০৪:৪২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫
মিয়ানমারের ২০২৫ নির্বাচন সারাদেশে হবে না—জুন্তা প্রধানের স্বীকারোক্তি চীনে চাহিদা ও উৎপাদন খাতে স্থবিরতা—মূল্যপতনে বাড়ছে মুদ্রাস্ফীতির আশঙ্কা কাইলি জেনার আবার ‘কিং কাইলি’—নতুন সিঙ্গেল ‘ফোর্থ স্ট্রাইক বৈশ্বিক শেয়ারবাজারে পুনরুদ্ধার—ফেডের সুদহার কমানোর ইঙ্গিতে ডলারের পতন হোক্কাইদোর ছোট্ট লাইব্রেরির ‘প্রশ্ন-দেয়াল’—দেশজুড়ে বেস্টসেলার বাজারে উদ্বৃত্ত সরবরাহ ও যুক্তরাষ্ট্র-চীন বাণিজ্য উত্তেজনায় তেলের দামে পতন আসিয়ান পাওয়ার গ্রিডে এডিবির প্রায় ১০ বিলিয়ন ডলার—ওয়ার্ল্ড ব্যাংকও যুক্ত ওপেনএআইয়ের সঙ্গে ওয়ালমার্টের নতুন উদ্যোগ — চ্যাটজিপিটিতে এখন সরাসরি কেনাকাটার সুযোগ উইন্ডোজ ১০ শেষ—এবার ‘বড় ঘোষণা’ ইঙ্গিত দিল মাইক্রোসফট মার্কিন নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ অ্যাশলি টেলিস গ্রেপ্তার: গোপন নথি ফাঁস ও চীনের সঙ্গে যোগসাজশের অভিযোগ

বলিউডের পর্দায় বৃষ্টিতে ভেজা প্রেম—বলিউডের চিরন্তন রোমান্সের প্রতীক

বৃষ্টি, প্রেম আর সিনেমা—এক অনন্ত সংযোগ

দুবাইয়ের টানা বর্ষণ অনুপ্রেরণা দিয়েছে বলিউডের সেই কালজয়ী রোমান্সগুলোকে ফিরে দেখার, যেখানে বৃষ্টি কখনও শুধু আবহাওয়া নয়—এটি হয়ে ওঠে প্রেমের প্রতীক, লজ্জার আড়ালে রসায়নের জাদু।

বলিউডে চুমুর দৃশ্য আসার অনেক আগেই দর্শক পেয়েছিল বজ্রপাত, বিদ্যুৎ, আর স্বচ্ছ শিফন শাড়িতে মোড়ানো নায়িকাদের। সেখানে সংলাপ নয়, কাজ করত বৃষ্টি। এই বৃষ্টিভেজা দৃশ্যগুলোই হয়ে উঠেছিল ভালোবাসার সবচেয়ে সুশোভিত রূপক — যেখানে হলিউড ভালোবাসাকে এক চুম্বনে সিল করত, বলিউড তা ভিজিয়ে তুলত মেঘ, মৌসুমি বৃষ্টি আর অনুভূতির জোয়ারে।


‘শ্রী ৪২০’-এর ছাতার নিচে প্রেমের জন্ম

রাজ কপূর ও নার্গিস অভিনীত “শ্রী ৪২০” ছবির “পেয়ার হুয়া ইকরার হুয়া” গানটি বলিউডের সবচেয়ে সূক্ষ্ম অথচ শক্তিশালী রোমান্টিক দৃশ্যগুলোর একটি। এক ছাতা, দুই মানুষ, আর মুষলধারে বৃষ্টি—এই সরল উপকরণেই তৈরি হয়েছিল এক অমর প্রেমের রসায়ন।

সাদা-কালো পর্দায় এত ইঙ্গিতপূর্ণ দৃশ্য আর কখনও দেখা যায়নি, তবুও তাতে ছিল শালীনতা ও মাধুর্য। কামনার সঙ্গে নির্দোষ ভালোবাসা এমনভাবে মিশে গিয়েছিল যে, দর্শক শুধু প্রেমই নয়—একধরনের কবিতা অনুভব করেছিল।


‘মঞ্জিল’-এ বৃষ্টির শহর মুম্বাই

পরবর্তী সময়ে “মঞ্জিল” ছবির “রিমঝিম গিরে সাওয়ান” গানে অমিতাভ বচ্চন ও মৌসুমি চট্টোপাধ্যায়ের বৃষ্টিভেজা মুম্বাই যেন কবিতায় পরিণত হয়েছিল। কোনো নাটকীয়তা নেই, নেই বিশাল অর্কেস্ট্রা—শুধু হাসি, দৃষ্টি আর টুপটাপ বৃষ্টির শব্দ। ভালোবাসা এখানে ছিল নিঃশব্দ, অথচ গভীর—যেন প্রতিটি জলকণা রোমান্সের একেকটি স্তবক।


