০৬:২৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫
নগরজীবনে মানিয়ে নিচ্ছে বন্যপ্রাণী গ্লোবাল কনটেন্টে ঝুঁকছে স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম তীব্র তাপে বিশ্বজুড়ে বিদ্যুৎ গ্রিডে চাপ বিআরটিএতে সবচেয়ে বেশি দুর্নীতি, আইনশৃঙ্খলা ও পাসপোর্ট দপ্তরও শীর্ষে মগবাজার ফ্লাইওভার থেকে বোমা নিক্ষেপ, নিহত এক পথচারী অসম ভিআইপি সুবিধা নির্বাচন আচরণবিধি লঙ্ঘন: নির্বাচন কমিশনকে জানাল জামায়াত বড়দিন ও সাপ্তাহিক ছুটিতে টানা তিন দিন বন্ধ ব্যাংক ও শেয়ারবাজার বৃহস্পতিবার দেশে পালিত হবে বড়দিন, উৎসব ঘিরে শুভেচ্ছা ও বাড়তি নিরাপত্তা উপেক্ষিত রুমিন ফারহানা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ তরুণ ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের কর্মসংস্থানে বিশ্বব্যাংকের নতুন অর্থায়ন, বাংলাদেশে অনুমোদন ১৫০ কোটি ডলার

ক্যালিফোর্নিয়ায় সমুদ্রতেল উত্তোলন নিয়ে ফের লড়াই—ট্রাম্প প্রশাসনের সমর্থন, রাজ্যের বাধা

নিয়ন্ত্রক সংঘাত ও আইনি ঝুঁকি

এক দশক আগে পাইপলাইন ফেটে ক্যালিফোর্নিয়ার ১৫০ মাইল উপকূল তেলময় হয়েছিল। সেই স্মৃতি প্রখর থাকতেই স্থগিত প্ল্যাটফর্মগুলো আবার সচল করার প্রস্তাব সামনে এনেছে সেবল অফশোর—আর এর পক্ষে দাঁড়িয়েছে ট্রাম্প প্রশাসনের কর্মকর্তারা। ২০২৪ সালে এক্সনমোবিলের ‘সান্তা ইয়নেজ ইউনিট’ কিনে নেওয়া সেবল রাজ্যীয় অনুমতি আটকে গেলে বিকল্পভাবে ফেডারেল জলসীমার মধ্যে পুরো অপারেশন চালানোর পরিকল্পনাও দেখিয়েছে। রাজ্য নিয়ন্ত্রকেরা অননুমোদিত কাজে কোম্পানিকে জরিমানা ও স্থগিতাদেশ দিয়েছেন। অ্যাটর্নি জেনারেল ও সান্তা বারবারা ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি—দু’জনই নদী–খাল দূষণ ও বন্যপ্রাণী ক্ষতির অভিযোগে মামলা করেছেন। কোম্পানি অভিযোগ অস্বীকার করে বলছে, পরীক্ষায় ক্ষেত্রটি লাভজনক—আর নতুন নজরদারি প্রযুক্তি ঝুঁকি কমিয়েছে। ফেডারেল সেফটি রেগুলেটরও সহযোগিতার ইঙ্গিত দিয়েছে।

Clean up crews remove oil-laden sand on the beach at Refugio State Beach, site of an oil spill, north of Goleta, Calif., May 20, 2015. (AP Photo/Michael A. Mariant, File)

প্রসঙ্গটি একটি পাইপলাইনের গণ্ডি পেরিয়ে গেছে। ক্যালিফোর্নিয়া ধীরে ধীরে কঠোর জলবায়ু নীতিতে যাচ্ছে; কয়েকটি রিফাইনারি বন্ধ হয়েছে। শিল্পমহল বলছে, রাজ্যের ভেতরে উৎপাদন দাম ও সরবরাহ স্থিতিশীল রাখবে। পরিবেশবাদীদের মতে, পুনরায় উৎপাদন স্পিলের ঝুঁকি বাড়াবে এবং নির্গমন লক্ষ্য ক্ষুণ্ণ করবে। বিলম্বের ক্ষতিপূরণ হিসেবে সেবল কয়েকশ মিলিয়ন ডলার দাবি করেছে; অনশোর পাইপলাইন আটকে গেলে সমুদ্রে ট্যাংকার থেকে তেল সরবরাহের পরিকল্পনাও দিয়েছে। এখানেই মূল ভারসাম্য—কাছের তিন মাইলে ক্যালিফোর্নিয়ার কর্তৃত্ব, দূরের প্ল্যাটফর্ম ফেডারেল নিয়ন্ত্রণে। আদালতের রায় শুধু এই প্রকল্প নয়, ভবিষ্যতের ডিকমিশনিং বা রিস্টার্টের নজিরও গড়তে পারে। উপকূলের সম্প্রদায়গুলোর কাছে তেল-দুষণের ক্ষত এখনো তাজা; কর্মীদের কাছে ঝুলছে চাকরির ভবিষ্যৎ। নিরাপত্তা আশ্বাস, সাম্প্রতিক বিধি লঙ্ঘন এবং জনস্বার্থ—সব বিচার করেই সিদ্ধান্ত হবে, ক্যালিফোর্নিয়া কি আবার সমুদ্রতেলে ফিরবে, নাকি দ্রুত সবুজ পথে এগোবে।

