০৮:৪৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫
নগরজীবনে মানিয়ে নিচ্ছে বন্যপ্রাণী গ্লোবাল কনটেন্টে ঝুঁকছে স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম তীব্র তাপে বিশ্বজুড়ে বিদ্যুৎ গ্রিডে চাপ বিআরটিএতে সবচেয়ে বেশি দুর্নীতি, আইনশৃঙ্খলা ও পাসপোর্ট দপ্তরও শীর্ষে মগবাজার ফ্লাইওভার থেকে বোমা নিক্ষেপ, নিহত এক পথচারী অসম ভিআইপি সুবিধা নির্বাচন আচরণবিধি লঙ্ঘন: নির্বাচন কমিশনকে জানাল জামায়াত বড়দিন ও সাপ্তাহিক ছুটিতে টানা তিন দিন বন্ধ ব্যাংক ও শেয়ারবাজার বৃহস্পতিবার দেশে পালিত হবে বড়দিন, উৎসব ঘিরে শুভেচ্ছা ও বাড়তি নিরাপত্তা উপেক্ষিত রুমিন ফারহানা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ তরুণ ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের কর্মসংস্থানে বিশ্বব্যাংকের নতুন অর্থায়ন, বাংলাদেশে অনুমোদন ১৫০ কোটি ডলার

অপরাধচক্রের কবলে কম্বোডিয়া—কোরিয়ান নাগরিক অপহরণে বিশ্বজুড়ে উদ্বেগ

দক্ষিণ কোরিয়ান নাগরিক অপহরণের উদ্বেগজনক বৃদ্ধি

একসময় দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার জনপ্রিয় পর্যটন গন্তব্য ছিল কম্বোডিয়া—নিরাপদ, সাশ্রয়ী এবং অতিথিপরায়ণতার জন্য সুপরিচিত। কিন্তু সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এই দেশের ভাবমূর্তি ভয়াবহভাবে নষ্ট হয়েছে। এখন এটি আলোচিত অপহরণ, সহিংসতা ও আন্তর্জাতিক অপরাধচক্রের আস্তানা হিসেবে পরিচিত।

দক্ষিণ কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালে মাত্র ১৭ জন কোরিয়ান নাগরিক কম্বোডিয়ায় অপহরণ বা বেআইনি আটকাদেশের শিকার হন। কিন্তু ২০২৪ সালে এই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ২২০ জনে, আর চলতি বছর আগস্ট পর্যন্ত তা ৩৩০ ছাড়িয়ে গেছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, দুর্বল আইনশৃঙ্খলা, সীমান্ত নিয়ন্ত্রণের অভাব এবং গভীরমূল দুর্নীতি কম্বোডিয়াকে আন্তর্জাতিক অপরাধচক্রের জন্য এক “স্বর্গে” পরিণত করেছে। এসব অপরাধচক্রের নেতৃত্ব প্রায়ই চীনা নাগরিকদের হাতে থাকে।


প্রতারণার ফাঁদে তরুণ কোরিয়ানরা

অপহৃতদের অধিকাংশই ২০ থেকে ৩০ বছর বয়সী তরুণ-তরুণী। তাদের লক্ষ্য করে অনলাইনে চাকরির বিজ্ঞাপন ছড়ানো হয়—যেখানে বলা হয়, মাসে ৮ থেকে ১৫ মিলিয়ন উওন আয় করা সম্ভব, বিমান ভাড়া ও থাকার ব্যবস্থা বিনামূল্যে, এবং কোনো বিশেষ দক্ষতার প্রয়োজন নেই।

চাকরির লোভে তারা কম্বোডিয়ায় পৌঁছালে তাদের নিয়ে যাওয়া হয় বোকার ও সিহানুকভিলের মতো এলাকায়, যেখানে “স্ক্যাম সেন্টার” বা প্রতারণার ঘাঁটি স্থাপন করা হয়েছে। সেখানে তাদের জোর করে ভয়েস ফিশিং, অনলাইন প্রেমের প্রতারণা বা অন্যান্য সাইবার অপরাধে জড়ানো হয়। পৌঁছানোর পরপরই তাদের পাসপোর্ট ও মূল্যবান জিনিসপত্র কেড়ে নেওয়া হয়। প্রতিরোধের চেষ্টা করলে মারধর, নির্যাতন এমনকি হত্যার ঘটনাও ঘটে।

ডোংগুক বিশ্ববিদ্যালয়ের পুলিশ প্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক কওয়াক দে-কিউং বলেন, “দক্ষিণ কোরিয়ার উন্নত ডিজিটাল অবকাঠামো অপরাধীদের কাছে আদর্শ লক্ষ্য হয়ে উঠেছে। ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ও পরিচয়পত্র অনলাইনে সহজেই তৈরি করা যায়, যা পাচারকারীদের জন্য একপ্রকার স্বপ্ন।”


