প্রদর্শনীতে ফোকাস
টোকিওর নিকটবর্তী মাকুহারি মেসে-তে ১৪ অক্টোবর শুরু হয়েছে জাপানের প্রধান ডিজিটাল-টেক মেলা ‘সিইটেক ২০২৫’। প্রদর্শনীতে গুরুত্ব পেয়েছে এআই, রোবটিক্স, মবিলিটি ও শক্তি-সাশ্রয়ী কম্পিউটিং। মানবসদৃশ সহকারী, কারখানার কো-বট, এবং গৃহস্থালি-গাড়ির জন্য এমবেডেড এআই—দৃশ্য ও ভাষা কাজে কম শক্তিচাহিদার অ্যাক্সেলারেটর—এসব ছিল নজরে। টেলিকম কোম্পানিগুলো ৫জি-অ্যাডভান্সড রোডম্যাপ, কারখানার প্রাইভেট নেটওয়ার্ক ও ৬জি গবেষণার প্রারম্ভিক দিক তুলে ধরেছে। স্টার্টআপ সেকশনে স্বাস্থ্য প্রযুক্তি ও প্রবীণ সেবায় উদ্ভাবন ছিল চোখে পড়ার মতো—জাপানের বার্ধক্যজনিত বাস্তবতায় যা অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক।
কেন গুরুত্বপূর্ণ
চীন হার্ডওয়্যারে স্কেল বাড়াচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্র এআই-বিনিয়োগ টানছে—এর মাঝে জাপানি নির্মাতারা ভ্যালু চেইনে ওপরে উঠতে চান। কম বিদ্যুতে দক্ষ এআই ও নিরাপদ-সক্ষম রোবট উৎপাদনশীলতা বাড়াতে পারে, কর্মশক্তি না বাড়িয়েই। নীতিনির্ধারকেরা ‘গ্রীন আইসিটি’কে সামনে এনেছেন—ডেটা সেন্টার কুলিং, পাওয়ার-সাশ্রয়ী চিপ, সার্কুলার ডিজাইন। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া থেকে ইউরোপ—বিদেশি ডেলিগেশনের উপস্থিতি সরবরাহ শৃঙ্খলে বৈচিত্র্য বাড়ার ইঙ্গিত। স্বল্পমেয়াদে চোখ থাকবে এজ-মডিউল ও প্রাইভেট ৫জি-র অর্ডারে; ২০২৬ বাজেটে প্রতিষ্ঠানগুলো যে খরচ ধরবে সেটাই বারোমিটার। ডেমো যদি দ্রুত পাইলটে রূপ নেয়, তবে সিইটেক দেখাতে পারে—জাপানের ইন্ডাস্ট্রিয়াল-টেক গল্পে নতুন গতি ফিরছে।