প্রতিশ্রুতি বনাম অবকাঠামো
হোয়াইট হাউস যুক্তরাষ্ট্রের তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) রপ্তানি বাড়াতে চায়, সঙ্গে ঘরোয়া বিল কমানোর প্রতিশ্রুতি। বাস্তবে হিসাব জটিল: টার্মিনাল ও দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি বহু বছরের প্রকল্প; ঘরোয়া দামের ওপর আবহাওয়া, মজুত ও পাইপলাইনের সীমা বড় প্রভাব ফেলে। ইউরোপের চাহিদা ২০২২ সালের শিখরের নিচে হলেও স্থিতিশীল; এশিয়া চায় নমনীয় কার্গো। নতুন ট্রেন চালাতে অনুমোদন, গ্যাস সরবরাহ ও মধ্য-ধারার (মিডস্ট্রিম) সক্ষমতা দরকার—যা স্থানীয় সম্প্রদায়ের সম্মতি সাপেক্ষ। সম্প্রসারণের মুখে মিথেন নিঃসরণ ও স্থানীয় বায়ুগুণ নিয়ে বিতর্ক জোরালো। বিনিয়োগের সুযোগ থাকলেও মূলধনের খরচ ও আইনি ঝুঁকি ‘ফাইনাল ইনভেস্টমেন্ট ডিসিশন’ বিলম্বিত করতে পারে।
পরবর্তী চাপের জায়গা
শীতের চাহিদা ও হারিকেন মৌসুম গালফ কোস্টে কার্যক্রম নড়বড়ে করতে পারে। অ্যাপালাচিয়ানের গ্যাস উপকূলে আনতে আরও পাইপলাইন চাই; না হলে সস্তা গ্যাস ‘স্ট্র্যান্ডেড’ থেকে হেনরি-হাবের সাথে স্থানীয় দামের বিচ্যুতি বাড়বে। রপ্তানি বাড়লে ও মজুত কম হলে দাম নিম্নমুখী থেকে হঠাৎ উল্টে যেতে পারে। প্রশাসনের যুক্তি—চাকরি, মিত্রদের জ্বালানি নিরাপত্তা, কম বিল—ধাক্কা খায় অবকাঠামোর সময়সীমা ও আদালত প্রক্রিয়ায়। জলবায়ু হিসাবের জন্য মিথেন মনিটরিং, বিদ্যুতায়িত কম্প্রেসর প্রভৃতি নির্গমন কমাতে পারে, কিন্তু জীবনচক্র প্রশ্ন রয়েই যায়। ইউটিলিটি ও শিল্পক্ষেত্র তাই দক্ষতা ও ‘ডিমান্ড রেসপন্স’ দিয়ে হেজ করবে, কারণ বিল নির্ধারণে কেবল দাম নয়, অস্থিরতাও বড় ফ্যাক্টর।