কাস্টিং ও নির্মাণ পরিকল্পনা
ব্রিটিশ অভিনেতা জেমস নর্টনকে ব্রায়ান এপস্টাইনের চরিত্রে নেওয়া হয়েছে পরিচালক স্যাম মেন্ডেসের উচ্চাকাঙ্ক্ষী চার চলচ্চিত্রের প্রকল্পে। সনি পিকচার্সের পৃষ্ঠপোষকতায় তৈরি এই “সিনেমাটিক ইভেন্ট” বিটলসের গল্প চারটি দৃষ্টিকোণ থেকে বলতে চায়। পল মেসকাল, হ্যারিস ডিকিনসন, ব্যারি কিওগান ও জোসেফ কুইন—ব্যান্ডের চার সদস্যের ভূমিকায়। এপস্টাইন ছিলেন দলের প্রাথমিক সাফল্যের স্থপতি—ইমেজ গঠন, রিলিজ কৌশল আর চুক্তি আলোচনায় তাঁর ভূমিকা নির্ধারক। ১৯৬৭ সালে তাঁর মৃত্যুর আগেই তিনি দলটিকে স্থানীয় ক্লাব থেকে বিশ্ব মঞ্চে তুলেছিলেন। মেন্ডেস পরিকল্পনা করেছেন—আলাদা দৃষ্টিভঙ্গির স্ক্রিপ্ট, কিন্তু পারস্পরিকভাবে জোড়া লাগানো গল্প; তরুণ দর্শকের কাছে পুরোনো কিংবদন্তিকে নতুনভাবে হাজির করার চেষ্টা। মুক্তির সময়সূচি ধাপে ধাপে ঠিক হবে; এক দিনে নয়, কয়েকটি তারিখে রিলিজের আভাস মিলছে।
এই ঘোষণা কেন গুরুত্বপূর্ণ? জীবনীভিত্তিক ছবিতে সুপারহিরো ফ্র্যাঞ্চাইজের মতো “মাল্টি-ফিল্ম” ধারার পরীক্ষা বাড়ছে। আলাদা দৃষ্টিকোণ বিটলসের অভ্যন্তরীণ টানাপোড়েন ও সৃজনশীল পার্থক্য সামনে আনতে পারে। ঝুঁকিও আছে—চার ছবিতে সুর ও গতি বজায় রাখা, আর দর্শকের মনোযোগ ধরে রাখা সহজ নয়। নর্টনের জন্য এপস্টাইন জটিল এক চরিত্র—দূরদর্শী কিন্তু উদ্বেগে ক্লান্ত, সাফল্যে কখনো একা। সংগীতস্বত্ব ও আর্কাইভের গভীর প্রবেশাধিকার প্রামাণ্যতার চাবিকাঠি হবে। প্রচারণায় চরিত্রভিত্তিক ট্রেলার, সময়কালীন প্রোডাকশন ডিজাইন আর স্ট্রিমিং প্লেলিস্ট দিয়ে নতুন প্রজন্মকে ক্যাটালগে আনার কৌশল দেখা যেতে পারে। সফল হলে, অধ্যায়ভিত্তিক বায়োপিক—ক্রেডল-টু-গ্রেভ ধারার বদলে—নতুন টেমপ্লেট পেতে পারে।