১২:১৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫
ডিডব্লিউটিএস’-এ ‘বয় মিটস ওয়ার্ল্ড’ রিইউনিয়ন উইন্ডোজ ১০ শেষ—কোন ল্যাপটপে আপগ্রেড করবেন, আজকের গাইড বাণিজ্য-উদ্বেগে তেলদাম নিম্নমুখী—সরবরাহ এখনো স্বচ্ছন্দ রকেট’ ভঙ্গির ড্রোনে এক সেন্ট ডেলিভারি—এয়ারবাউন্ডের তহবিল ৮.৬৫ মিলিয়ন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ঢাকা (পর্ব-৩৭) হজ নিবন্ধনের সময়সীমা বাড়ল ১৬ অক্টোবর পর্যন্ত আখ নয়, শস্যই এখন ভারতের ইথানল বিপ্লবের চালিকাশক্তি ডলারের বাজারে স্থিতিশীলতা আনতে ৬ ব্যাংক থেকে আরও ৩৮ মিলিয়ন ডলার কিনল কেন্দ্রীয় ব্যাংক ২৫ দিন ধরে ওসি শূন্য বেনাপোল পোর্ট থানা—অপরাধ ও চোরাচালানে বাড়ছে তিন দফা দাবিতে উচ্চ আদালতের সামনে অবস্থান ধর্মঘটে শিক্ষকরা

শিক্ষকদের সম্মান শুধু কথায় নয়, বাস্তব পদক্ষেপে দিতে হবে—জি. এম. কাদের

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি. এম. কাদের বলেছেন, শিক্ষকদের ন্যায্য সম্মান ও মর্যাদা নিশ্চিত না করলে দেশের নৈতিক ভিত্তি দুর্বল হয়ে পড়বে। তিনি সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, এমপিওভুক্ত শিক্ষক ও কর্মচারীদের মানবিক ও যুক্তিসংগত দাবিগুলো দ্রুত মেনে নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান নিশ্চিত করতে হবে।


শিক্ষকদের ন্যায্য দাবি ও মানবিক দৃষ্টিভঙ্গির আহ্বান

জি. এম. কাদের মনে করেন, একটি জাতির উন্নয়ন ও নৈতিক শক্তি নির্ভর করে তার শিক্ষকদের মর্যাদা ও অবস্থানের উপর। তিনি বলেন, শুধু মুখে সম্মান জানালেই হবে না—শিক্ষকদের জীবিকা নির্বাহের উপযোগী সম্মানী নিশ্চিত করলেই প্রকৃত শ্রদ্ধা প্রদর্শিত হয়।
মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর ২০২৫) ঢাকার কাকরাইলস্থ দলীয় কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে তিনি এই আহ্বান জানান।


এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের তিনটি প্রধান দাবি

আন্দোলনরত এমপিওভুক্ত শিক্ষক ও কর্মচারীদের তিনটি প্রধান দাবি তুলে ধরে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন—
১. মূল বেতনের ২০ শতাংশ হারে (ন্যূনতম ৩ হাজার টাকা) বাড়ি ভাড়া ভাতা,
২. দেড় হাজার টাকা চিকিৎসা ভাতা,
৩. উৎসব ভাতা ৭৫ শতাংশে উন্নীতকরণ।

তিনি উল্লেখ করেন, “বর্তমান মুদ্রাস্ফীতির সময়ে এই দাবিগুলো কেবল যুক্তিসঙ্গতই নয়, অত্যন্ত মানবিকও। সরকার এই বিষয়গুলো বিবেচনায় নিলে শিক্ষকদের জীবনযাত্রায় ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে।”


পূর্ববর্তী সংসদীয় দাবি ও রাজনৈতিক অঙ্গীকার

জি. এম. কাদের তাঁর বিবৃতিতে স্মরণ করিয়ে দেন, ২০২১-২২ অর্থবছরের জাতীয় সংসদের বাজেট অধিবেশনে তিনি এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। একইসঙ্গে তিনি ২৫ শতাংশ উৎসব ভাতার পরিবর্তে শতভাগ উৎসব ভাতা প্রদানের দাবি তুলেছিলেন।
তিনি বলেন, “শিক্ষকরা জাতি গঠনের কারিগর। তাঁদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন শুধু সরকারের দায়িত্ব নয়, এটি জাতির নৈতিক কর্তব্যও।”


সরকারের প্রতি আহ্বান

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান আশা প্রকাশ করেন, সরকার শিক্ষকদের আন্দোলনকে রাজপথ থেকে আলোচনার টেবিলে নিয়ে এসে সমাধানের পথে এগিয়ে আসবে।
তিনি বলেন, “আন্দোলনের পথে না গিয়ে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করা উচিত। আমি আশা করি, সরকার শিক্ষকদের সঙ্গে আলোচনায় বসে তাঁদের ন্যায্য দাবিগুলো বাস্তবায়ন করবে।”


