০৯:১৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ঢাকা (পর্ব-৩৮) অশান্তির জন্য নোবেল থাকলে বাংলাদেশ পেত”— জিএম কাদের একদিনে আরও ৪ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৭৫৮ জন বেতন ও ভাতার দাবিতে পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে বিক্ষোভ, শিক্ষক-কর্মচারীদের শাহবাগ অবরোধ অ্যানথ্রাক্স নিয়ন্ত্রণে গরুর জরুরী কোয়ারেন্টাইনের সিদ্ধান্ত এক দিনে ৮০ পয়েন্ট পতন, ধস নামলো ঢাকার শেয়ারবাজারে রংপুরে অ্যানথ্রাক্স: গঙ্গাচরায় প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া গরু জবাই নিষিদ্ধ দীপিকা পাড়ুকোনের গ্লোবাল প্লেবুক: হিন্দি ছবির সুপারস্টার কীভাবে বানালেন সীমাহীন ক্যারিয়ার শিক্ষক আন্দোলনে অস্থিরতা শিক্ষায়, সমাধানে কী করছে সরকার? ১২ ম্যাচে ১১ হার, যেভাবে এক যুগে ‘সর্বনিম্ন’ অবস্থায় বাংলাদেশের ওয়ানডে ক্রিকেট

ইসরায়েলে ট্রাম্পকে নায়কের মর্যাদা গাজার যুদ্ধবিরতিতে ঐতিহাসিক মোড়—

শান্তির সূর্যোদয়: গাজা যুদ্ধবিরতিতে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা

দুই বছরের বিধ্বংসী গাজা যুদ্ধের অবসানে এক ঐতিহাসিক চুক্তিতে সোমবার হামাস শেষ জীবিত ২০ জন ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্ত করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় স্বাক্ষরিত এই যুদ্ধবিরতি চুক্তিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প অভিহিত করেছেন “ঐতিহাসিক ভোর” হিসেবে।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানায়, রেড ক্রসের সহায়তায় গাজা থেকে স্থানান্তরের পর সব জিম্মি তাদের কাছে পৌঁছেছে। সেই সঙ্গে হাজার হাজার মানুষ তেল-আবিবের ‘হোস্টেজ স্কোয়ারে’ উল্লাসে মেতে ওঠে। অপরদিকে, ইসরায়েলি কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছে বহু ফিলিস্তিনি বন্দি, যারা গাজা ও পশ্চিম তীরে পৌঁছালে পরিবারের সদস্যরা আলিঙ্গন করে, কান্নায় ভেসে ওঠেন।


ট্রাম্পের বক্তব্য: ‘এটাই মধ্যপ্রাচ্যের নতুন যুগ’

ইসরায়েলি পার্লামেন্টে ভাষণ দিতে গিয়ে ৭৯ বছর বয়সী ট্রাম্প ঘোষণা দেন, “আকাশ শান্ত, বন্দুক নীরব, সাইরেন থেমে গেছে, আর সূর্য উঠেছে এমন এক পবিত্র ভূমিতে, যা অবশেষে শান্তিতে ফিরেছে।”

তিনি বলেন, “এখন সময় এসেছে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধক্ষেত্রের সাফল্যকে শান্তি ও সমৃদ্ধিতে রূপান্তর করার।”
এই সময়ে তিনি আরব ও মুসলিম দেশগুলোকে ধন্যবাদ জানান গাজা পুনর্গঠনে সহযোগিতার জন্য এবং আহ্বান জানান ইরানের সঙ্গেও শান্তিচুক্তির দিকে এগোতে।


ইসরায়েলে ট্রাম্পকে নায়কের মর্যাদা

ইসরায়েলি পার্লামেন্টে উপস্থিত সবাই ট্রাম্পকে দাঁড়িয়ে অভিনন্দন জানায়; কেউ কেউ লাল রঙের ‘ট্রাম্প দ্য পিস প্রেসিডেন্ট’ লেখা টুপি পরেছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু তাকে বলেন, “ইসরায়েলের ইতিহাসে ট্রাম্প আমাদের সবচেয়ে বড় বন্ধু।”
তিনি ট্রাম্পকে স্বর্ণের কবুতর উপহার দেন এবং দেশের সর্বোচ্চ নাগরিক পুরস্কার ‘ইসরায়েল প্রাইজ’-এর জন্য মনোনীত করেন।


