দুই ভাগে মুক্তির পরিকল্পনা
২০০৪ সালের ব্লকবাস্টার ‘দ্য প্যাশন অব দ্য ক্রাইস্ট’-এর সিক্যুয়েল ‘দ্য রিজারেকশন অব দ্য ক্রাইস্ট’—নবীন প্রধান চরিত্রদের নিয়ে রোমের চিনেচিত্তা স্টুডিওতে শুটিং শুরু হয়েছে। যিশুর ভূমিকায় এবার ফিনল্যান্ডের জ্যাক্কো অহতোনেন; মেরি ম্যাগদালিনে মারিয়েলা গারিগা। নির্মাতারা গল্পকে দুই ভাগে ভাগ করে ২০২৭ সালে মুক্তির পরিকল্পনা করেছেন। সময়রেখার কারণে (শুক্র–ঈস্টারের পরবর্তী দিনগুলো) ডিজিটাল ‘ডি-এজিং’ এড়াতেই পুনর্নিয়োগ—এমনটাই জানাচ্ছে সংশ্লিষ্টরা। ২০০৪ সালের আসল ছবি ৬১০ মিলিয়ন ডলার বিশ্বব্যাপী আয় করেছিল—টার্গেটেড প্রচারণা ও চার্চ-ভিত্তিক আউটরিচের আদর্শ উদাহরণ। দুই দশক পর স্ট্রিমিং যুগে এই সিক্যুয়েল প্রেক্ষাগৃহে আবার বড় দর্শক টানতে পারে কি না—এটাই বড় প্রশ্ন।
এখানে লজিস্টিকস ও উপস্থাপনা গুরুত্বপূর্ণ। রোমের লোকেশন ও কর-প্রণোদনা সুবিধা দিচ্ছে; একই সঙ্গে ধর্মীয় বয়ানকে সিক্যুয়েলে নেওয়ার যুক্তি নিয়েও সমালোচনা আসতে পারে। নির্মাতারা বলছেন, দু’ভাগে ভাগ করলে শোক–সন্দেহ–বিশ্বাসের চরিত্র-আর্ক গভীর করা যায়। ফলে প্রোডাকশন ডিজাইন, সুর, অভিনয় এবং খ্রিস্টধর্মের বৈচিত্র্যের প্রতি সংবেদনশীলতায় উচ্চমানের প্রত্যাশা থাকছে। প্রচারণায় চার্চ স্ক্রিনিং, ইনফ্লুয়েন্সার পাস্টর, faith-পাবলিশার পার্টনারশিপ—এসবের পাশাপাশি মূলধারার গণমাধ্যমে নতুন কাস্ট ও চিনেচিত্তার পর্দার পেছনের দৃশ্য দেখানো হবে। বক্স অফিস নির্ভর করবে বাজেট শৃঙ্খলা ও সেকেন্ডারি রাইটসের সদ্ব্যবহারের উপর। ভাল হলে দুই পর্ব মিলে এক মৌসুমি আলাপ তৈরি করতে পারে; ব্যর্থ হলে ক্লান্তি আসবে। আপাতত ক্যামেরা ঘুরছে—২০০৪-এর আশ্চর্য সাফল্যের দ্বিতীয় অধ্যায় শুরু।