নব্বইয়ের দশকে সাহসী মোড়

নব্বইয়ের দশকে এসে বলিউড ভদ্রতার গণ্ডি ছাড়িয়ে নতুন সংজ্ঞা লিখল। “মোহরা” ছবির “টিপ টিপ বরসা পানি” গানে রাভিনা ট্যান্ডন হলুদ শিফনে তৈরি করলেন এক ইতিহাস।
বৃষ্টি এখানে শুধু দৃশ্য নয়—এটি আকাঙ্ক্ষা, তীব্রতা ও বিপদের একত্র প্রকাশ। অক্ষয় কুমারের কিছু করারই প্রয়োজন ছিল না, কারণ বৃষ্টি নিজেই সব কথা বলেছিল।

এই সময়েই কাজল (“ইয়ে দিল্লাগি”) বা মাধুরী দীক্ষিতের বৃষ্টিভেজা দৃশ্যগুলো হয়ে উঠেছিল আলাদা আকর্ষণ। বৃষ্টি ছিল তাদের সহ-অভিনেতা, আলোকসজ্জা আর আবেগের প্রতীক।


‘কুছ কুছ হোতা হ্যায়’—ভালোবাসার পুনর্জন্ম

বৃষ্টিকে শুধু রোমান্সের প্রতীক নয়, পুনর্মিলনের মাধ্যম হিসেবেও ব্যবহার করেছে বলিউড। “কুছ কুছ হোতা হ্যায়” ছবির বৃষ্টিমুখর ক্যাম্পের দৃশ্যে রাহুল ও অঞ্জলির পুনর্মিলন ঘটে। সেখানে কোনো সংলাপ নয়—একটু ঝিরিঝিরি বৃষ্টিই গলিয়ে দেয় বছরের পর বছর জমে থাকা অহংকার ও দূরত্ব।


ছাতা থেকে শাড়ি—বলিউডের চিরন্তন বর্ষা

রাজ কপূরের ছাতা হোক বা রাভিনার শিফন, বৃষ্টি বরাবরই বলিউডের বিশ্বস্ত সহচর। এটি প্রেমিকদের সাহস দিয়েছে, হৃদয় ভেঙেছে আবার জোড়াও দিয়েছে, আর কামনাকে দিয়েছে এক শালীন আভা।

সময়ের পরিবর্তন, প্রযুক্তির উন্নতি বা দর্শকের রুচি বদলালেও এক জিনিস অটুট থেকেছে—বলিউডের ভালোবাসা বৃষ্টির সঙ্গে। কারণ বলিউডে যখন বৃষ্টি নামে, তা কখনও শুধু বৃষ্টি নয়—তা রোমান্স, রহস্য, আর রঙিন প্রলোভনের প্রতীক হয়ে ওঠে।


বজ্রপাত, বিদ্যুৎ আর শিফনের জাদু

সত্যি বলতে কী, চুমুর প্রয়োজনই বা কোথায়, যখন আছে বজ্রপাতের শব্দ, বিদ্যুতের আলো আর শিফন শাড়ির ঝলক—যা এক নিমেষে ভালোবাসাকে করে তোলে কিংবদন্তি।

জনপ্রিয় সংবাদ

মিয়ানমারের ২০২৫ নির্বাচন সারাদেশে হবে না—জুন্তা প্রধানের স্বীকারোক্তি

বলিউডের পর্দায় বৃষ্টিতে ভেজা প্রেম—বলিউডের চিরন্তন রোমান্সের প্রতীক

০১:০৫:৫৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫

বৃষ্টি, প্রেম আর সিনেমা—এক অনন্ত সংযোগ

দুবাইয়ের টানা বর্ষণ অনুপ্রেরণা দিয়েছে বলিউডের সেই কালজয়ী রোমান্সগুলোকে ফিরে দেখার, যেখানে বৃষ্টি কখনও শুধু আবহাওয়া নয়—এটি হয়ে ওঠে প্রেমের প্রতীক, লজ্জার আড়ালে রসায়নের জাদু।

বলিউডে চুমুর দৃশ্য আসার অনেক আগেই দর্শক পেয়েছিল বজ্রপাত, বিদ্যুৎ, আর স্বচ্ছ শিফন শাড়িতে মোড়ানো নায়িকাদের। সেখানে সংলাপ নয়, কাজ করত বৃষ্টি। এই বৃষ্টিভেজা দৃশ্যগুলোই হয়ে উঠেছিল ভালোবাসার সবচেয়ে সুশোভিত রূপক — যেখানে হলিউড ভালোবাসাকে এক চুম্বনে সিল করত, বলিউড তা ভিজিয়ে তুলত মেঘ, মৌসুমি বৃষ্টি আর অনুভূতির জোয়ারে।


