০৯:৫০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫
রকেট’ ভঙ্গির ড্রোনে এক সেন্ট ডেলিভারি—এয়ারবাউন্ডের তহবিল ৮.৬৫ মিলিয়ন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ঢাকা (পর্ব-৩৭) হজ নিবন্ধনের সময়সীমা বাড়ল ১৬ অক্টোবর পর্যন্ত আখ নয়, শস্যই এখন ভারতের ইথানল বিপ্লবের চালিকাশক্তি ডলারের বাজারে স্থিতিশীলতা আনতে ৬ ব্যাংক থেকে আরও ৩৮ মিলিয়ন ডলার কিনল কেন্দ্রীয় ব্যাংক ২৫ দিন ধরে ওসি শূন্য বেনাপোল পোর্ট থানা—অপরাধ ও চোরাচালানে বাড়ছে তিন দফা দাবিতে উচ্চ আদালতের সামনে অবস্থান ধর্মঘটে শিক্ষকরা ভারতের তেলঙ্গানার প্রাক্তন সাংসদ কে. কবিতা বললেন, ‘সত্য বলার কারণেই আজ আমি একা আসিয়ান শীর্ষে থাইল্যান্ড–কম্বোডিয়া যুদ্ধবিরতি চুক্তির দ্বারপ্রান্তে লালন শাহের ১৩৫তম মৃত্যুবার্ষিকীতে দেশব্যাপী উৎসব ও মেলা

এলএনজি বাড়ানোর পরিকল্পনা—দাম কমবে, নাকি পাইপলাইনই বাধা?

প্রতিশ্রুতি বনাম অবকাঠামো
হোয়াইট হাউস যুক্তরাষ্ট্রের তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) রপ্তানি বাড়াতে চায়, সঙ্গে ঘরোয়া বিল কমানোর প্রতিশ্রুতি। বাস্তবে হিসাব জটিল: টার্মিনাল ও দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি বহু বছরের প্রকল্প; ঘরোয়া দামের ওপর আবহাওয়া, মজুত ও পাইপলাইনের সীমা বড় প্রভাব ফেলে। ইউরোপের চাহিদা ২০২২ সালের শিখরের নিচে হলেও স্থিতিশীল; এশিয়া চায় নমনীয় কার্গো। নতুন ট্রেন চালাতে অনুমোদন, গ্যাস সরবরাহ ও মধ্য-ধারার (মিডস্ট্রিম) সক্ষমতা দরকার—যা স্থানীয় সম্প্রদায়ের সম্মতি সাপেক্ষ। সম্প্রসারণের মুখে মিথেন নিঃসরণ ও স্থানীয় বায়ুগুণ নিয়ে বিতর্ক জোরালো। বিনিয়োগের সুযোগ থাকলেও মূলধনের খরচ ও আইনি ঝুঁকি ‘ফাইনাল ইনভেস্টমেন্ট ডিসিশন’ বিলম্বিত করতে পারে।

পরবর্তী চাপের জায়গা
শীতের চাহিদা ও হারিকেন মৌসুম গালফ কোস্টে কার্যক্রম নড়বড়ে করতে পারে। অ্যাপালাচিয়ানের গ্যাস উপকূলে আনতে আরও পাইপলাইন চাই; না হলে সস্তা গ্যাস ‘স্ট্র্যান্ডেড’ থেকে হেনরি-হাবের সাথে স্থানীয় দামের বিচ্যুতি বাড়বে। রপ্তানি বাড়লে ও মজুত কম হলে দাম নিম্নমুখী থেকে হঠাৎ উল্টে যেতে পারে। প্রশাসনের যুক্তি—চাকরি, মিত্রদের জ্বালানি নিরাপত্তা, কম বিল—ধাক্কা খায় অবকাঠামোর সময়সীমা ও আদালত প্রক্রিয়ায়। জলবায়ু হিসাবের জন্য মিথেন মনিটরিং, বিদ্যুতায়িত কম্প্রেসর প্রভৃতি নির্গমন কমাতে পারে, কিন্তু জীবনচক্র প্রশ্ন রয়েই যায়। ইউটিলিটি ও শিল্পক্ষেত্র তাই দক্ষতা ও ‘ডিমান্ড রেসপন্স’ দিয়ে হেজ করবে, কারণ বিল নির্ধারণে কেবল দাম নয়, অস্থিরতাও বড় ফ্যাক্টর।

জনপ্রিয় সংবাদ

রকেট’ ভঙ্গির ড্রোনে এক সেন্ট ডেলিভারি—এয়ারবাউন্ডের তহবিল ৮.৬৫ মিলিয়ন

এলএনজি বাড়ানোর পরিকল্পনা—দাম কমবে, নাকি পাইপলাইনই বাধা?

০৫:৫৫:০৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫

প্রতিশ্রুতি বনাম অবকাঠামো
হোয়াইট হাউস যুক্তরাষ্ট্রের তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) রপ্তানি বাড়াতে চায়, সঙ্গে ঘরোয়া বিল কমানোর প্রতিশ্রুতি। বাস্তবে হিসাব জটিল: টার্মিনাল ও দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি বহু বছরের প্রকল্প; ঘরোয়া দামের ওপর আবহাওয়া, মজুত ও পাইপলাইনের সীমা বড় প্রভাব ফেলে। ইউরোপের চাহিদা ২০২২ সালের শিখরের নিচে হলেও স্থিতিশীল; এশিয়া চায় নমনীয় কার্গো। নতুন ট্রেন চালাতে অনুমোদন, গ্যাস সরবরাহ ও মধ্য-ধারার (মিডস্ট্রিম) সক্ষমতা দরকার—যা স্থানীয় সম্প্রদায়ের সম্মতি সাপেক্ষ। সম্প্রসারণের মুখে মিথেন নিঃসরণ ও স্থানীয় বায়ুগুণ নিয়ে বিতর্ক জোরালো। বিনিয়োগের সুযোগ থাকলেও মূলধনের খরচ ও আইনি ঝুঁকি ‘ফাইনাল ইনভেস্টমেন্ট ডিসিশন’ বিলম্বিত করতে পারে।

পরবর্তী চাপের জায়গা
শীতের চাহিদা ও হারিকেন মৌসুম গালফ কোস্টে কার্যক্রম নড়বড়ে করতে পারে। অ্যাপালাচিয়ানের গ্যাস উপকূলে আনতে আরও পাইপলাইন চাই; না হলে সস্তা গ্যাস ‘স্ট্র্যান্ডেড’ থেকে হেনরি-হাবের সাথে স্থানীয় দামের বিচ্যুতি বাড়বে। রপ্তানি বাড়লে ও মজুত কম হলে দাম নিম্নমুখী থেকে হঠাৎ উল্টে যেতে পারে। প্রশাসনের যুক্তি—চাকরি, মিত্রদের জ্বালানি নিরাপত্তা, কম বিল—ধাক্কা খায় অবকাঠামোর সময়সীমা ও আদালত প্রক্রিয়ায়। জলবায়ু হিসাবের জন্য মিথেন মনিটরিং, বিদ্যুতায়িত কম্প্রেসর প্রভৃতি নির্গমন কমাতে পারে, কিন্তু জীবনচক্র প্রশ্ন রয়েই যায়। ইউটিলিটি ও শিল্পক্ষেত্র তাই দক্ষতা ও ‘ডিমান্ড রেসপন্স’ দিয়ে হেজ করবে, কারণ বিল নির্ধারণে কেবল দাম নয়, অস্থিরতাও বড় ফ্যাক্টর।