জনপ্রিয় সংবাদ

নগরজীবনে মানিয়ে নিচ্ছে বন্যপ্রাণী

ক্যালিফোর্নিয়ায় সমুদ্রতেল উত্তোলন নিয়ে ফের লড়াই—ট্রাম্প প্রশাসনের সমর্থন, রাজ্যের বাধা

০৫:১০:০৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫

নিয়ন্ত্রক সংঘাত ও আইনি ঝুঁকি

এক দশক আগে পাইপলাইন ফেটে ক্যালিফোর্নিয়ার ১৫০ মাইল উপকূল তেলময় হয়েছিল। সেই স্মৃতি প্রখর থাকতেই স্থগিত প্ল্যাটফর্মগুলো আবার সচল করার প্রস্তাব সামনে এনেছে সেবল অফশোর—আর এর পক্ষে দাঁড়িয়েছে ট্রাম্প প্রশাসনের কর্মকর্তারা। ২০২৪ সালে এক্সনমোবিলের ‘সান্তা ইয়নেজ ইউনিট’ কিনে নেওয়া সেবল রাজ্যীয় অনুমতি আটকে গেলে বিকল্পভাবে ফেডারেল জলসীমার মধ্যে পুরো অপারেশন চালানোর পরিকল্পনাও দেখিয়েছে। রাজ্য নিয়ন্ত্রকেরা অননুমোদিত কাজে কোম্পানিকে জরিমানা ও স্থগিতাদেশ দিয়েছেন। অ্যাটর্নি জেনারেল ও সান্তা বারবারা ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি—দু’জনই নদী–খাল দূষণ ও বন্যপ্রাণী ক্ষতির অভিযোগে মামলা করেছেন। কোম্পানি অভিযোগ অস্বীকার করে বলছে, পরীক্ষায় ক্ষেত্রটি লাভজনক—আর নতুন নজরদারি প্রযুক্তি ঝুঁকি কমিয়েছে। ফেডারেল সেফটি রেগুলেটরও সহযোগিতার ইঙ্গিত দিয়েছে।

Clean up crews remove oil-laden sand on the beach at Refugio State Beach, site of an oil spill, north of Goleta, Calif., May 20, 2015. (AP Photo/Michael A. Mariant, File)

প্রসঙ্গটি একটি পাইপলাইনের গণ্ডি পেরিয়ে গেছে। ক্যালিফোর্নিয়া ধীরে ধীরে কঠোর জলবায়ু নীতিতে যাচ্ছে; কয়েকটি রিফাইনারি বন্ধ হয়েছে। শিল্পমহল বলছে, রাজ্যের ভেতরে উৎপাদন দাম ও সরবরাহ স্থিতিশীল রাখবে। পরিবেশবাদীদের মতে, পুনরায় উৎপাদন স্পিলের ঝুঁকি বাড়াবে এবং নির্গমন লক্ষ্য ক্ষুণ্ণ করবে। বিলম্বের ক্ষতিপূরণ হিসেবে সেবল কয়েকশ মিলিয়ন ডলার দাবি করেছে; অনশোর পাইপলাইন আটকে গেলে সমুদ্রে ট্যাংকার থেকে তেল সরবরাহের পরিকল্পনাও দিয়েছে। এখানেই মূল ভারসাম্য—কাছের তিন মাইলে ক্যালিফোর্নিয়ার কর্তৃত্ব, দূরের প্ল্যাটফর্ম ফেডারেল নিয়ন্ত্রণে। আদালতের রায় শুধু এই প্রকল্প নয়, ভবিষ্যতের ডিকমিশনিং বা রিস্টার্টের নজিরও গড়তে পারে। উপকূলের সম্প্রদায়গুলোর কাছে তেল-দুষণের ক্ষত এখনো তাজা; কর্মীদের কাছে ঝুলছে চাকরির ভবিষ্যৎ। নিরাপত্তা আশ্বাস, সাম্প্রতিক বিধি লঙ্ঘন এবং জনস্বার্থ—সব বিচার করেই সিদ্ধান্ত হবে, ক্যালিফোর্নিয়া কি আবার সমুদ্রতেলে ফিরবে, নাকি দ্রুত সবুজ পথে এগোবে।