কেন শহরপাড়ায় ভালুক বাড়ছে
জাপানে ভালুক দেখা ও আক্রমণ রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছেছে। হঠাৎ ঠান্ডা পড়া ও একোর্ন–চেস্টনাটের মতো বুনোফলের ঘাটতিতে প্রাণীরা শহরপাড়ায় খাবারের সন্ধানে নামছে। ফুকুশিমার ইইজাকা অনসেন এলাকায় এক ভালুক রাতভর ঘুরে বেড়ায়; ব্যবসা থেমে যায়, ভোরের আগে হঠাৎ অদৃশ্য হয়। পুলিশ–শিকারি দল বাগান ও নদীতীরে টহল জোরদার করেছে; সড়কের সাইনবোর্ডে ট্রাফিকের পাশাপাশি বন্যপ্রাণী সতর্কতাও দেখা যাচ্ছে। অধিকাংশ ঘটনায় প্রাণী চমকে ওঠে, শিকার করতে আসে না—তবু শাবক থাকলে ঝুঁকি বহুগুণ। গ্রামীণ জনসংখ্যা বৃদ্ধ হওয়ায় বসতি ঘিরে ‘বাফার’ জমি অবহেলায় ঝোপে ঢেকে যাচ্ছে—যা শহুরে প্রান্তে পশুদের আড়াল দেয়।
কীভাবে মানিয়ে নিচ্ছে কর্তৃপক্ষ ও নাগরিক
প্রতিরোধই মূল কৌশল। স্কুল–বাসস্টপে ঝোপ ছাঁটা, মোশন লাইট বসানো ও আবর্জনা ব্যবস্থাপনা কড়া করা হচ্ছে, যাতে আকর্ষণ কমে। পার্সিমন ও মিষ্টি আলুর ক্ষেতে কৃষকেরা পোর্টেবল ইলেকট্রিক ফেন্স দিচ্ছেন। হাইকিং গ্রুপ ছোট দলে চলা, শব্দ করা ও বাঁশি বহনের পরামর্শ দিচ্ছে। শহুরে এলাকায় সর্বশেষ বিকল্প হিসেবে লক্ষ্যভিত্তিক গুলি চালানোর নির্দেশিকা রয়েছে, তবে স্থানান্তর কার্যত কঠিন—অনেক ভালুক ফিরে আসে বা নতুন জায়গায় টেকে না। প্রিফেকচারগুলোর ডেটা ভাগাভাগি করে চলাচলের করিডর চিহ্নিত করা হচ্ছে, যাতে ফেন্সিং–প্যাট্রোল সঠিক স্থানে হয়। দীর্ঘমেয়াদে কৃষি ক্ষতির বীমা ও নেটিং–ফেন্সিংয়ে ভর্তুকি দিলে প্রাণী নিধনের চাপ কমতে পারে। সচেতনতা, মৌসুমি সতর্কতা ও রিপোর্টিং অ্যাপ—এই শিক্ষা-ভিত্তিক উপায়গুলোই সবচেয়ে স্কেলযোগ্য।