নিয়ম কড়া করে অর্থায়নের নতুন পথ
ইন্দোনেশিয়া চার বছর পর আন্তর্জাতিক কার্বন ক্রেডিট বেচাকেনা চালু করেছে। প্রেসিডেন্টের এক ডিক্রিতে সীমান্তপার লেনদেনের পথ খুলে দেওয়া হয়েছে—২০২১ সালে স্থগিতের পর এবার লক্ষ্য হলো বন সংরক্ষণ, পিটল্যান্ড পুনরুদ্ধার ও নবায়নযোগ্য প্রকল্পে বিদেশি অর্থ টানা। প্যারিস চুক্তির ডাবল কাউন্টিং ঠেকাতে “করেসপন্ডিং অ্যাডজাস্টমেন্ট” বজায় রাখার শর্তে সরকার কঠোর কাঠামো রাখতে চায়। এড়ানো বন নিধন ও মিথেন কমানো—এগুলো অগ্রাধিকার। প্রকল্পগুলোকে জাতীয় লক্ষ্যের সঙ্গে সঙ্গতি রাখতে হবে এবং রাজস্বের অংশ রাষ্ট্রকে দিতে হবে। বিপুল কার্বন সিংক ও শক্তি বিনিয়োগের দেশ হিসেবে মানসম্পন্ন ক্রেডিট বিক্রি করতে পারলে অর্থায়নের দরজা খুলবে।
তবে নজরদারি হবে কঠিন। ক্রেতারা জানতে চাইবে—বনভিত্তিক প্রকল্পে পার্মানেন্স ও লিকেজ কীভাবে মাপা হচ্ছে, আর বেসলাইন যাচাই কতটা কঠোর। নতুন নীতিতে কেন্দ্রীভূত রেজিস্ট্রি ও যোগ্যতা মানদণ্ডের কথা আছে—যা জাতিসংঘ-সামঞ্জস্যপূর্ণ কাঠামোর সঙ্গে মিলে। এতে এয়ারলাইন বা ভারী শিল্পের কমপ্লায়েন্স চাহিদা থেকে উচ্চমূল্যের বাজার ধরা সম্ভব। পাশাপাশি আসিয়ান বিদ্যুৎ গ্রিড ও সবুজ শক্তি বাণিজ্যের পরিকল্পনার সঙ্গেও এটি যুক্ত। কয়লা প্ল্যান্ট দ্রুত অবসর, গ্রিড উন্নয়ন—এসব বাস্তব পদক্ষেপের সঙ্গে কার্বন ট্রেডিং এগোলে জলবায়ু হিসেবে লাভ বেশি। না হলে সমালোচকেরা বলবে, কাগুজে ‘ডিকার্বনাইজেশন’। তবু এশিয়ার এক বড় জলবায়ু ফ্রন্ট আবার বৈশ্বিক কার্বন মানচিত্রে ফিরল—প্রতিবেশী দেশগুলো দেখছে, আর বিনিয়োগকারীরা যাচাই করছে—সুরক্ষা কতটা উচ্চমানের।