০৬:১৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫
আইএমএফের সঙ্গে পাকিস্তানের স্টাফ-লেভেল চুক্তি—১.২ বিলিয়ন ডলার ছাড়ের পথ খুলছে কাইলি জেনারের ‘ফোর্থ স্ট্রাইক’: ব্র্যান্ড থিয়েটারে সুর হোক্কাইদোর লাইব্রেরি বোর্ড থেকে বেস্টসেলার ডিএনভি: নীতির পাল্টে যাওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের বিদ্যুৎ খাতে অতিরিক্ত কার্বন নির্গমন ৩ বিলিয়ন টন লন্ডনে ওয়েমোর রোবোট্যাক্সি আসছে, শুরু পাইলট থেকে বাজারে ঊর্ধ্বমুখী ধারা, সুদের হার কমার আশা জোরালো স্যাম মেন্ডেসের চার ছবির বিটলস সাগা—ব্রায়ান এপস্টাইনে জেমস নর্টন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে নতুন বাণিজ্য উত্তেজনা চীনকে ঐক্যবদ্ধ ও প্রযুক্তি-কেন্দ্রিক পথে এগোতে উৎসাহ দিচ্ছে ওকিনাওয়ার জলমহিষের গাড়িতে আসছে ট্যাপ-টু-পে ক্যালিফোর্নিয়ায় সমুদ্রতেল উত্তোলন নিয়ে ফের লড়াই—ট্রাম্প প্রশাসনের সমর্থন, রাজ্যের বাধা

গাজা শান্তি সম্মেলনে সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সক্রিয় ভূমিকা

শান্তি প্রতিষ্ঠার নতুন অধ্যায়

মিসরের উপকূলীয় শহর শার্ম আল-শেখে সোমবার অনুষ্ঠিত গাজা শান্তি সম্মেলনে সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান অংশ নেন। তিনি ক্রাউন প্রিন্স ও প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন সালমানের প্রতিনিধিত্ব করেন। এই গুরুত্বপূর্ণ সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেলফাত্তাহ আল-সিসি যৌথভাবে সভাপতিত্ব করেন।

বিশ্বের ২০ টিরও বেশি দেশের নেতারা এতে অংশ নেন। পাশাপাশি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন। সম্মেলনে গাজা শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়, যার লক্ষ্য গাজা উপত্যকার যুদ্ধের অবসান ও মধ্যপ্রাচ্যে স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠা করা।


যুদ্ধবিরতির চুক্তি ও মূল প্রতিশ্রুতি

সম্মেলনের শুরুতে নেতারা গাজা উপত্যকার সংঘাতে যুক্ত পক্ষগুলোর মধ্যে অর্জিত নতুন সমঝোতাকে স্বাগত জানান। তারা ট্রাম্প প্রশাসন এবং মধ্যস্থতাকারী দেশগুলো — বিশেষত কাতার, মিসর ও তুরস্কের প্রচেষ্টাকে সাধুবাদ জানান।

নেতারা একযোগে প্রতিশ্রুতি দেন যে, মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি ও স্থিতিশীলতা আনতে সকল প্রচেষ্টাকে তারা পূর্ণ সমর্থন দেবেন।

সম্মেলনের শেষে যুক্তরাষ্ট্র, কাতার, মিসর ও তুরস্কের নেতারা একটি চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। এই চুক্তির আওতায় গাজা যুদ্ধের অবসান ঘটানো, পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধবিরতির পথে অগ্রসর হওয়া, মানবিক সহায়তা অব্যাহত রাখা, বন্দি ও জিম্মিদের বিনিময় সম্পন্ন করা এবং ভবিষ্যতে গাজা পুনর্গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হবে।


সৌদি প্রতিনিধিদলের সদস্যরা

সৌদি প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে ছিলেন প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান। তার সঙ্গে ছিলেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের রাজনৈতিক উপদেষ্টা প্রিন্স মুসাব বিন মোহাম্মদ আল-ফারহান, মিসরে নিযুক্ত সৌদি রাষ্ট্রদূত সালেহ আল-হুসাইনি, পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালক ওয়ালিদ আল-সামাইল, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী-পর্যায়ের কর্মকর্তা ড. মনাল রাদওয়ান এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রীর উপদেষ্টা মোহাম্মদ আল-ইয়াহইয়া।


শান্তির পথে নতুন আশা

গাজা শান্তি সম্মেলন মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধবিরতির একটি নতুন অধ্যায় উন্মোচন করেছে। অংশগ্রহণকারী দেশগুলো একসঙ্গে ঘোষণা দিয়েছে—এই চুক্তি শুধু যুদ্ধের অবসানই নয়, বরং ভবিষ্যতে অঞ্চলের শান্তি ও পুনর্গঠনের জন্য একটি স্থায়ী কাঠামো গড়ে তুলবে।

আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, সৌদি আরবের সক্রিয় অংশগ্রহণ এই প্রক্রিয়ায় মধ্যপ্রাচ্যের কূটনীতিকে আরও শক্তিশালী করবে এবং বহুপাক্ষিক শান্তি উদ্যোগকে স্থিতিশীলতার পথে এগিয়ে নেবে।


#গাজা_শান্তি_সম্মেলন #সৌদি_আরব #মিসর #ডোনাল্ড_ট্রাম্প #মধ্যপ্রাচ্য_শান্তি #প্রিন্স_ফয়সাল_বিন_ফারহান #সারাক্ষণ_রিপোর্ট

জনপ্রিয় সংবাদ

আইএমএফের সঙ্গে পাকিস্তানের স্টাফ-লেভেল চুক্তি—১.২ বিলিয়ন ডলার ছাড়ের পথ খুলছে

গাজা শান্তি সম্মেলনে সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সক্রিয় ভূমিকা

০২:৩৯:০০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫

শান্তি প্রতিষ্ঠার নতুন অধ্যায়

মিসরের উপকূলীয় শহর শার্ম আল-শেখে সোমবার অনুষ্ঠিত গাজা শান্তি সম্মেলনে সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান অংশ নেন। তিনি ক্রাউন প্রিন্স ও প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন সালমানের প্রতিনিধিত্ব করেন। এই গুরুত্বপূর্ণ সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেলফাত্তাহ আল-সিসি যৌথভাবে সভাপতিত্ব করেন।

বিশ্বের ২০ টিরও বেশি দেশের নেতারা এতে অংশ নেন। পাশাপাশি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন। সম্মেলনে গাজা শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়, যার লক্ষ্য গাজা উপত্যকার যুদ্ধের অবসান ও মধ্যপ্রাচ্যে স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠা করা।


যুদ্ধবিরতির চুক্তি ও মূল প্রতিশ্রুতি

সম্মেলনের শুরুতে নেতারা গাজা উপত্যকার সংঘাতে যুক্ত পক্ষগুলোর মধ্যে অর্জিত নতুন সমঝোতাকে স্বাগত জানান। তারা ট্রাম্প প্রশাসন এবং মধ্যস্থতাকারী দেশগুলো — বিশেষত কাতার, মিসর ও তুরস্কের প্রচেষ্টাকে সাধুবাদ জানান।

নেতারা একযোগে প্রতিশ্রুতি দেন যে, মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি ও স্থিতিশীলতা আনতে সকল প্রচেষ্টাকে তারা পূর্ণ সমর্থন দেবেন।

সম্মেলনের শেষে যুক্তরাষ্ট্র, কাতার, মিসর ও তুরস্কের নেতারা একটি চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। এই চুক্তির আওতায় গাজা যুদ্ধের অবসান ঘটানো, পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধবিরতির পথে অগ্রসর হওয়া, মানবিক সহায়তা অব্যাহত রাখা, বন্দি ও জিম্মিদের বিনিময় সম্পন্ন করা এবং ভবিষ্যতে গাজা পুনর্গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হবে।


সৌদি প্রতিনিধিদলের সদস্যরা

সৌদি প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে ছিলেন প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান। তার সঙ্গে ছিলেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের রাজনৈতিক উপদেষ্টা প্রিন্স মুসাব বিন মোহাম্মদ আল-ফারহান, মিসরে নিযুক্ত সৌদি রাষ্ট্রদূত সালেহ আল-হুসাইনি, পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালক ওয়ালিদ আল-সামাইল, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী-পর্যায়ের কর্মকর্তা ড. মনাল রাদওয়ান এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রীর উপদেষ্টা মোহাম্মদ আল-ইয়াহইয়া।


শান্তির পথে নতুন আশা

গাজা শান্তি সম্মেলন মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধবিরতির একটি নতুন অধ্যায় উন্মোচন করেছে। অংশগ্রহণকারী দেশগুলো একসঙ্গে ঘোষণা দিয়েছে—এই চুক্তি শুধু যুদ্ধের অবসানই নয়, বরং ভবিষ্যতে অঞ্চলের শান্তি ও পুনর্গঠনের জন্য একটি স্থায়ী কাঠামো গড়ে তুলবে।

আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, সৌদি আরবের সক্রিয় অংশগ্রহণ এই প্রক্রিয়ায় মধ্যপ্রাচ্যের কূটনীতিকে আরও শক্তিশালী করবে এবং বহুপাক্ষিক শান্তি উদ্যোগকে স্থিতিশীলতার পথে এগিয়ে নেবে।


#গাজা_শান্তি_সম্মেলন #সৌদি_আরব #মিসর #ডোনাল্ড_ট্রাম্প #মধ্যপ্রাচ্য_শান্তি #প্রিন্স_ফয়সাল_বিন_ফারহান #সারাক্ষণ_রিপোর্ট