খরচ-ভিত্তিক নকশা ও শহুরে স্কেল
বেঙ্গালুরুর স্টার্টআপ এয়ারবাউন্ড ৮.৬৫ মিলিয়ন ডলার তুলেছে এমন ড্রোন বানাতে, যেগুলো উল্লম্বভাবে ওঠানামা করে এবং রকেটের মতো সরু দেহে দক্ষ প্রপালশন রাখে। লক্ষ্য—মাইক্রো-ফুলফিলমেন্ট কেন্দ্র ও পাড়া-মহল্লার লকারের মধ্যে স্বল্প দূরত্বে ঘনঘন ডেলিভারি, যাতে প্রতিটি পার্সেলের খরচ এক সেন্টের দিকে নামানো যায়। ২০ বছর বয়সী প্রতিষ্ঠাতার দল বলছে, বদলানো যায় এমন ব্যাটারি মডিউল ও লম্বা অপারেটিং সাইকেল তাদেরকে প্রচলিত কোয়াডকপ্টারের চেয়ে সস্তা সমাধান দেবে। প্রথম ধাপে ভারতের ব্যস্ত শহরগুলোতেই পাইলট—যেখানে ই-কমার্স ঘনত্ব ও যানজটে আকাশপথের সুযোগ বেশি।
নিয়মকানুন, নিরাপত্তা ও ইউনিট ইকোনমিক্স
চ্যালেঞ্জ কেবল উড্ডয়ন নয়, বিধিনিষেধও। ভারতের ড্রোন নীতিতে অনুমতি, রিমোট আইডি, করিডর—সবই প্রয়োজন, আর রাজ্যভেদে প্রয়োগ ভিন্ন। এয়ারবাউন্ড বলছে, তাদের গাইডেন্স সফটওয়্যার জিও-ফেন্সিং, দৃঢ় যোগাযোগ ও আবহাওয়া-নো-ফ্লাই জোন অনুযায়ী রুট মানিয়ে নিতে সক্ষম। স্কুল–হাসপাতাল ও উচ্চ-ভবনের পাশে নিরাপত্তা প্রটোকল কঠোরভাবে দেখা হবে। ব্যাটারি চার্জ–সোয়াপ ও সেলের আয়ু ইউনিট ইকোনমিক্সে নির্ণায়ক; কোম্পানি দাবি করেছে, মডিউলার প্যাক বদলে ‘টার্নঅ্যারাউন্ড’ দুই মিনিটের মধ্যে রাখা যাবে। রাতের বেলা ও পিক-আওয়ারে রিটেইলাররা এই সেবা চাইবে, তবে গুদাম-পর্যায়ে চুট, স্ক্যানার ও ফেল-সেফ ব্যবস্থাও আপডেট দরকার। পরীক্ষায় নির্ভরযোগ্য ড্রপ, কম শব্দ ও নিরাপত্তা নিশ্চিত হলে দ্রুত শহর অনুমতি, বিমা কাভার ও বাণিজ্যিক চুক্তি মিলতে পারে।