ছয় মাসে ভিড়, সার্ভিস, ব্যয়ের পরীক্ষাগার
জাপানের ২০২৫ সালের ওসাকা এক্সপো ১৮৪ দিন চলার পর এই সপ্তাহে শেষ হয়েছে—সরকারি হিসাবে দর্শনার্থী ২ কোটি ৫৫ লাখেরও বেশি। এই আয়োজন রিয়েল-টাইমে দেখিয়েছে কিভাবে ভিড় নিয়ন্ত্রণ, কনট্যাক্টলেস পেমেন্ট এবং ওসাকা বে ছাড়িয়ে আশপাশের অঞ্চলে পর্যটক ছড়িয়ে দেওয়া যায়। শেষ দিনেই ২ লাখের বেশি মানুষ গিয়েছে। কানসাইয়ের জন্য এটি ছিল প্রদর্শনী—পরিবহন নেটওয়ার্ক টিকে ছিল, হোটেলগুলো সক্ষমতা টানল, কাছের শহর–নগর দিনভিত্তিক ট্রিপ তুলে ধরল। খুচরা বিক্রি বাড়াতে সীমিত সংস্করণের পণ্য এসেছে। এখন বিক্রি–কিউ ডেটা বিশ্লেষণ করে স্টাফিং, ডায়নামিক প্রাইসিং ও দর্শনার্থীর ‘লাস্ট ১০০ মিটার’ অভিজ্ঞতা উন্নত করার রোডম্যাপ তৈরি হবে। বার্তা স্পষ্ট—জাপান এখনো মেগা-ইভেন্ট সামলাতে পারে, এবং সেখান থেকে শেখা কাজে লাগাতে চায়।
শেখাগুলো দেশজুড়ে প্রযোজ্য। এক্সপোর ভিড়ে দেখা গেছে ক্যাশলেস ব্যবস্থার ফল—ট্রানজিট গেট থেকে রাস্তার কিয়স্ক পর্যন্ত। দুর্বলতা–ও বেরিয়েছে—আবহাওয়ার ধাক্কায় সময়সূচি ভেঙেছে, বহুভাষী সহায়তা সবখানে পাওয়া যায়নি, জনপ্রিয় প্যাভিলিয়নে বটলনেক রইল—যা উন্নত টাইম-স্লট ব্যবস্থার প্রয়োজনীয়তা দেখায়। আঞ্চলিক অর্থনীতির লক্ষ্য ‘স্টিকিনেস’—যদি দ্রষ্টব্যের একটি অংশও পরে ফিরতে চায়, ২০২৬ জুড়ে লাভ হতে পারে। পরিকল্পনায় থাকবে কার্বন ফুটপ্রিন্ট পরিমাপ, ভবিষ্যৎ উৎসবে সবুজ মানদণ্ড। ক্ষুদ্র ব্যবসার জন্য টেমপ্লেট—স্থানীয় খাবার–হস্তশিল্প–নিশ আকর্ষণ মিলিয়ে বান্ডেল, সহজ মোবাইল চেকআউট, আর এমন সোশ্যাল কনটেন্ট যা দর্শককে মূল আকর্ষণের বাইরে ঘুরতে উৎসাহ দেয়। মহামারি-পরবর্তী ওঠানামার পরে এই ভিজিটর ট্যালি আস্থা জোগায়—একই সঙ্গে ট্যুরিজমকে আরও সহনশীল ও সমানভাবে বিস্তৃত করতে ‘টু-ডু’ তালিকাও দেয়।