ভয়াবহ অপহরণ ও হত্যাকাণ্ডের ধারাবাহিকতা

সর্বশেষ ঘটনায় গিয়ংবুক প্রাদেশিক পুলিশ জানায়, ৩০-এর কোঠার এক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী ১৯ আগস্ট কম্বোডিয়া যাওয়ার পর নিখোঁজ হন। ২৪ আগস্ট তার পরিবার টেলিগ্রামে ভিডিও কল পায়, যেখানে অপহরণকারীরা ২০ মিলিয়ন উওন মুক্তিপণ দাবি করে।

এর আগেও একই ধরনের ঘটনা ঘটে—২২ বছর বয়সী পার্ক নামের এক ছাত্র বোকার পাহাড়সংলগ্ন এলাকায় মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। স্থানীয় মৃত্যুসনদে লেখা হয়, “নির্যাতনের ফলে সৃষ্ট যন্ত্রণায় হৃদরোগে মৃত্যু।” তার পরিবার জানায়, এক চীনা উচ্চারণের ব্যক্তি ফোনে ৫০ মিলিয়ন উওন মুক্তিপণ দাবি করেছিল।

দক্ষিণ কোরিয়ার শাসক দল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির সাংসদ পার্ক চ্যান-ডে’র কার্যালয় জানায়, পার্কের সঙ্গে আটক আরেক কোরিয়ান নাগরিক পরে উদ্ধার হওয়ার পর জানান, পার্ককে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছিল।


দুর্বল আইনশৃঙ্খলা ও গভীর দুর্নীতির শিকড়

আসান ইনস্টিটিউট ফর পলিসি স্টাডিজের দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া বিষয়ক বিশেষজ্ঞ লি জে-হিউন বলেন, “কম্বোডিয়া দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অন্যতম অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল দেশ। কিন্তু আরও বড় সমস্যা হলো স্থানীয় প্রশাসন ও অপরাধী গোষ্ঠীর আঁতাত। অনেক চীনা গ্যাং এই স্ক্যাম সেন্টারগুলো পরিচালনা করছে এবং তাদের সঙ্গে স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সরাসরি যোগাযোগ রয়েছে। ফলে কেন্দ্রীয় সরকার চাইলেও স্থানীয় প্রশাসনকে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হচ্ছে না—এটাই সবচেয়ে বড় বিপদ।”

চীন ও থাইল্যান্ডে অপরাধ দমন কার্যক্রম শক্তিশালী হওয়ায় অনেক অপরাধী দল এখন কম্বোডিয়ায় ঘাঁটি স্থাপন করছে, যেখানে আইনের প্রয়োগ ও বিচারব্যবস্থা তুলনামূলক দুর্বল।


কোরিয়া সরকারের কূটনৈতিক তৎপরতা

দক্ষিণ কোরিয়ার পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, কম্বোডিয়ান কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সহযোগিতা অত্যন্ত ধীর ও সীমিত পর্যায়ের। তারা কম্বোডিয়ার পুলিশের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে একটি “কোরিয়ান ডেস্ক” স্থাপনের প্রস্তাব দিয়েছেন, যাতে কোরিয়ান নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায়।

দক্ষিণ কোরিয়ার জাতীয় পুলিশ সংস্থার ভারপ্রাপ্ত কমিশনার জেনারেল ইউ জে-সং বলেন, “অন্য দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় দেশের তুলনায় কম্বোডিয়ার পুলিশের সঙ্গে আমাদের সমন্বয় এখনো দুর্বল। আগামী সপ্তাহে কম্বোডিয়ান পুলিশের ডেপুটি কমিশনার জেনারেলের সঙ্গে বৈঠকে আমরা ‘কোরিয়ান ডেস্ক’ স্থাপনের প্রস্তাব দেব এবং স্থানীয় পুলিশকে আরও কঠোর পদক্ষেপ নিতে আহ্বান জানাব।”


জাতীয় পর্যায়ে নিরাপত্তা টাস্কফোর্স গঠন

বাড়তে থাকা উদ্বেগের প্রেক্ষিতে প্রেসিডেন্ট কার্যালয় ও সংশ্লিষ্ট সরকারি সংস্থাগুলো কোরিয়ান নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে একটি বিশেষ টাস্কফোর্স গঠন করেছে। জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা উই সাং-লাকের সভাপতিত্বে সোমবার প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বিচার মন্ত্রণালয়, জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ও জাতীয় পুলিশ সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, কম্বোডিয়ায় কোরিয়ান নাগরিকদের নিরাপত্তা জোরদারে কূটনৈতিক চাপ, যৌথ তদন্ত এবং প্রতিরোধমূলক প্রচারণা বাড়ানো হবে—যাতে আর কোনো তরুণ বিদেশে চাকরির লোভে প্রতারণা বা মৃত্যুর ফাঁদে না পড়ে।


