সীমান্ত সংঘর্ষ থেকে শান্তির কাঠামো
আসিয়ান চেয়ার হিসেবে মালয়েশিয়া জানিয়েছে, অনির্ধারিত সীমান্ত নিয়ে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া যুদ্ধবিরতি চুক্তির খুব কাছে। সম্ভাব্য ‘কুয়ালালামপুর অ্যাকর্ড’ জুলাইয়ের অস্থায়ী বিরতিকে আনুষ্ঠানিকতা দেবে, ভারী অস্ত্র সরানো ও মাইন অপসারণের সময়সূচি নির্ধারণ করবে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ২৬–২৮ অক্টোবরের শীর্ষ বৈঠকে উপস্থিত থেকে উদ্যোগে সমর্থন দেবেন বলে আশা। তবে টেকসই শান্তি নির্ভর করবে যাচাইপ্রক্রিয়া ও মাঠ পর্যায়ে কমান্ড-শৃঙ্খলার ওপর। গ্রীষ্মের লড়াইয়ে বাস্তুচ্যুত লাখো মানুষের সহায়তা এখনো অগ্রাধিকার। সীমান্তজুড়ে পরিবার ও ক্ষুদ্র ব্যবসার জন্য স্থায়ী চলাচল, খোলা হাটবাজার—এই প্রথম বাস্তব ফল দেখা দিতে পারে।
নিরাপত্তা বিনিময়, স্বাভাবিকতায় ফেরার পথ
সামরিক বাহিনী যাতে কার্যকরভাবে বাস্তবায়ন করতে পারে এবং রাজনীতিবিদরা ব্যাখ্যা করতে পারেন—এমন একটি ধাপভিত্তিক পরিকল্পনা আলোচনায় আছে। ভারী অস্ত্র পিছিয়ে নেওয়ার সঙ্গে যৌথ টহল ও হটলাইন, আর দাতাদের অর্থে একটি ত্রিপক্ষীয় মাইন অপসারণ দল মানবিক করিডর খুলবে। ভূমি-সীমা আলোচনা ‘নো সারপ্রাইজেস’ নীতিতে ফেরার কথা—নতুন আউটপোস্ট বন্ধ, মানচিত্র শেয়ার, সাপ্তাহিক বোর্ড বৈঠক। ব্যবসায়ীরা নজর রাখছেন বিমা-ঝুঁকি, কনভয়ের নিয়ম ও কাস্টমস লাইনে। অঞ্চলের জন্য এটি আসিয়ানের মধ্যস্থতা সক্ষমতারও পরীক্ষা। ওয়াশিংটনের কাছে সই হওয়া দলিল মানে সংকট-ব্যবস্থাপনায় প্রত্যাবর্তন; পক্ষগুলোর কাছে এটি প্রমাণ—যুদ্ধক্ষেত্রের যুক্তি কি সীমান্তবাসীর জীবিকা ও সংযত রাজনীতির কাছে জায়গা ছাড়ে।