মার্কিন রাজনীতিতেও প্রশংসার ঝড়

ট্রাম্পের দেশীয় প্রতিদ্বন্দ্বীরাও এই সাফল্যের প্রশংসা করেছেন। এমনকি তার রাজনৈতিক বিরোধীরাও বলেছেন, গাজার চুক্তি বাস্তবায়নে ট্রাম্পের ভূমিকা ছিল ‘নির্ণায়ক’।
নিজের বক্তব্যে ট্রাম্প বলেন, “আমি জীবনে অনেক সাফল্যের সাক্ষী হয়েছি, কিন্তু আজকের মতো কিছু কখনও দেখিনি। মানুষ এখন রাস্তায় নাচছে।”


মিশরে শান্তি সম্মেলন ও ‘বোর্ড অব পিস’ পরিকল্পনা

গাজা যুদ্ধবিরতির পরবর্তী ধাপ নিয়ে সোমবার মিশরের শার্ম আল শেখে বিশ্বনেতাদের সম্মেলন বসে। ২০টিরও বেশি দেশের নেতা ট্রাম্পের ২০ দফা শান্তি-পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করেন।

চুক্তির প্রথম ধাপে বন্দি বিনিময় সফলভাবে সম্পন্ন হলেও, সামনে রয়েছে বড় চ্যালেঞ্জ—যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজার ভবিষ্যৎ শাসনব্যবস্থা এবং হামাসের রাজনৈতিক অবস্থান নির্ধারণ।

চুক্তির আওতায় একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা—‘বোর্ড অব পিস’—গঠনের প্রস্তাব এসেছে, যার নেতৃত্বে থাকবেন ট্রাম্প নিজে।


ধ্বংসস্তূপে গাজার মানবিক বিপর্যয়

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের সীমান্তপারের হামলায় ১,২০০ ইসরায়েলি নিহত হয় এবং ২৫১ জনকে জিম্মি করা হয়—হলোকাস্টের পর ইহুদিদের জন্য সবচেয়ে ভয়াবহ দিন।

এর প্রতিক্রিয়ায় ইসরায়েলি বিমান ও স্থল অভিযান চালায়, যাতে গাজার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের হিসাবে ৬৭,০০০ ফিলিস্তিনি প্রাণ হারায় এবং ২২ লাখ মানুষের বেশিরভাগই গৃহহীন হয়ে পড়ে। আন্তর্জাতিক ত্রাণ সংস্থাগুলোর মতে, যুদ্ধ ও অবরোধের ফলে গাজায় দুর্ভিক্ষ দেখা দিয়েছে।

জাতিসংঘের ত্রাণ প্রধান টম ফ্লেচার বলেন, “এখন সবচেয়ে জরুরি হলো আশ্রয়, জ্বালানি, খাদ্য ও ওষুধ দ্রুত পৌঁছে দেওয়া। মানবিক সহায়তা বাড়াতে হবে বহুগুণে।”


উচ্ছ্বাস ও অশ্রুতে বন্দিমুক্তির দিন

ইসরায়েলে মুক্তিপ্রাপ্ত বন্দিরা হাসপাতালের পথে গাড়িতে চড়ে পতাকা নাড়েন, কেউবা আকাশের দিকে হৃদয়চিহ্ন দেখান।
অন্যদিকে গাজায় বন্দিমুক্ত ফিলিস্তিনিদের স্বাগত জানাতে হামাস সদস্যরা নাসের হাসপাতালে মঞ্চ তৈরি করে।

গাজার এক বাসিন্দা ইমাদ আবু জৌদাত বলেন, “আমরা বন্ধু, আত্মীয়, ঘর-বাড়ি সব হারিয়েছি। আশা করি এই দৃশ্যই যুদ্ধের অবসান ঘটাবে।”


এখনো যে বিপত্তি রয়ে গেছে

চুক্তি সত্ত্বেও ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত। গাজা কে শাসন করবে এবং হামাসের অবস্থান কী হবে—এ নিয়েই প্রশ্ন।
চুক্তি অনুযায়ী হামাসকে নিরস্ত্র হওয়ার প্রতিশ্রুতি দিতে হবে, কিন্তু সংগঠনটি পূর্বে জানিয়েছিল, স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত তারা অস্ত্র রাখবে।

ইতিমধ্যে হামাসের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা অভিযানে ৩২ জন নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে। বিশ্লেষকরা মনে করেন, এই ধরনের সহিংসতা ইসরায়েলের উদ্বেগ বাড়াবে এবং স্থায়ী শান্তির পথে বড় বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে।


‘একটি যুগের অবসান’

ট্রাম্প তার বক্তব্যে বলেন, “এটা শুধু যুদ্ধের সমাপ্তি নয়, এটা সন্ত্রাস ও মৃত্যুর যুগের অবসান। এখন সময় এসেছে মধ্যপ্রাচ্যকে শান্তি ও সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নেওয়ার।”