#কম্বোডিয়া, #দক্ষিণ_কোরিয়া,# অপরাধচক্র,# অপহরণ, #আন্তর্জাতিক_অপরাধ, #কোরিয়ান_ডেস্ক,# নিরাপত্তা_টাস্কফোর্স,# সারাক্ষণ_রিপোর্ট

জনপ্রিয় সংবাদ

নগরজীবনে মানিয়ে নিচ্ছে বন্যপ্রাণী

অপরাধচক্রের কবলে কম্বোডিয়া—কোরিয়ান নাগরিক অপহরণে বিশ্বজুড়ে উদ্বেগ

১২:৫৯:১৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫

দক্ষিণ কোরিয়ান নাগরিক অপহরণের উদ্বেগজনক বৃদ্ধি

একসময় দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার জনপ্রিয় পর্যটন গন্তব্য ছিল কম্বোডিয়া—নিরাপদ, সাশ্রয়ী এবং অতিথিপরায়ণতার জন্য সুপরিচিত। কিন্তু সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এই দেশের ভাবমূর্তি ভয়াবহভাবে নষ্ট হয়েছে। এখন এটি আলোচিত অপহরণ, সহিংসতা ও আন্তর্জাতিক অপরাধচক্রের আস্তানা হিসেবে পরিচিত।

দক্ষিণ কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালে মাত্র ১৭ জন কোরিয়ান নাগরিক কম্বোডিয়ায় অপহরণ বা বেআইনি আটকাদেশের শিকার হন। কিন্তু ২০২৪ সালে এই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ২২০ জনে, আর চলতি বছর আগস্ট পর্যন্ত তা ৩৩০ ছাড়িয়ে গেছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, দুর্বল আইনশৃঙ্খলা, সীমান্ত নিয়ন্ত্রণের অভাব এবং গভীরমূল দুর্নীতি কম্বোডিয়াকে আন্তর্জাতিক অপরাধচক্রের জন্য এক “স্বর্গে” পরিণত করেছে। এসব অপরাধচক্রের নেতৃত্ব প্রায়ই চীনা নাগরিকদের হাতে থাকে।


প্রতারণার ফাঁদে তরুণ কোরিয়ানরা

অপহৃতদের অধিকাংশই ২০ থেকে ৩০ বছর বয়সী তরুণ-তরুণী। তাদের লক্ষ্য করে অনলাইনে চাকরির বিজ্ঞাপন ছড়ানো হয়—যেখানে বলা হয়, মাসে ৮ থেকে ১৫ মিলিয়ন উওন আয় করা সম্ভব, বিমান ভাড়া ও থাকার ব্যবস্থা বিনামূল্যে, এবং কোনো বিশেষ দক্ষতার প্রয়োজন নেই।

চাকরির লোভে তারা কম্বোডিয়ায় পৌঁছালে তাদের নিয়ে যাওয়া হয় বোকার ও সিহানুকভিলের মতো এলাকায়, যেখানে “স্ক্যাম সেন্টার” বা প্রতারণার ঘাঁটি স্থাপন করা হয়েছে। সেখানে তাদের জোর করে ভয়েস ফিশিং, অনলাইন প্রেমের প্রতারণা বা অন্যান্য সাইবার অপরাধে জড়ানো হয়। পৌঁছানোর পরপরই তাদের পাসপোর্ট ও মূল্যবান জিনিসপত্র কেড়ে নেওয়া হয়। প্রতিরোধের চেষ্টা করলে মারধর, নির্যাতন এমনকি হত্যার ঘটনাও ঘটে।

ডোংগুক বিশ্ববিদ্যালয়ের পুলিশ প্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক কওয়াক দে-কিউং বলেন, “দক্ষিণ কোরিয়ার উন্নত ডিজিটাল অবকাঠামো অপরাধীদের কাছে আদর্শ লক্ষ্য হয়ে উঠেছে। ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ও পরিচয়পত্র অনলাইনে সহজেই তৈরি করা যায়, যা পাচারকারীদের জন্য একপ্রকার স্বপ্ন।”


ভয়াবহ অপহরণ ও হত্যাকাণ্ডের ধারাবাহিকতা

সর্বশেষ ঘটনায় গিয়ংবুক প্রাদেশিক পুলিশ জানায়, ৩০-এর কোঠার এক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী ১৯ আগস্ট কম্বোডিয়া যাওয়ার পর নিখোঁজ হন। ২৪ আগস্ট তার পরিবার টেলিগ্রামে ভিডিও কল পায়, যেখানে অপহরণকারীরা ২০ মিলিয়ন উওন মুক্তিপণ দাবি করে।

