০৮:০৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫
রংপুরে অ্যানথ্রাক্স: গঙ্গাচরায় প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া গরু জবাই নিষিদ্ধ দীপিকা পাড়ুকোনের গ্লোবাল প্লেবুক: হিন্দি ছবির সুপারস্টার কীভাবে বানালেন সীমাহীন ক্যারিয়ার শিক্ষক আন্দোলনে অস্থিরতা শিক্ষায়, সমাধানে কী করছে সরকার? ১২ ম্যাচে ১১ হার, যেভাবে এক যুগে ‘সর্বনিম্ন’ অবস্থায় বাংলাদেশের ওয়ানডে ক্রিকেট আইএমএফ ও পাকিস্তানের মধ্যে $১.২ বিলিয়ন সহায়তা চুক্তি — ঋণ পরিশোধের জন্য প্রাথমিক চুক্তি সই মাদাগাস্কারে সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখল, রাষ্ট্রপতি নির্দলিত — গভীর সংকট ও অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ ওসাকা এক্সপোতে ২৫.৬ মিলিয়ন দর্শনার্থী—জাপানের ট্যুরিজমের নতুন পাঠ বেলুচিস্তান সীমান্তে হামলা প্রতিহত, ১৫-২০ আফগান তালেবান নিহত: আইএসপিআর চার বছর বিরতির পর আন্তর্জাতিক কার্বন বাণিজ্য আবার খুলল ইন্দোনেশিয়া চীন-পাকিস্তান সম্পর্ক: rare-earth নমুনা নিয়ে বিতর্ক, আমেরিকার উদ্দেশ্যে পাঠানো খবর অস্বীকার

মিয়ানমারের ২০২৫ নির্বাচন সারাদেশে হবে না—জুন্তা প্রধানের স্বীকারোক্তি

যুদ্ধক্ষেত্রে আংশিক ভোটের পথ
মিয়ানমারের সামরিক নেতা মিন অং হ্লাইং স্বীকার করেছেন যে ডিসেম্বরের শেষ দিকে শুরু হতে যাওয়া সাধারণ নির্বাচন সারাদেশে আয়োজন করা সম্ভব হবে না। ২০২১ সালের অভ্যুত্থানের পর ছড়িয়ে পড়া সহিংসতায় বহু এলাকা রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণের বাইরে, ফলে ভোট আয়োজনের ন্যূনতম প্রশাসনিক শর্তই পূরণ হয়নি। ভোটার তালিকা প্রস্তুতির জন্য হওয়া প্রাথমিক গণনায় মাত্র ৩৩০টির মধ্যে ১৪৫টি টাউনশিপ অন্তর্ভুক্ত ছিল—অর্থাৎ দেশের বড় অংশই তালিকার বাইরে রয়ে গেছে। সংঘাতে উচ্ছেদ হওয়া মানুষের জন্য প্রতিনিধিত্বের আশা আরও দূরে সরে যাচ্ছে। সামরিক সরকার এটিকে “শৃঙ্খলাপূর্ণ রাজনীতির” পথে একটি ধাপ বলে দাবি করলেও প্রতিবেশী দেশ ও পশ্চিমা শক্তির কাছে বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন বাড়বে। আসিয়ান পর্যবেক্ষক পাঠানোর প্রস্তাব পেয়েছে; সমালোচকেরা বলছেন, গুরুত্বপূর্ণ বিরোধী দলগুলো নিষিদ্ধ বা সীমাবদ্ধ অবস্থায় থাকলে পর্যবেক্ষণ অর্থহীন।

খেলার নিয়মও ভিন্ন। নিবন্ধনের জন্য দলগুলোর কমপক্ষে ৫০ হাজার সদস্য ও ১০ কোটি কিয়াত জামানত লাগবে—বছরের পর বছর দমন–পীড়নে দুর্বল হয়ে পড়া অধিকাংশ রাজনৈতিক সংগঠনের পক্ষে যা কঠিন। মানবিক পরিস্থিতিও চাপে: সীমান্ত ও প্রধান সড়কঘেঁষা সংঘাতে ত্রাণ ব্যাহত, মুদ্রাস্ফীতি আয়কে খেয়ে ফেলছে, শহরে বারবার বিদ্যুৎ যাচ্ছে। মাঠে নিরাপত্তা ঝুঁকি—বিস্ফোরণ, টার্গেট কিলিং—প্রচারণাকে বিপজ্জনক করে তুলছে। আসিয়ান ২০২১ সাল থেকে আলোচনায় জোর দিলেও বাস্তব ছাড় আদায় করতে পারেনি। আংশিক ভোট হলে, সেনাবাহিনী যেখানে ভোটকেন্দ্র বসাতে পারবে সেখানে “ম্যান্ডেট” দেখাবে; অন্যত্র পরিস্থিতি “উপযুক্ত হলে” ভোটের প্রতিশ্রুতি রাখবে। তুলনামূলক শান্ত এলাকায় ভোটারদের অগ্রাধিকার থাকবে কাজ, বিদ্যুৎ ও দাম নিয়ন্ত্রণ; প্রতিরোধশক্তির কাছে বন্দিমুক্তি বা মানবিক করিডোরের মতো ইস্যুতে সময়সূচি হাতিয়ার হতে পারে। সব মিলিয়ে, মিয়ানমার এমন এক নির্বাচনের দিকে যাচ্ছে যা দেশের খণ্ডিত মানচিত্র জোড়া দিতে পারবে না—বরং আলোচনার সেতু হবে কি না, নাকি বিভাজনই দীর্ঘায়িত করবে, সেটিই এখন প্রধান প্রশ্ন।

