ঐতিহ্য আর টাচলেসের মিলন
জাপানের ওকিনাওয়ার দূরবর্তী দ্বীপগুলোতে পর্যটকেরা অগভীর সমুদ্র পেরোন জলমহিষ টানা খোলা গাড়িতে। ২৩ অক্টোবর থেকে সেই যাত্রার টিকিট কেনা হবে আরও সহজ—টিকিট কাউন্টারে কনট্যাক্টলেস ক্রেডিট–ডেবিট কার্ড এবং জনপ্রিয় স্মার্টফোন ওয়ালেট গ্রহণ করা হবে। সুমিতোমো মিতসুই কার্ডের ট্রানজিট-গ্রেড সমাধান এই আকর্ষণের জন্য মানিয়ে নেওয়া হয়েছে; নিষ্পত্তিতে যুক্ত ব্যাংক অব দ্য রিউকিউস। ভ্রমণকারীর জন্য সুবিধা—নগদ খোঁজার ঝামেলা নেই, কাগুজে টিকিট আগে থেকে নেওয়ার চাপও না। অপারেটরের জন্য লাইন ছোট, হিসাব-নিকাশও সহজ। ছোট আপডেট হলেও বার্তা বড়—জাপানের পর্যটন অর্থনীতির খুঁটিনাটিতেও ট্যাপ-টু-পে ঢুকে পড়ছে।
কিছু সীমাবদ্ধতা থাকবে। আপাতত কাউন্টারেই এই পেমেন্ট হবে; গাড়িতে অন-বোর্ড রিডার বসছে না। নগদও চলবে। পিক সিজনে বা ঝড়–ফেরি ব্যাঘাতে নেটওয়ার্ক স্থিতি গুরুত্বপূর্ণ হবে। তবু প্রতীকী গুরুত্ব স্পষ্ট। রেল–বাসে ওপেন-লুপ পেমেন্ট ছড়ানোর পর এখন আঞ্চলিক আকর্ষণগুলোও তাল মেলাচ্ছে। ওকিনাওয়ার এসব দ্বীপে ঝামেলামুক্ত টিকিটিং থাকলে পর্যটকের অবস্থানকাল ও স্থানীয় ক্যাফে–হস্তশিল্প দোকানে গড় ব্যয় বাড়তে পারে। গোপনীয়তা-সচেতন সমষ্টিগত ডেটা থেকে অপারেটর সময়সূচি ও জনবলও সামঞ্জস্য করতে পারবে। সীমান্ত খুলে পর্যটন ফিরছে; যাত্রার শেষ ১০০ মিটারের—টিকিট, গেট, কিয়স্ক—ডিজিটাল উন্নতি সন্তুষ্টি বাড়ায়। এখানে শতবর্ষী যাত্রার সঙ্গে আধুনিক ওয়ালেটের হাত মেলাচ্ছে। মহিষ হয়তো টের পাবে না, কিন্তু সারি অবশ্যই কমবে।