১০:৪৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ঢাকা (পর্ব-৩৮) অশান্তির জন্য নোবেল থাকলে বাংলাদেশ পেত”— জিএম কাদের একদিনে আরও ৪ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৭৫৮ জন বেতন ও ভাতার দাবিতে পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে বিক্ষোভ, শিক্ষক-কর্মচারীদের শাহবাগ অবরোধ অ্যানথ্রাক্স নিয়ন্ত্রণে গরুর জরুরী কোয়ারেন্টাইনের সিদ্ধান্ত এক দিনে ৮০ পয়েন্ট পতন, ধস নামলো ঢাকার শেয়ারবাজারে রংপুরে অ্যানথ্রাক্স: গঙ্গাচরায় প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া গরু জবাই নিষিদ্ধ দীপিকা পাড়ুকোনের গ্লোবাল প্লেবুক: হিন্দি ছবির সুপারস্টার কীভাবে বানালেন সীমাহীন ক্যারিয়ার শিক্ষক আন্দোলনে অস্থিরতা শিক্ষায়, সমাধানে কী করছে সরকার? ১২ ম্যাচে ১১ হার, যেভাবে এক যুগে ‘সর্বনিম্ন’ অবস্থায় বাংলাদেশের ওয়ানডে ক্রিকেট

চার বছর বিরতির পর আন্তর্জাতিক কার্বন বাণিজ্য আবার খুলল ইন্দোনেশিয়া

নিয়ম কড়া করে অর্থায়নের নতুন পথ

ইন্দোনেশিয়া চার বছর পর আন্তর্জাতিক কার্বন ক্রেডিট বেচাকেনা চালু করেছে। প্রেসিডেন্টের এক ডিক্রিতে সীমান্তপার লেনদেনের পথ খুলে দেওয়া হয়েছে—২০২১ সালে স্থগিতের পর এবার লক্ষ্য হলো বন সংরক্ষণ, পিটল্যান্ড পুনরুদ্ধার ও নবায়নযোগ্য প্রকল্পে বিদেশি অর্থ টানা। প্যারিস চুক্তির ডাবল কাউন্টিং ঠেকাতে “করেসপন্ডিং অ্যাডজাস্টমেন্ট” বজায় রাখার শর্তে সরকার কঠোর কাঠামো রাখতে চায়। এড়ানো বন নিধন ও মিথেন কমানো—এগুলো অগ্রাধিকার। প্রকল্পগুলোকে জাতীয় লক্ষ্যের সঙ্গে সঙ্গতি রাখতে হবে এবং রাজস্বের অংশ রাষ্ট্রকে দিতে হবে। বিপুল কার্বন সিংক ও শক্তি বিনিয়োগের দেশ হিসেবে মানসম্পন্ন ক্রেডিট বিক্রি করতে পারলে অর্থায়নের দরজা খুলবে।

তবে নজরদারি হবে কঠিন। ক্রেতারা জানতে চাইবে—বনভিত্তিক প্রকল্পে পার্মানেন্স ও লিকেজ কীভাবে মাপা হচ্ছে, আর বেসলাইন যাচাই কতটা কঠোর। নতুন নীতিতে কেন্দ্রীভূত রেজিস্ট্রি ও যোগ্যতা মানদণ্ডের কথা আছে—যা জাতিসংঘ-সামঞ্জস্যপূর্ণ কাঠামোর সঙ্গে মিলে। এতে এয়ারলাইন বা ভারী শিল্পের কমপ্লায়েন্স চাহিদা থেকে উচ্চমূল্যের বাজার ধরা সম্ভব। পাশাপাশি আসিয়ান বিদ্যুৎ গ্রিড ও সবুজ শক্তি বাণিজ্যের পরিকল্পনার সঙ্গেও এটি যুক্ত। কয়লা প্ল্যান্ট দ্রুত অবসর, গ্রিড উন্নয়ন—এসব বাস্তব পদক্ষেপের সঙ্গে কার্বন ট্রেডিং এগোলে জলবায়ু হিসেবে লাভ বেশি। না হলে সমালোচকেরা বলবে, কাগুজে ‘ডিকার্বনাইজেশন’। তবু এশিয়ার এক বড় জলবায়ু ফ্রন্ট আবার বৈশ্বিক কার্বন মানচিত্রে ফিরল—প্রতিবেশী দেশগুলো দেখছে, আর বিনিয়োগকারীরা যাচাই করছে—সুরক্ষা কতটা উচ্চমানের।