তার এই ঘোষণা মধ্যপ্রাচ্যে যেমন উচ্ছ্বাসের জন্ম দিয়েছে, তেমনি ভবিষ্যতের শান্তি স্থাপনের বাস্তব চ্যালেঞ্জও সামনে এনে দিয়েছে।


#ট্রাম্প #গাজাযুদ্ধবিরতি #ইসরায়েলহামাসচুক্তি #মধ্যপ্রাচ্যশান্তি #হামাসবন্দিমুক্তি #ফিলিস্তিনইসরায়েল #সারাক্ষণরিপোর্ট

জনপ্রিয় সংবাদ

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ঢাকা (পর্ব-৩৮)

ইসরায়েলে ট্রাম্পকে নায়কের মর্যাদা গাজার যুদ্ধবিরতিতে ঐতিহাসিক মোড়—

১২:১৭:৩৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫

শান্তির সূর্যোদয়: গাজা যুদ্ধবিরতিতে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা

দুই বছরের বিধ্বংসী গাজা যুদ্ধের অবসানে এক ঐতিহাসিক চুক্তিতে সোমবার হামাস শেষ জীবিত ২০ জন ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্ত করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় স্বাক্ষরিত এই যুদ্ধবিরতি চুক্তিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প অভিহিত করেছেন “ঐতিহাসিক ভোর” হিসেবে।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানায়, রেড ক্রসের সহায়তায় গাজা থেকে স্থানান্তরের পর সব জিম্মি তাদের কাছে পৌঁছেছে। সেই সঙ্গে হাজার হাজার মানুষ তেল-আবিবের ‘হোস্টেজ স্কোয়ারে’ উল্লাসে মেতে ওঠে। অপরদিকে, ইসরায়েলি কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছে বহু ফিলিস্তিনি বন্দি, যারা গাজা ও পশ্চিম তীরে পৌঁছালে পরিবারের সদস্যরা আলিঙ্গন করে, কান্নায় ভেসে ওঠেন।


ট্রাম্পের বক্তব্য: ‘এটাই মধ্যপ্রাচ্যের নতুন যুগ’

ইসরায়েলি পার্লামেন্টে ভাষণ দিতে গিয়ে ৭৯ বছর বয়সী ট্রাম্প ঘোষণা দেন, “আকাশ শান্ত, বন্দুক নীরব, সাইরেন থেমে গেছে, আর সূর্য উঠেছে এমন এক পবিত্র ভূমিতে, যা অবশেষে শান্তিতে ফিরেছে।”

তিনি বলেন, “এখন সময় এসেছে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধক্ষেত্রের সাফল্যকে শান্তি ও সমৃদ্ধিতে রূপান্তর করার।”
এই সময়ে তিনি আরব ও মুসলিম দেশগুলোকে ধন্যবাদ জানান গাজা পুনর্গঠনে সহযোগিতার জন্য এবং আহ্বান জানান ইরানের সঙ্গেও শান্তিচুক্তির দিকে এগোতে।


ইসরায়েলে ট্রাম্পকে নায়কের মর্যাদা

ইসরায়েলি পার্লামেন্টে উপস্থিত সবাই ট্রাম্পকে দাঁড়িয়ে অভিনন্দন জানায়; কেউ কেউ লাল রঙের ‘ট্রাম্প দ্য পিস প্রেসিডেন্ট’ লেখা টুপি পরেছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু তাকে বলেন, “ইসরায়েলের ইতিহাসে ট্রাম্প আমাদের সবচেয়ে বড় বন্ধু।”
তিনি ট্রাম্পকে স্বর্ণের কবুতর উপহার দেন এবং দেশের সর্বোচ্চ নাগরিক পুরস্কার ‘ইসরায়েল প্রাইজ’-এর জন্য মনোনীত করেন।


মার্কিন রাজনীতিতেও প্রশংসার ঝড়

ট্রাম্পের দেশীয় প্রতিদ্বন্দ্বীরাও এই সাফল্যের প্রশংসা করেছেন। এমনকি তার রাজনৈতিক বিরোধীরাও বলেছেন, গাজার চুক্তি বাস্তবায়নে ট্রাম্পের ভূমিকা ছিল ‘নির্ণায়ক’।
নিজের বক্তব্যে ট্রাম্প বলেন, “আমি জীবনে অনেক সাফল্যের সাক্ষী হয়েছি, কিন্তু আজকের মতো কিছু কখনও দেখিনি। মানুষ এখন রাস্তায় নাচছে।”


