প্যাভিলিয়নের প্রচার থেকে বাস্তব ভ্রমণ প্যাকেজ
১৮৪ দিন চলা ওসাকা এক্সপো শেষ; এখন দেশের নানা স্থানীয় সরকার সেই আলোচনাকে বুকিংয়ে রূপ দিতে উঠেপড়ে লেগেছে। কানসাই অঞ্চলের কর্তারা বলছেন, প্যাভিলিয়নে যে দিনভিত্তিক ট্রিপ, স্থানীয় খাবার ও হস্তশিল্পের পথচিত্র তুলে ধরা হয়েছিল, সেগুলোকেই এখন ‘রেডি-টু-বুক’ প্যাকেজে পরিণত করা হচ্ছে। তোত্তোরি উদাহরণ—কানসাই প্যাভিলিয়নের উপস্থিতি কাজে লাগিয়ে তারা বালিয়াড়ি, অনসেন শহর আর মাঙ্গা সংস্কৃতি বিশ্বদর্শকদের কাছে তুলে ধরেছে। লক্ষ্য স্পষ্ট—কয়েক সপ্তাহের মধ্যে আগ্রহকে যাত্রায় বদলে ফেলা। পরিবহন সংস্থাগুলো ডিসকাউন্ট পাস বাড়াচ্ছে; পর্যটন দপ্তরগুলো বহু ভাষায় সোশ্যাল ক্যাম্পেইন চালিয়ে ওসাকা বে ছেড়ে আশপাশে ভ্রমণ করাতে চাইছে। এক্সপোর কিউআর ট্রেইল, পেমেন্ট ডেটা ও কিউ-অ্যানালিটিক্স থেকে প্রাপ্ত অভিজ্ঞতা ভিড় নিয়ন্ত্রণ, স্টাফিং ও সপ্তাহান্তে সেবা পরিকল্পনায় সহায়তা দেবে।
তবে শেখার জায়গাও আছে। আবহাওয়ার ধাক্কায় বারবার সূচি ভেঙেছে; কিছু স্থানে বহুভাষী সহায়তা কম ছিল; জনপ্রিয় স্থাপনায় বটলনেক দেখিয়েছে—টাইম-স্লটিং আরও উন্নত করা জরুরি। তবু ‘লাস্ট ১০০ মিটার’ উন্নতিতে এক্সপো ছিল কার্যকর ল্যাব: স্পষ্ট সাইনেজ, কন্ট্যাক্টলেস চেকআউট, আর পপ-আপ স্টল দিয়ে ভিড় পাশের গলিতে ছড়িয়ে দেওয়া। পরের পরীক্ষা ‘স্টিকিনেস’—স্বল্পসময় থাকা দর্শকদের ২০২৬ জুড়ে দীর্ঘ ভ্রমণে ফেরানো। স্থানীয় খাবার–নিশ মিউজিয়াম–ট্রেইল–মৌসুমি উৎসব মিলিয়ে বান্ডেল ছোট শহরগুলোকেও আয় দেবে—মহামারির ধাক্কা সামলাতে যাদের এখনও সময় লাগছে। পাশাপাশি পরিবেশগত প্রভাব মাপা ও রেল-প্রথম রূট, সবুজ ইভেন্ট মানদণ্ড পরীক্ষামূলকভাবে নেওয়া হচ্ছে। আলোচনাকে যদি যথাসময়ে যাত্রায় বদলানো যায়, তবে এক্সপো-পরবর্তী এই প্লেবুক মেগা-ইভেন্ট আয়োজনকারীদের জন্যও এক কার্যকর মডেল হতে পারে।