১০:৪২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫
নগরজীবনে মানিয়ে নিচ্ছে বন্যপ্রাণী গ্লোবাল কনটেন্টে ঝুঁকছে স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম তীব্র তাপে বিশ্বজুড়ে বিদ্যুৎ গ্রিডে চাপ বিআরটিএতে সবচেয়ে বেশি দুর্নীতি, আইনশৃঙ্খলা ও পাসপোর্ট দপ্তরও শীর্ষে মগবাজার ফ্লাইওভার থেকে বোমা নিক্ষেপ, নিহত এক পথচারী অসম ভিআইপি সুবিধা নির্বাচন আচরণবিধি লঙ্ঘন: নির্বাচন কমিশনকে জানাল জামায়াত বড়দিন ও সাপ্তাহিক ছুটিতে টানা তিন দিন বন্ধ ব্যাংক ও শেয়ারবাজার বৃহস্পতিবার দেশে পালিত হবে বড়দিন, উৎসব ঘিরে শুভেচ্ছা ও বাড়তি নিরাপত্তা উপেক্ষিত রুমিন ফারহানা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ তরুণ ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের কর্মসংস্থানে বিশ্বব্যাংকের নতুন অর্থায়ন, বাংলাদেশে অনুমোদন ১৫০ কোটি ডলার

“চুক্তির পরের পরীক্ষা: নেতানিয়াহুকে কি ট্রাম্প বোঝাতে পারবেন?

চুক্তির পর ইসরায়েলি রাজনীতি ও আঞ্চলিক বাস্তবতা

গাজা থেকে জীবিত সব জিম্মি মুক্ত হওয়ার পর ট্রাম্প বলছেন, “যুদ্ধ শেষ”—এবং কনেসেটে ভাষণ, মিশরে স্বাক্ষর-অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি চলছে। এটি দীর্ঘ শাটল কূটনীতির ফল, যেখানে নেতানিয়াহুকে শর্ত মেনে নিতে ভারী চাপ ছিল। এখন বাস্তবায়নই মূল: সীমান্ত নিরাপত্তা, সহায়তা করিডর, পুনর্গঠন অর্থায়ন—সবকিছুতেই নজরদারি দরকার। ওয়াশিংটন চায় স্থিতি; আঞ্চলিক অংশীদারেরা সময়সূচি, যাচাই ও ‘ট্রিগার’ শর্ত চাইছে। ইসরায়েলে রাজনৈতিক হিসাব জটিল। শোক আর ক্রোধে জনমত ক্ষতবিক্ষত; জোটের ভিতও নড়বড়ে। বিরোধীরা খতিয়ে দেখবে—কী পেল, কী ছাড়ল, দায় কোথায়।

স্থায়িত্বের প্রশ্ন: নজরদারি, প্রণোদনা ও শাস্তি

যে কোনো শান্তি টেকাতে দরকার পর্যায়ভিত্তিক পদক্ষেপ। মধ্যস্থতাকারীরা জোর দিচ্ছেন জিম্মিদের হালনাগাদ হিসাব, সশস্ত্র গোষ্ঠীর ধাপে ধাপে নিরস্ত্রীকরণ, এবং শর্ত ভাঙলে তাৎক্ষণিক শাস্তির স্পষ্ট সূত্রে। রাফাহ সীমান্তে মিশরের ভূমিকা সহায়তা ও নিরাপত্তায় কেন্দ্রীয় হবে; কাতারের প্রভাবও পরীক্ষা দেবে, যখন নগদ প্রবাহ ও পুনর্গঠন প্রকল্প শুরু হবে। যুক্তরাষ্ট্র-ইউরোপ ভাবছে বেসামরিক পর্যবেক্ষক দল ও অগ্রিম তহবিলের ব্যবস্থার কথা—যাতে সহায়তা দ্রুত ছাড়ে, কিন্তু স্পয়লাররা পুরস্কৃত না হয়। ইসরায়েলের নিরাপত্তা বাহিনী চায় বিশ্রামের সময় ও সক্ষমতা পুনর্গঠন। ট্রাম্পের সামনে তাৎক্ষণিক রাজনীতি: দৃশ্যমান লাভ দেখাতে হবে—কম ঝুঁকি, স্থিতিশীল জ্বালানি বাজার, কম সতর্কতা—নইলে “হেডলাইন, না ফল” সমালোচনা তীব্র হবে। পরের কয়েক সপ্তাহ দেখাবে—নিবারণ, কূটনীতি ও অভ্যন্তরীণ রাজনীতি—তিনটি কি একসাথে সহাবস্থান করতে পারে।

