শ্রীলঙ্কা ঘোষণা করেছে যে *২০২৫ সালের ১৫ অক্টোবর* থেকে দেশটিতে প্রবেশের আগে সকল স্বল্পমেয়াদি ভ্রমণকারী—এর মধ্যে *বাংলাদেশি নাগরিকরাও—একটি **ইলেকট্রনিক ট্রাভেল অথরাইজেশন (ETA)* নিতে হবে। এটি একটি ডিজিটাল ভিসা-পদ্ধতি, যা অনলাইনে সহজভাবে সম্পন্ন করা যায়।
ভিসার মতোই ডিজিটাল অনুমতি
ETA হচ্ছে এমন একটি স্বল্পমেয়াদি অনলাইন অনুমতি যা ভ্রমণের আগে নিতে হবে। আবেদনকারীকে শ্রীলঙ্কা সরকারের নির্ধারিত ওয়েবসাইটে গিয়ে পাসপোর্ট তথ্য ও ফি জমা দিতে হবে, এবং কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ইলেকট্রনিক অনুমোদন পাওয়া যাবে।
বাংলাদেশিদের জন্য এর মানে হলো, আগের মতো বিমানবন্দরে পৌঁছে অন-অ্যারাইভাল ভিসা নেওয়া যাবে না। এখন থেকে *ETA অনুমোদন না থাকলে বিমান সংস্থাগুলো বোর্ডিং দিতে পারবে না*—অর্থাৎ যাত্রার আগেই অনলাইনে অনুমতি নিতে হবে।
সহজ প্রক্রিয়া, নিরাপদ ভ্রমণ
শ্রীলঙ্কা অভিবাসন দপ্তরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই নতুন পদ্ধতি বিমানবন্দরে ভিড় কমাবে, নিরাপত্তা বাড়াবে এবং পর্যটন ব্যবস্থাপনা আরও সহজ করবে।
ঢাকার ট্রাভেল এজেন্টরাও মনে করছেন এটি কোনো বাধা নয়, বরং আধুনিকায়ন। “ভারত বা থাইল্যান্ডের মতো ই-ভিসা বা অনলাইন ফর্ম—এটিও ঠিক তেমনই একটি ডিজিটাল প্রক্রিয়া,” বলেন এক ট্রাভেল অপারেটর।
মেয়াদ ও আবেদন পদ্ধতি
ETA অনুমোদন নিয়ে সর্বোচ্চ *৩০ দিন* অবস্থান করা যাবে এবং এটি *ছয় মাস পর্যন্ত বৈধ থাকবে, যাতে একাধিকবার প্রবেশ করা যায়। শ্রীলঙ্কা সরকার জানিয়েছে, ভ্রমণের কমপক্ষে **তিন থেকে পাঁচ দিন আগে* অনলাইনে আবেদন করা উচিত।
বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য আবেদনপত্র খোলা হবে *১৫ অক্টোবর ২০২৫* থেকে, শ্রীলঙ্কার সরকারি ওয়েবসাইটে ([www.eta.gov.lk*)।](http://www.eta.gov.lk*%29।)
পর্যটন কর্তৃপক্ষের আশা, এই ডিজিটাল ব্যবস্থা দ্রুত প্রবেশ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে সাহায্য করবে এবং দক্ষিণ এশীয় পর্যটকদের জন্য অভিজ্ঞতা আরও মসৃণ হবে।
শ্রীলঙ্কা সরকার মনে করছে, নতুন ETA নিয়মটি দেশের পর্যটন পুনরুদ্ধার প্রচেষ্টায় সহায়ক হবে এবং আন্তর্জাতিক ভ্রমণ মানদণ্ডে আরও সঙ্গতিপূর্ণ হবে।