চীন-পাকিস্তান সম্পর্কের অবস্থা
চীন সম্প্রতি মিডিয়া রিপোর্টগুলোকে অস্বীকার করেছে, যেখানে বলা হয়েছিল যে পাকিস্তান আমেরিকায় rare-earth নমুনা পাঠিয়েছে। চীনের বিদেশ মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র লিন জিয়ান এসব খবরকে “ভ্রান্ত, কল্পিত বা দুই দেশের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি করার উদ্দেশ্যে পরিকল্পিত” বলে অভিহিত করেছেন।
এই মন্তব্যটি আসে যখন গ্লোবাল টাইমসের একজন সাংবাদিক লিন জিয়ানের কাছে প্রশ্ন করেন যে, পাকিস্তান কি চীনা প্রযুক্তি ব্যবহার করে rare-earth উপকরণ আমেরিকায় রপ্তানি করেছে, এবং এর ফলে চীন কি তাদের রপ্তানি নিয়ন্ত্রণে কিছু পরিবর্তন এনেছে।
চীন-পাকিস্তান সহযোগিতা
লিন জানিয়েছেন যে, চীন এবং পাকিস্তান “সবসময়ই কৌশলগত সহযোগিতার অংশীদার” এবং দুই দেশের মধ্যে “উচ্চ স্তরের কৌশলগত বিশ্বাস ও ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ” রয়েছে। তিনি আরও জানান, পাকিস্তান তাদের আমেরিকান মাইনিং সহযোগিতা নিয়ে চীনের সাথে আলোচনা করেছে, এবং ইসলামাবাদ আশ্বস্ত করেছে যে, তাদের আমেরিকার সাথে সম্পর্ক কখনোই চীনের স্বার্থ বা চীনের সাথে সহযোগিতাকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে না।
আমেরিকায় পাঠানো নমুনা
লিন বলেন, পাকিস্তানি নেতারা যেসব স্যাম্পল আমেরিকার কর্মকর্তাদের প্রদর্শন করেছেন, সেগুলো ছিল পাকিস্তানে কেনা রত্ন খনিজ, যা চীনা প্রযুক্তির সাথে সম্পর্কিত নয়।
রপ্তানি নিয়ন্ত্রণের প্রসঙ্গ
চীন সম্প্রতি কিছু rare-earth প্রযুক্তি সম্পর্কিত রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ শক্তিশালী করেছে। লিন এই পদক্ষেপটিকে একটি “বৈধ উদ্যোগ” হিসেবে ব্যাখ্যা করেছেন, যা রপ্তানি বিধিনিষেধকে শক্তিশালী করতে, আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে এবং পারমাণবিক বিস্তার প্রতিরোধের জন্য প্রয়োজনীয়। তিনি বলেন, এই পদক্ষেপ পাকিস্তানের সাথে সম্পর্কিত নয়।
গত সপ্তাহে, চীন তাদের রপ্তানি নিয়ন্ত্রণের আওতা আরও বিস্তারিত করেছে, যা ৮ নভেম্বর থেকে কার্যকর হবে। এতে rare-earth উত্তোলন ও আলাদা করার প্রযুক্তি, সিঙ্গল ক্রিস্টাল, ডায়মন্ড ওয়্যার সাও এবং অন্যান্য সম্পর্কিত উপকরণের রপ্তানি সীমাবদ্ধ করা হবে। এই পদক্ষেপটি বর্তমান মার্কিন-চীন বাণিজ্য বিরোধের দুই দিন আগে কার্যকর হতে যাচ্ছে।