনাক্তে ফোনকল রেকর্ড, মোবাইল–মানি লেনদেন ও ফ্রিজার–ভ্যান রুট খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বাংলাদেশ বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন অনুযায়ী হরিণের মাংস রাখা গুরুতর অপরাধ—জেল ও অর্থদণ্ডের বিধান আছে। ফরেনসিক পরীক্ষার রিপোর্ট নিয়ে মামলার ধারায় অগ্রসর হবে পুলিশ।
সংরক্ষণ–ঝুঁকি ও সামাজিক বাস্তবতা
সংরক্ষণবিদদের মতে, হরিণ কমে গেলে সুন্দরবনের খাদ্যশৃঙ্খল ভেঙে পড়ে—বাঘের মতো শিকারি প্রাণীর বিকল্প খাদ্য পেতে গ্রামমুখী হওয়া ও মানুষ–বন্যপ্রাণীর দ্বন্দ্ব বাড়ে। উৎসব মৌসুমে “এক্সোটিক” মাংসের চাহিদা ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রেসিপির কথা বলাবলি—এই অনিয়ন্ত্রিত চাহিদাও উদ্বেগের। প্রতিরোধে খালঘাট–ল্যান্ডিং ও রাতের বাজারে যৌথ টহল, ফ্রিজার–ভ্যান হঠাৎ চেকিং বাড়ানোর পরিকল্পনা এসেছে। স্থানীয়দের তথ্য দেওয়ায় উৎসাহ দিতে ছোট পুরস্কার বিবেচনায় রয়েছে। বিকল্প জীবিকা হিসেবে লাইসেন্সড কাঁকড়া মোটা–তাজাকরণ, ইকো–গাইডিং ও হস্তশিল্পকে সামনে আনার পরামর্শ দিয়েছে এনজিওগুলো—যাতে ঝুঁকিপূর্ণ বুশ–মিটের ওপর নির্ভরতা কমে।