‘শ্রী ৪২০’-এর ছাতার নিচে প্রেমের জন্ম

রাজ কপূর ও নার্গিস অভিনীত “শ্রী ৪২০” ছবির “পেয়ার হুয়া ইকরার হুয়া” গানটি বলিউডের সবচেয়ে সূক্ষ্ম অথচ শক্তিশালী রোমান্টিক দৃশ্যগুলোর একটি। এক ছাতা, দুই মানুষ, আর মুষলধারে বৃষ্টি—এই সরল উপকরণেই তৈরি হয়েছিল এক অমর প্রেমের রসায়ন।

সাদা-কালো পর্দায় এত ইঙ্গিতপূর্ণ দৃশ্য আর কখনও দেখা যায়নি, তবুও তাতে ছিল শালীনতা ও মাধুর্য। কামনার সঙ্গে নির্দোষ ভালোবাসা এমনভাবে মিশে গিয়েছিল যে, দর্শক শুধু প্রেমই নয়—একধরনের কবিতা অনুভব করেছিল।


‘মঞ্জিল’-এ বৃষ্টির শহর মুম্বাই

পরবর্তী সময়ে “মঞ্জিল” ছবির “রিমঝিম গিরে সাওয়ান” গানে অমিতাভ বচ্চন ও মৌসুমি চট্টোপাধ্যায়ের বৃষ্টিভেজা মুম্বাই যেন কবিতায় পরিণত হয়েছিল। কোনো নাটকীয়তা নেই, নেই বিশাল অর্কেস্ট্রা—শুধু হাসি, দৃষ্টি আর টুপটাপ বৃষ্টির শব্দ। ভালোবাসা এখানে ছিল নিঃশব্দ, অথচ গভীর—যেন প্রতিটি জলকণা রোমান্সের একেকটি স্তবক।


নব্বইয়ের দশকে সাহসী মোড়

নব্বইয়ের দশকে এসে বলিউড ভদ্রতার গণ্ডি ছাড়িয়ে নতুন সংজ্ঞা লিখল। “মোহরা” ছবির “টিপ টিপ বরসা পানি” গানে রাভিনা ট্যান্ডন হলুদ শিফনে তৈরি করলেন এক ইতিহাস।
বৃষ্টি এখানে শুধু দৃশ্য নয়—এটি আকাঙ্ক্ষা, তীব্রতা ও বিপদের একত্র প্রকাশ। অক্ষয় কুমারের কিছু করারই প্রয়োজন ছিল না, কারণ বৃষ্টি নিজেই সব কথা বলেছিল।

এই সময়েই কাজল (“ইয়ে দিল্লাগি”) বা মাধুরী দীক্ষিতের বৃষ্টিভেজা দৃশ্যগুলো হয়ে উঠেছিল আলাদা আকর্ষণ। বৃষ্টি ছিল তাদের সহ-অভিনেতা, আলোকসজ্জা আর আবেগের প্রতীক।


‘কুছ কুছ হোতা হ্যায়’—ভালোবাসার পুনর্জন্ম

বৃষ্টিকে শুধু রোমান্সের প্রতীক নয়, পুনর্মিলনের মাধ্যম হিসেবেও ব্যবহার করেছে বলিউড। “কুছ কুছ হোতা হ্যায়” ছবির বৃষ্টিমুখর ক্যাম্পের দৃশ্যে রাহুল ও অঞ্জলির পুনর্মিলন ঘটে। সেখানে কোনো সংলাপ নয়—একটু ঝিরিঝিরি বৃষ্টিই গলিয়ে দেয় বছরের পর বছর জমে থাকা অহংকার ও দূরত্ব।


ছাতা থেকে শাড়ি—বলিউডের চিরন্তন বর্ষা

রাজ কপূরের ছাতা হোক বা রাভিনার শিফন, বৃষ্টি বরাবরই বলিউডের বিশ্বস্ত সহচর। এটি প্রেমিকদের সাহস দিয়েছে, হৃদয় ভেঙেছে আবার জোড়াও দিয়েছে, আর কামনাকে দিয়েছে এক শালীন আভা।

সময়ের পরিবর্তন, প্রযুক্তির উন্নতি বা দর্শকের রুচি বদলালেও এক জিনিস অটুট থেকেছে—বলিউডের ভালোবাসা বৃষ্টির সঙ্গে। কারণ বলিউডে যখন বৃষ্টি নামে, তা কখনও শুধু বৃষ্টি নয়—তা রোমান্স, রহস্য, আর রঙিন প্রলোভনের প্রতীক হয়ে ওঠে।


বজ্রপাত, বিদ্যুৎ আর শিফনের জাদু

সত্যি বলতে কী, চুমুর প্রয়োজনই বা কোথায়, যখন আছে বজ্রপাতের শব্দ, বিদ্যুতের আলো আর শিফন শাড়ির ঝলক—যা এক নিমেষে ভালোবাসাকে করে তোলে কিংবদন্তি।