রোলআউটের সম্ভাব্য রূপরেখা
আলফাবেটের স্বচালিত গাড়ি কোম্পানি ওয়েমো জানিয়েছে, ২০২৬ সালে লন্ডনে বাণিজ্যিক রোবোট্যাক্সি চালু করবে—টোকিওর পর এটি তাদের দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক বাজার। প্রতিষ্ঠানটি বলেছে, জটিল নগর পরিবেশে দীর্ঘ পরীক্ষার অভিজ্ঞতা ও স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতেই পরিকল্পনা এগোচ্ছে। কোন কোন বরো আগে পাবে—তা এখনো নির্দিষ্ট নয়। লন্ডনের আলাদা চ্যালেঞ্জ—ঘন রাস্তা, বৈচিত্র্যময় সাইনেজ, ঘনঘন নির্মাণকাজ, এবং ব্যস্ত পথচারী প্রবাহ। ওয়েমো বলছে, তাদের পঞ্চম প্রজন্মের সেন্সরসুইট ও আপডেটেড ড্রাইভিং নীতি এসব সামাল দিতে প্রস্তুত। প্রতিযোগীরাও তৎপর—লাইসেন্সিং বা সুপারভাইজড ড্রাইভারলেস মডেল নিয়ে—যা নিয়ন্ত্রক আলোচনাকে কেন্দ্রীয় ইস্যু বানিয়েছে। ট্রান্সপোর্ট ফর লন্ডন নিরাপত্তা, ডেটা ব্যবহারের নীতি ও ঘটনার পর প্রতিক্রিয়া—সবই খতিয়ে দেখবে।
কেন ২০২৬? দুটি কারণ স্পষ্ট। প্রথমত, ফিনিক্স–সান ফ্রান্সিসকোর বাইরে পুনরাবৃত্তিমূলক অপারেশন প্রমাণে ওয়েমোর নতুন শহর দরকার। দ্বিতীয়ত, ইউরোপের স্বয়ংচালিত যানবাহন নীতিমালা ও যুক্তরাজ্যের নতুন আইন মেনে চলার তালিকা আগের চেয়ে স্পষ্ট হয়েছে। হার্ডওয়্যার পার্টনাররা কম্পিউট, ব্রেকিং ও স্টিয়ারিংয়ে রিডান্ড্যান্সি সমৃদ্ধ গাড়ি প্রস্তুত করছে। কিন্তু প্রশ্ন রয়ে যায়—ভাড়া কি উবার বা ব্ল্যাক ক্যাবের সঙ্গে টেক্কা দেবে? বৃষ্টি আর সরু লেন কি আপটাইমে প্রভাব ফেলবে? আর বহর বড় হলে শ্রমিক ইউনিয়নগুলো কি অতিরিক্ত সুরক্ষা চাইবে? সম্ভবত বিমানবন্দর–বিজনেস ডিস্ট্রিক্টের মতো পূর্বনির্ধারিত করিডোরে সীমিত সময়, নির্দিষ্ট এলাকাজুড়ে অপারেশন দিয়ে শুরু হবে; পরে ধাপে ধাপে বিস্তৃতি। লক্ষ্য শুধু ভাড়া নয়—বিশ্ব রাজধানীতে ডেটা-লিডও।