মিশরে শান্তি সম্মেলন ও ‘বোর্ড অব পিস’ পরিকল্পনা

গাজা যুদ্ধবিরতির পরবর্তী ধাপ নিয়ে সোমবার মিশরের শার্ম আল শেখে বিশ্বনেতাদের সম্মেলন বসে। ২০টিরও বেশি দেশের নেতা ট্রাম্পের ২০ দফা শান্তি-পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করেন।

চুক্তির প্রথম ধাপে বন্দি বিনিময় সফলভাবে সম্পন্ন হলেও, সামনে রয়েছে বড় চ্যালেঞ্জ—যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজার ভবিষ্যৎ শাসনব্যবস্থা এবং হামাসের রাজনৈতিক অবস্থান নির্ধারণ।

চুক্তির আওতায় একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা—‘বোর্ড অব পিস’—গঠনের প্রস্তাব এসেছে, যার নেতৃত্বে থাকবেন ট্রাম্প নিজে।


ধ্বংসস্তূপে গাজার মানবিক বিপর্যয়

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের সীমান্তপারের হামলায় ১,২০০ ইসরায়েলি নিহত হয় এবং ২৫১ জনকে জিম্মি করা হয়—হলোকাস্টের পর ইহুদিদের জন্য সবচেয়ে ভয়াবহ দিন।

এর প্রতিক্রিয়ায় ইসরায়েলি বিমান ও স্থল অভিযান চালায়, যাতে গাজার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের হিসাবে ৬৭,০০০ ফিলিস্তিনি প্রাণ হারায় এবং ২২ লাখ মানুষের বেশিরভাগই গৃহহীন হয়ে পড়ে। আন্তর্জাতিক ত্রাণ সংস্থাগুলোর মতে, যুদ্ধ ও অবরোধের ফলে গাজায় দুর্ভিক্ষ দেখা দিয়েছে।

জাতিসংঘের ত্রাণ প্রধান টম ফ্লেচার বলেন, “এখন সবচেয়ে জরুরি হলো আশ্রয়, জ্বালানি, খাদ্য ও ওষুধ দ্রুত পৌঁছে দেওয়া। মানবিক সহায়তা বাড়াতে হবে বহুগুণে।”


উচ্ছ্বাস ও অশ্রুতে বন্দিমুক্তির দিন

ইসরায়েলে মুক্তিপ্রাপ্ত বন্দিরা হাসপাতালের পথে গাড়িতে চড়ে পতাকা নাড়েন, কেউবা আকাশের দিকে হৃদয়চিহ্ন দেখান।
অন্যদিকে গাজায় বন্দিমুক্ত ফিলিস্তিনিদের স্বাগত জানাতে হামাস সদস্যরা নাসের হাসপাতালে মঞ্চ তৈরি করে।

গাজার এক বাসিন্দা ইমাদ আবু জৌদাত বলেন, “আমরা বন্ধু, আত্মীয়, ঘর-বাড়ি সব হারিয়েছি। আশা করি এই দৃশ্যই যুদ্ধের অবসান ঘটাবে।”


এখনো যে বিপত্তি রয়ে গেছে

চুক্তি সত্ত্বেও ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত। গাজা কে শাসন করবে এবং হামাসের অবস্থান কী হবে—এ নিয়েই প্রশ্ন।
চুক্তি অনুযায়ী হামাসকে নিরস্ত্র হওয়ার প্রতিশ্রুতি দিতে হবে, কিন্তু সংগঠনটি পূর্বে জানিয়েছিল, স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত তারা অস্ত্র রাখবে।

ইতিমধ্যে হামাসের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা অভিযানে ৩২ জন নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে। বিশ্লেষকরা মনে করেন, এই ধরনের সহিংসতা ইসরায়েলের উদ্বেগ বাড়াবে এবং স্থায়ী শান্তির পথে বড় বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে।


‘একটি যুগের অবসান’

ট্রাম্প তার বক্তব্যে বলেন, “এটা শুধু যুদ্ধের সমাপ্তি নয়, এটা সন্ত্রাস ও মৃত্যুর যুগের অবসান। এখন সময় এসেছে মধ্যপ্রাচ্যকে শান্তি ও সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নেওয়ার।”

তার এই ঘোষণা মধ্যপ্রাচ্যে যেমন উচ্ছ্বাসের জন্ম দিয়েছে, তেমনি ভবিষ্যতের শান্তি স্থাপনের বাস্তব চ্যালেঞ্জও সামনে এনে দিয়েছে।


#ট্রাম্প #গাজাযুদ্ধবিরতি #ইসরায়েলহামাসচুক্তি #মধ্যপ্রাচ্যশান্তি #হামাসবন্দিমুক্তি #ফিলিস্তিনইসরায়েল #সারাক্ষণরিপোর্ট