০৯:১০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ঢাকা (পর্ব-৩৮) অশান্তির জন্য নোবেল থাকলে বাংলাদেশ পেত”— জিএম কাদের একদিনে আরও ৪ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৭৫৮ জন বেতন ও ভাতার দাবিতে পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে বিক্ষোভ, শিক্ষক-কর্মচারীদের শাহবাগ অবরোধ অ্যানথ্রাক্স নিয়ন্ত্রণে গরুর জরুরী কোয়ারেন্টাইনের সিদ্ধান্ত এক দিনে ৮০ পয়েন্ট পতন, ধস নামলো ঢাকার শেয়ারবাজারে রংপুরে অ্যানথ্রাক্স: গঙ্গাচরায় প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া গরু জবাই নিষিদ্ধ দীপিকা পাড়ুকোনের গ্লোবাল প্লেবুক: হিন্দি ছবির সুপারস্টার কীভাবে বানালেন সীমাহীন ক্যারিয়ার শিক্ষক আন্দোলনে অস্থিরতা শিক্ষায়, সমাধানে কী করছে সরকার? ১২ ম্যাচে ১১ হার, যেভাবে এক যুগে ‘সর্বনিম্ন’ অবস্থায় বাংলাদেশের ওয়ানডে ক্রিকেট

লন্ডনে ওয়েমোর রোবোট্যাক্সি আসছে, শুরু পাইলট থেকে

নিয়ন্ত্রক রোডম্যাপ, নিরাপত্তা ও প্রতিযোগিতা

গুগল–সমর্থিত ওয়েমো ২০২৬ সালে লন্ডনে সীমিত স্বচালিত ট্যাক্সি পাইলট চালুর লক্ষ্যে কাজ করছে; চূড়ান্ত অনুমতি সাপেক্ষে বাণিজ্যিক যাত্রা শুরু হতে পারে পরের বছরেই। টোকিওতে মানচিত্রায়ন ও ডেটা সংগ্রহের অভিজ্ঞতা থাকলেও, লন্ডনের সরু রাস্তা ও জটিল মোড় সফটওয়্যারের জন্য কঠিন পরীক্ষা। ব্রিটিশ সরকার পাইলট চলাকালে সংগৃহীত সুরক্ষা–ডেটা কমপক্ষে এক বছর মূল্যায়নের কথা বলেছে, তারপর ধাপে ধাপে বিস্তৃত চালুর ইঙ্গিত।

অপারেশনাল মডেল ও নাগরিক বাস্তবতা

ফ্লিট–সাপোর্টে ওয়েমো যুক্তরাজ্যে মুভের সঙ্গে কাজ করবে—চার্জিং, রক্ষণাবেক্ষণ ও ডিপো পরিচালনা একই মডেলে চলবে। যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিষ্ঠানটি ২০২০ সাল থেকে এক কোটির বেশি পেইড রাইড দিয়েছে এবং ফিনিক্স, সান ফ্রান্সিসকো, লস অ্যাঞ্জেলেস, অস্টিন ও আটলান্টায় সেবা চালায়; কিছু শহরে উবার অ্যাপের মাধ্যমেও রাইড মিলে। লন্ডনে প্রথমে সেফটি ড্রাইভারসহ সীমিত করিডর, নির্দিষ্ট সময় ও এলাকায় সেবা চালু করে ধীরে ধীরে বিস্তার—এটাই পরিকল্পনা।

স্থানীয় স্টেকহোল্ডারদের চাহিদা স্পষ্ট: জরুরি প্রতিক্রিয়া প্রটোকল, দূরবর্তী অপারেটর এসকেলেশন, ব্যস্ত রেলস্টেশনের সামনে কার্ব–স্পেস ব্যবস্থাপনা, এবং ইনসুরেন্স কাঠামো। ব্ল্যাক–ক্যাব ইউনিয়নগুলো ন্যায্য লাইসেন্সিং নিয়ম ও রোড–অ্যাক্সেস নিশ্চিত করতে চাপ দিচ্ছে। এদিকে ব্রিটিশ স্টার্টআপ ওয়েভও উবারের সঙ্গে অংশীদার হয়ে স্বচালিত রাইডের পরিকল্পনা জানিয়েছে—প্রতিযোগিতা বাড়ছেই।