জনপ্রিয় সংবাদ

নগরজীবনে মানিয়ে নিচ্ছে বন্যপ্রাণী

“চুক্তির পরের পরীক্ষা: নেতানিয়াহুকে কি ট্রাম্প বোঝাতে পারবেন?

০৫:১১:৫৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫

চুক্তির পর ইসরায়েলি রাজনীতি ও আঞ্চলিক বাস্তবতা

গাজা থেকে জীবিত সব জিম্মি মুক্ত হওয়ার পর ট্রাম্প বলছেন, “যুদ্ধ শেষ”—এবং কনেসেটে ভাষণ, মিশরে স্বাক্ষর-অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি চলছে। এটি দীর্ঘ শাটল কূটনীতির ফল, যেখানে নেতানিয়াহুকে শর্ত মেনে নিতে ভারী চাপ ছিল। এখন বাস্তবায়নই মূল: সীমান্ত নিরাপত্তা, সহায়তা করিডর, পুনর্গঠন অর্থায়ন—সবকিছুতেই নজরদারি দরকার। ওয়াশিংটন চায় স্থিতি; আঞ্চলিক অংশীদারেরা সময়সূচি, যাচাই ও ‘ট্রিগার’ শর্ত চাইছে। ইসরায়েলে রাজনৈতিক হিসাব জটিল। শোক আর ক্রোধে জনমত ক্ষতবিক্ষত; জোটের ভিতও নড়বড়ে। বিরোধীরা খতিয়ে দেখবে—কী পেল, কী ছাড়ল, দায় কোথায়।

স্থায়িত্বের প্রশ্ন: নজরদারি, প্রণোদনা ও শাস্তি

যে কোনো শান্তি টেকাতে দরকার পর্যায়ভিত্তিক পদক্ষেপ। মধ্যস্থতাকারীরা জোর দিচ্ছেন জিম্মিদের হালনাগাদ হিসাব, সশস্ত্র গোষ্ঠীর ধাপে ধাপে নিরস্ত্রীকরণ, এবং শর্ত ভাঙলে তাৎক্ষণিক শাস্তির স্পষ্ট সূত্রে। রাফাহ সীমান্তে মিশরের ভূমিকা সহায়তা ও নিরাপত্তায় কেন্দ্রীয় হবে; কাতারের প্রভাবও পরীক্ষা দেবে, যখন নগদ প্রবাহ ও পুনর্গঠন প্রকল্প শুরু হবে। যুক্তরাষ্ট্র-ইউরোপ ভাবছে বেসামরিক পর্যবেক্ষক দল ও অগ্রিম তহবিলের ব্যবস্থার কথা—যাতে সহায়তা দ্রুত ছাড়ে, কিন্তু স্পয়লাররা পুরস্কৃত না হয়। ইসরায়েলের নিরাপত্তা বাহিনী চায় বিশ্রামের সময় ও সক্ষমতা পুনর্গঠন। ট্রাম্পের সামনে তাৎক্ষণিক রাজনীতি: দৃশ্যমান লাভ দেখাতে হবে—কম ঝুঁকি, স্থিতিশীল জ্বালানি বাজার, কম সতর্কতা—নইলে “হেডলাইন, না ফল” সমালোচনা তীব্র হবে। পরের কয়েক সপ্তাহ দেখাবে—নিবারণ, কূটনীতি ও অভ্যন্তরীণ রাজনীতি—তিনটি কি একসাথে সহাবস্থান করতে পারে।