এর আগেও একই ধরনের ঘটনা ঘটে—২২ বছর বয়সী পার্ক নামের এক ছাত্র বোকার পাহাড়সংলগ্ন এলাকায় মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। স্থানীয় মৃত্যুসনদে লেখা হয়, “নির্যাতনের ফলে সৃষ্ট যন্ত্রণায় হৃদরোগে মৃত্যু।” তার পরিবার জানায়, এক চীনা উচ্চারণের ব্যক্তি ফোনে ৫০ মিলিয়ন উওন মুক্তিপণ দাবি করেছিল।

দক্ষিণ কোরিয়ার শাসক দল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির সাংসদ পার্ক চ্যান-ডে’র কার্যালয় জানায়, পার্কের সঙ্গে আটক আরেক কোরিয়ান নাগরিক পরে উদ্ধার হওয়ার পর জানান, পার্ককে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছিল।


দুর্বল আইনশৃঙ্খলা ও গভীর দুর্নীতির শিকড়

আসান ইনস্টিটিউট ফর পলিসি স্টাডিজের দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া বিষয়ক বিশেষজ্ঞ লি জে-হিউন বলেন, “কম্বোডিয়া দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অন্যতম অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল দেশ। কিন্তু আরও বড় সমস্যা হলো স্থানীয় প্রশাসন ও অপরাধী গোষ্ঠীর আঁতাত। অনেক চীনা গ্যাং এই স্ক্যাম সেন্টারগুলো পরিচালনা করছে এবং তাদের সঙ্গে স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সরাসরি যোগাযোগ রয়েছে। ফলে কেন্দ্রীয় সরকার চাইলেও স্থানীয় প্রশাসনকে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হচ্ছে না—এটাই সবচেয়ে বড় বিপদ।”

চীন ও থাইল্যান্ডে অপরাধ দমন কার্যক্রম শক্তিশালী হওয়ায় অনেক অপরাধী দল এখন কম্বোডিয়ায় ঘাঁটি স্থাপন করছে, যেখানে আইনের প্রয়োগ ও বিচারব্যবস্থা তুলনামূলক দুর্বল।


কোরিয়া সরকারের কূটনৈতিক তৎপরতা

দক্ষিণ কোরিয়ার পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, কম্বোডিয়ান কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সহযোগিতা অত্যন্ত ধীর ও সীমিত পর্যায়ের। তারা কম্বোডিয়ার পুলিশের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে একটি “কোরিয়ান ডেস্ক” স্থাপনের প্রস্তাব দিয়েছেন, যাতে কোরিয়ান নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায়।

দক্ষিণ কোরিয়ার জাতীয় পুলিশ সংস্থার ভারপ্রাপ্ত কমিশনার জেনারেল ইউ জে-সং বলেন, “অন্য দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় দেশের তুলনায় কম্বোডিয়ার পুলিশের সঙ্গে আমাদের সমন্বয় এখনো দুর্বল। আগামী সপ্তাহে কম্বোডিয়ান পুলিশের ডেপুটি কমিশনার জেনারেলের সঙ্গে বৈঠকে আমরা ‘কোরিয়ান ডেস্ক’ স্থাপনের প্রস্তাব দেব এবং স্থানীয় পুলিশকে আরও কঠোর পদক্ষেপ নিতে আহ্বান জানাব।”


জাতীয় পর্যায়ে নিরাপত্তা টাস্কফোর্স গঠন

বাড়তে থাকা উদ্বেগের প্রেক্ষিতে প্রেসিডেন্ট কার্যালয় ও সংশ্লিষ্ট সরকারি সংস্থাগুলো কোরিয়ান নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে একটি বিশেষ টাস্কফোর্স গঠন করেছে। জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা উই সাং-লাকের সভাপতিত্বে সোমবার প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বিচার মন্ত্রণালয়, জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ও জাতীয় পুলিশ সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, কম্বোডিয়ায় কোরিয়ান নাগরিকদের নিরাপত্তা জোরদারে কূটনৈতিক চাপ, যৌথ তদন্ত এবং প্রতিরোধমূলক প্রচারণা বাড়ানো হবে—যাতে আর কোনো তরুণ বিদেশে চাকরির লোভে প্রতারণা বা মৃত্যুর ফাঁদে না পড়ে।


#কম্বোডিয়া, #দক্ষিণ_কোরিয়া,# অপরাধচক্র,# অপহরণ, #আন্তর্জাতিক_অপরাধ, #কোরিয়ান_ডেস্ক,# নিরাপত্তা_টাস্কফোর্স,# সারাক্ষণ_রিপোর্ট