সংকটের গভীরতা
মাদাগাস্কারের সেনাবাহিনী মঙ্গলবার ক্ষমতা দখলের ঘোষণা দেয়। রাষ্ট্রপতি আন্দ্রি রাজোয়েলিনা, যিনি ক্ষমতায় আসেন ২০০৯ সালের এক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে, সংসদের নিম্নকক্ষের অভিশংসনের পরে দেশ ত্যাগ করতে বাধ্য হন। সেনাবাহিনী মন্ত্রিসভা এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানগুলোকে স্থগিত করার ঘোষণা দেয়, যদিও জাতীয় সংসদের নিম্নকক্ষ বহাল রেখেছে।
সেনাবাহিনীর ক্ষমতা দখল
একটি সামরিক কমান্ডার, কর্নেল মাইকেল র্যান্ড্রিয়ানিরিনা, রাষ্ট্রীয় রেডিওতে জানিয়েছেন যে সেনাবাহিনী দেশটি নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। তিনি বলেন, তারা নতুন নির্বাচন আয়োজনের আগে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার পরিচালনা করবে। সেনাবাহিনী ইতিমধ্যেই সিনেট, সংবিধানিক আদালত, এবং মানবাধিকার কমিশনসহ অন্যান্য সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো স্থগিত করেছে।
রাজোয়েলিনার প্রত্যাখ্যান
রাষ্ট্রপতি রাজোয়েলিনা সেনাবাহিনীর ক্ষমতা দখলকে একটি অবৈধ পদক্ষেপ হিসেবে নিন্দা করেছেন, তবে সেনাবাহিনী এবং অভ্যুত্থানকারীরা তার বিরুদ্ধে রক্ষণশীল পদক্ষেপ গ্রহণ করে। পরিস্থিতি আরও ঘনীভূত হয় যখন রাজোয়েলিনার শাসক দলও তাকে অভিশংসন করতে ভোট দেয়।
বিক্ষোভ এবং বিশৃঙ্খলা
মাদাগাস্কারে গত সপ্তাহে ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু হয়েছিল, যা ধীরে ধীরে সেনাবাহিনীর সমর্থনে পরিণত হয়। প্রাথমিকভাবে পানি এবং বিদ্যুৎ সঙ্কটের কারণে বিক্ষোভের সূচনা হলেও দ্রুত তা দুর্নীতি, খারাপ শাসন এবং মৌলিক সেবা ঘাটতির বিরুদ্ধে গণআন্দোলনে রূপ নেয়। বিশেষ করে, দেশটির যুবক জনগণ, যাদের গড় বয়স ২০ বছরের কম, এই বিক্ষোভে সবচেয়ে বেশি অংশ নেয়।
অর্থনৈতিক সঙ্কট
মাদাগাস্কার, যেখানকার ৩০ মিলিয়ন জনসংখ্যার মধ্যে তিন-চতুর্থাংশ মানুষ দারিদ্র্যের মধ্যে বাস করছে, দেশটি অর্থনৈতিক সংকটে ভুগছে। স্বাধীনতার পর থেকে দেশটির মাথাপিছু আয় ৪৫% কমেছে, এবং বর্তমানে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে উঠেছে।
ভবিষ্যতের দিশা
কর্মকর্তারা এখন একটানা শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তর এবং দ্রুত নির্বাচনের দাবি তুলছেন। তবে কিছু লোক মনে করেন, সেনাবাহিনী যদি দ্রুত একটি বেসামরিক প্রশাসন গঠন না করে, তবে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠবে।
#মাদাগাস্কার #সেনাবাহিনী #অভ্যুত্থান #বিক্ষোভ #রাজনীতি #অর্থনীতি #রাজোয়েলিনা