যাত্রীরা শুরুতে সীমিত সুবিধাই পাবেন—নির্দিষ্ট রুটে নির্দিষ্ট সময়ে গাড়ি। তবে ধারাবাহিক পিকআপ, ২৪/৭ কাভারেজ ও কম ক্যান্সেলেশন আস্থা বাড়াতে পারে। সফল হলে ঘনবসতিপূর্ণ শহরে রোবোট্যাক্সির সক্ষমতা প্রমাণে লন্ডন একটি মানদণ্ড হয়ে উঠবে। ব্যর্থ হলে শক্ত নিয়ন্ত্রণে ছোট ফ্লিটেই সীমিত থাকবে। আপাতত দ্রুতগতির রেগুলেটরি রূপরেখার কারণে যুক্তরাজ্যই ইউরোপীয় বাজারে প্রথম বড় পদক্ষেপের সম্ভাব্য ঘাঁটি।

জনপ্রিয় সংবাদ

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ঢাকা (পর্ব-৩৮)

লন্ডনে ওয়েমোর রোবোট্যাক্সি আসছে, শুরু পাইলট থেকে

০৫:৩৯:৪৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫

নিয়ন্ত্রক রোডম্যাপ, নিরাপত্তা ও প্রতিযোগিতা

গুগল–সমর্থিত ওয়েমো ২০২৬ সালে লন্ডনে সীমিত স্বচালিত ট্যাক্সি পাইলট চালুর লক্ষ্যে কাজ করছে; চূড়ান্ত অনুমতি সাপেক্ষে বাণিজ্যিক যাত্রা শুরু হতে পারে পরের বছরেই। টোকিওতে মানচিত্রায়ন ও ডেটা সংগ্রহের অভিজ্ঞতা থাকলেও, লন্ডনের সরু রাস্তা ও জটিল মোড় সফটওয়্যারের জন্য কঠিন পরীক্ষা। ব্রিটিশ সরকার পাইলট চলাকালে সংগৃহীত সুরক্ষা–ডেটা কমপক্ষে এক বছর মূল্যায়নের কথা বলেছে, তারপর ধাপে ধাপে বিস্তৃত চালুর ইঙ্গিত।

অপারেশনাল মডেল ও নাগরিক বাস্তবতা

ফ্লিট–সাপোর্টে ওয়েমো যুক্তরাজ্যে মুভের সঙ্গে কাজ করবে—চার্জিং, রক্ষণাবেক্ষণ ও ডিপো পরিচালনা একই মডেলে চলবে। যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিষ্ঠানটি ২০২০ সাল থেকে এক কোটির বেশি পেইড রাইড দিয়েছে এবং ফিনিক্স, সান ফ্রান্সিসকো, লস অ্যাঞ্জেলেস, অস্টিন ও আটলান্টায় সেবা চালায়; কিছু শহরে উবার অ্যাপের মাধ্যমেও রাইড মিলে। লন্ডনে প্রথমে সেফটি ড্রাইভারসহ সীমিত করিডর, নির্দিষ্ট সময় ও এলাকায় সেবা চালু করে ধীরে ধীরে বিস্তার—এটাই পরিকল্পনা।

স্থানীয় স্টেকহোল্ডারদের চাহিদা স্পষ্ট: জরুরি প্রতিক্রিয়া প্রটোকল, দূরবর্তী অপারেটর এসকেলেশন, ব্যস্ত রেলস্টেশনের সামনে কার্ব–স্পেস ব্যবস্থাপনা, এবং ইনসুরেন্স কাঠামো। ব্ল্যাক–ক্যাব ইউনিয়নগুলো ন্যায্য লাইসেন্সিং নিয়ম ও রোড–অ্যাক্সেস নিশ্চিত করতে চাপ দিচ্ছে। এদিকে ব্রিটিশ স্টার্টআপ ওয়েভও উবারের সঙ্গে অংশীদার হয়ে স্বচালিত রাইডের পরিকল্পনা জানিয়েছে—প্রতিযোগিতা বাড়ছেই।

যাত্রীরা শুরুতে সীমিত সুবিধাই পাবেন—নির্দিষ্ট রুটে নির্দিষ্ট সময়ে গাড়ি। তবে ধারাবাহিক পিকআপ, ২৪/৭ কাভারেজ ও কম ক্যান্সেলেশন আস্থা বাড়াতে পারে। সফল হলে ঘনবসতিপূর্ণ শহরে রোবোট্যাক্সির সক্ষমতা প্রমাণে লন্ডন একটি মানদণ্ড হয়ে উঠবে। ব্যর্থ হলে শক্ত নিয়ন্ত্রণে ছোট ফ্লিটেই সীমিত থাকবে। আপাতত দ্রুতগতির রেগুলেটরি রূপরেখার কারণে যুক্তরাজ্যই ইউরোপীয় বাজারে প্রথম বড় পদক্ষেপের সম্ভাব্য ঘাঁটি।