শিক্ষকদের সম্মান ও ন্যায্য পারিশ্রমিক নিশ্চিত করার দাবি নতুন নয়—তবে সময়ের প্রেক্ষাপটে এটি এখন আরও জরুরি হয়ে উঠেছে। জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের এই আহ্বান দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় নীতিনিষ্ঠ ও মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি ফিরিয়ে আনার এক গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক বার্তা।

#এমপিওভুক্তশিক্ষক #জাতীয়পার্টি #জিএমকাদের #শিক্ষানীতি #বাংলাদেশ #শিক্ষকদেরদাবি

জনপ্রিয় সংবাদ

ডিডব্লিউটিএস’-এ ‘বয় মিটস ওয়ার্ল্ড’ রিইউনিয়ন

শিক্ষকদের সম্মান শুধু কথায় নয়, বাস্তব পদক্ষেপে দিতে হবে—জি. এম. কাদের

০৭:৪০:৪২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি. এম. কাদের বলেছেন, শিক্ষকদের ন্যায্য সম্মান ও মর্যাদা নিশ্চিত না করলে দেশের নৈতিক ভিত্তি দুর্বল হয়ে পড়বে। তিনি সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, এমপিওভুক্ত শিক্ষক ও কর্মচারীদের মানবিক ও যুক্তিসংগত দাবিগুলো দ্রুত মেনে নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান নিশ্চিত করতে হবে।


শিক্ষকদের ন্যায্য দাবি ও মানবিক দৃষ্টিভঙ্গির আহ্বান

জি. এম. কাদের মনে করেন, একটি জাতির উন্নয়ন ও নৈতিক শক্তি নির্ভর করে তার শিক্ষকদের মর্যাদা ও অবস্থানের উপর। তিনি বলেন, শুধু মুখে সম্মান জানালেই হবে না—শিক্ষকদের জীবিকা নির্বাহের উপযোগী সম্মানী নিশ্চিত করলেই প্রকৃত শ্রদ্ধা প্রদর্শিত হয়।
মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর ২০২৫) ঢাকার কাকরাইলস্থ দলীয় কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে তিনি এই আহ্বান জানান।


এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের তিনটি প্রধান দাবি

আন্দোলনরত এমপিওভুক্ত শিক্ষক ও কর্মচারীদের তিনটি প্রধান দাবি তুলে ধরে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন—
১. মূল বেতনের ২০ শতাংশ হারে (ন্যূনতম ৩ হাজার টাকা) বাড়ি ভাড়া ভাতা,
২. দেড় হাজার টাকা চিকিৎসা ভাতা,
৩. উৎসব ভাতা ৭৫ শতাংশে উন্নীতকরণ।

তিনি উল্লেখ করেন, “বর্তমান মুদ্রাস্ফীতির সময়ে এই দাবিগুলো কেবল যুক্তিসঙ্গতই নয়, অত্যন্ত মানবিকও। সরকার এই বিষয়গুলো বিবেচনায় নিলে শিক্ষকদের জীবনযাত্রায় ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে।”


পূর্ববর্তী সংসদীয় দাবি ও রাজনৈতিক অঙ্গীকার

জি. এম. কাদের তাঁর বিবৃতিতে স্মরণ করিয়ে দেন, ২০২১-২২ অর্থবছরের জাতীয় সংসদের বাজেট অধিবেশনে তিনি এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। একইসঙ্গে তিনি ২৫ শতাংশ উৎসব ভাতার পরিবর্তে শতভাগ উৎসব ভাতা প্রদানের দাবি তুলেছিলেন।
তিনি বলেন, “শিক্ষকরা জাতি গঠনের কারিগর। তাঁদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন শুধু সরকারের দায়িত্ব নয়, এটি জাতির নৈতিক কর্তব্যও।”


সরকারের প্রতি আহ্বান

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান আশা প্রকাশ করেন, সরকার শিক্ষকদের আন্দোলনকে রাজপথ থেকে আলোচনার টেবিলে নিয়ে এসে সমাধানের পথে এগিয়ে আসবে।
তিনি বলেন, “আন্দোলনের পথে না গিয়ে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করা উচিত। আমি আশা করি, সরকার শিক্ষকদের সঙ্গে আলোচনায় বসে তাঁদের ন্যায্য দাবিগুলো বাস্তবায়ন করবে।”


শিক্ষকদের সম্মান ও ন্যায্য পারিশ্রমিক নিশ্চিত করার দাবি নতুন নয়—তবে সময়ের প্রেক্ষাপটে এটি এখন আরও জরুরি হয়ে উঠেছে। জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের এই আহ্বান দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় নীতিনিষ্ঠ ও মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি ফিরিয়ে আনার এক গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক বার্তা।

#এমপিওভুক্তশিক্ষক #জাতীয়পার্টি #জিএমকাদের #শিক্ষানীতি #বাংলাদেশ #শিক্ষকদেরদাবি