জনপ্রিয় সংবাদ

রংপুরে অ্যানথ্রাক্স: গঙ্গাচরায় প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া গরু জবাই নিষিদ্ধ

মিয়ানমারের ২০২৫ নির্বাচন সারাদেশে হবে না—জুন্তা প্রধানের স্বীকারোক্তি

০৪:৩৮:২৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫

যুদ্ধক্ষেত্রে আংশিক ভোটের পথ
মিয়ানমারের সামরিক নেতা মিন অং হ্লাইং স্বীকার করেছেন যে ডিসেম্বরের শেষ দিকে শুরু হতে যাওয়া সাধারণ নির্বাচন সারাদেশে আয়োজন করা সম্ভব হবে না। ২০২১ সালের অভ্যুত্থানের পর ছড়িয়ে পড়া সহিংসতায় বহু এলাকা রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণের বাইরে, ফলে ভোট আয়োজনের ন্যূনতম প্রশাসনিক শর্তই পূরণ হয়নি। ভোটার তালিকা প্রস্তুতির জন্য হওয়া প্রাথমিক গণনায় মাত্র ৩৩০টির মধ্যে ১৪৫টি টাউনশিপ অন্তর্ভুক্ত ছিল—অর্থাৎ দেশের বড় অংশই তালিকার বাইরে রয়ে গেছে। সংঘাতে উচ্ছেদ হওয়া মানুষের জন্য প্রতিনিধিত্বের আশা আরও দূরে সরে যাচ্ছে। সামরিক সরকার এটিকে “শৃঙ্খলাপূর্ণ রাজনীতির” পথে একটি ধাপ বলে দাবি করলেও প্রতিবেশী দেশ ও পশ্চিমা শক্তির কাছে বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন বাড়বে। আসিয়ান পর্যবেক্ষক পাঠানোর প্রস্তাব পেয়েছে; সমালোচকেরা বলছেন, গুরুত্বপূর্ণ বিরোধী দলগুলো নিষিদ্ধ বা সীমাবদ্ধ অবস্থায় থাকলে পর্যবেক্ষণ অর্থহীন।

খেলার নিয়মও ভিন্ন। নিবন্ধনের জন্য দলগুলোর কমপক্ষে ৫০ হাজার সদস্য ও ১০ কোটি কিয়াত জামানত লাগবে—বছরের পর বছর দমন–পীড়নে দুর্বল হয়ে পড়া অধিকাংশ রাজনৈতিক সংগঠনের পক্ষে যা কঠিন। মানবিক পরিস্থিতিও চাপে: সীমান্ত ও প্রধান সড়কঘেঁষা সংঘাতে ত্রাণ ব্যাহত, মুদ্রাস্ফীতি আয়কে খেয়ে ফেলছে, শহরে বারবার বিদ্যুৎ যাচ্ছে। মাঠে নিরাপত্তা ঝুঁকি—বিস্ফোরণ, টার্গেট কিলিং—প্রচারণাকে বিপজ্জনক করে তুলছে। আসিয়ান ২০২১ সাল থেকে আলোচনায় জোর দিলেও বাস্তব ছাড় আদায় করতে পারেনি। আংশিক ভোট হলে, সেনাবাহিনী যেখানে ভোটকেন্দ্র বসাতে পারবে সেখানে “ম্যান্ডেট” দেখাবে; অন্যত্র পরিস্থিতি “উপযুক্ত হলে” ভোটের প্রতিশ্রুতি রাখবে। তুলনামূলক শান্ত এলাকায় ভোটারদের অগ্রাধিকার থাকবে কাজ, বিদ্যুৎ ও দাম নিয়ন্ত্রণ; প্রতিরোধশক্তির কাছে বন্দিমুক্তি বা মানবিক করিডোরের মতো ইস্যুতে সময়সূচি হাতিয়ার হতে পারে। সব মিলিয়ে, মিয়ানমার এমন এক নির্বাচনের দিকে যাচ্ছে যা দেশের খণ্ডিত মানচিত্র জোড়া দিতে পারবে না—বরং আলোচনার সেতু হবে কি না, নাকি বিভাজনই দীর্ঘায়িত করবে, সেটিই এখন প্রধান প্রশ্ন।