জনপ্রিয় সংবাদ

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ঢাকা (পর্ব-৩৮)

চার বছর বিরতির পর আন্তর্জাতিক কার্বন বাণিজ্য আবার খুলল ইন্দোনেশিয়া

০৬:১৯:৪৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫

নিয়ম কড়া করে অর্থায়নের নতুন পথ

ইন্দোনেশিয়া চার বছর পর আন্তর্জাতিক কার্বন ক্রেডিট বেচাকেনা চালু করেছে। প্রেসিডেন্টের এক ডিক্রিতে সীমান্তপার লেনদেনের পথ খুলে দেওয়া হয়েছে—২০২১ সালে স্থগিতের পর এবার লক্ষ্য হলো বন সংরক্ষণ, পিটল্যান্ড পুনরুদ্ধার ও নবায়নযোগ্য প্রকল্পে বিদেশি অর্থ টানা। প্যারিস চুক্তির ডাবল কাউন্টিং ঠেকাতে “করেসপন্ডিং অ্যাডজাস্টমেন্ট” বজায় রাখার শর্তে সরকার কঠোর কাঠামো রাখতে চায়। এড়ানো বন নিধন ও মিথেন কমানো—এগুলো অগ্রাধিকার। প্রকল্পগুলোকে জাতীয় লক্ষ্যের সঙ্গে সঙ্গতি রাখতে হবে এবং রাজস্বের অংশ রাষ্ট্রকে দিতে হবে। বিপুল কার্বন সিংক ও শক্তি বিনিয়োগের দেশ হিসেবে মানসম্পন্ন ক্রেডিট বিক্রি করতে পারলে অর্থায়নের দরজা খুলবে।

তবে নজরদারি হবে কঠিন। ক্রেতারা জানতে চাইবে—বনভিত্তিক প্রকল্পে পার্মানেন্স ও লিকেজ কীভাবে মাপা হচ্ছে, আর বেসলাইন যাচাই কতটা কঠোর। নতুন নীতিতে কেন্দ্রীভূত রেজিস্ট্রি ও যোগ্যতা মানদণ্ডের কথা আছে—যা জাতিসংঘ-সামঞ্জস্যপূর্ণ কাঠামোর সঙ্গে মিলে। এতে এয়ারলাইন বা ভারী শিল্পের কমপ্লায়েন্স চাহিদা থেকে উচ্চমূল্যের বাজার ধরা সম্ভব। পাশাপাশি আসিয়ান বিদ্যুৎ গ্রিড ও সবুজ শক্তি বাণিজ্যের পরিকল্পনার সঙ্গেও এটি যুক্ত। কয়লা প্ল্যান্ট দ্রুত অবসর, গ্রিড উন্নয়ন—এসব বাস্তব পদক্ষেপের সঙ্গে কার্বন ট্রেডিং এগোলে জলবায়ু হিসেবে লাভ বেশি। না হলে সমালোচকেরা বলবে, কাগুজে ‘ডিকার্বনাইজেশন’। তবু এশিয়ার এক বড় জলবায়ু ফ্রন্ট আবার বৈশ্বিক কার্বন মানচিত্রে ফিরল—প্রতিবেশী দেশগুলো দেখছে, আর বিনিয়োগকারীরা যাচাই করছে—সুরক্ষা কতটা উচ্চমানের।