কূটনীতি, অস্ত্র ও জ্বালানি নেটওয়ার্ক
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এই সপ্তাহে ভিন্নধর্মী এক পদক্ষেপ নিয়েছেন—ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সরাসরি বৈঠক করে সহায়তার নতুন পথ খুঁজছেন। রুশ বাহিনী সম্প্রতি যে হারে জ্বালানি অবকাঠামোতে আঘাত বাড়িয়েছে, তার লক্ষ্য শীতের আগে ইউক্রেনকে বিদ্যুৎশূন্য করার কৌশলকে এগিয়ে নেওয়া। তাই কিয়েভের অগ্রাধিকার পরিষ্কার—প্যাট্রিয়ট ও নাসামস ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষার জন্য আরও ইন্টারসেপ্টর, দ্রুত প্রতিক্রিয়াশীল অ্যান্টি-ড্রোন ব্যবস্থা, আর ট্যাঙ্ক-সাঁজোয়া যান চালু রাখতে স্পেয়ার পার্টস। ইউরোপীয় রাজধানীগুলোও উদ্বিগ্ন; বাল্টিক থেকে কৃষ্ণ সাগর পর্যন্ত আকাশসীমা পরীক্ষা করে দেখার সাম্প্রতিক প্রয়াস ন্যাটোর প্রতিক্রিয়া সক্ষমতা যাচাই করেছে। জেলেনস্কির মতে, এই বৈঠক আসলে নিরাপত্তা ব্রিফিং—শুধু ছবি তোলার আয়োজন নয়; ইউক্রেনের আকাশ প্রতিরক্ষা ও ন্যাটোর প্রতিরোধ ক্ষমতাকে এক অক্ষরে বাঁধার প্রচেষ্টা।
মার্কিন রাজনীতি, ন্যাটোর হিসাব
ট্রাম্প শিবির জেলেনস্কির বক্তব্য শুনতে প্রস্তুতির ইঙ্গিত দিলেও রিপাবলিকানদের ভেতরে দীর্ঘমেয়াদি সহায়তা নিয়ে বিভক্তি স্পষ্ট। যে কোনো নতুন প্যাকেজ সামনে এগোবে কড়া জবাবদিহি, ব্যবহার নজরদারি ও দুর্নীতিবিরোধী শর্তের সঙ্গে—যা সন্দিহান আইনপ্রণেতাদের সমর্থন টানতে পারে। পাশাপাশি ন্যাটো পূর্ব সীমান্তে এয়ার পোলিসিং বাড়াচ্ছে এবং ট্রান্সফরমারসহ গ্রিড উপকরণ দ্রুত পাঠানোর পরিকল্পনা করছে, যাতে শীতের চূড়ায় ইউক্রেনের জ্বালানি ব্যবস্থা টিকে থাকে। সমীকরণটি সহজ: গ্রিড-আক্রমণ সফল হলে ইউক্রেনে লোডশেডিং বাড়বে, উৎপাদন ও মনোবল কমবে; প্রতিরক্ষা টিকলে রাশিয়া ব্যয়বহুল অস্ত্র নিক্ষেপে ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়বে। তাই কূটনীতি ও লজিস্টিকসই এখন মোক্ষম—আগামী আট সপ্তাহেই যুদ্ধের তৃতীয় শীতের ছন্দ ঠিক হতে পারে।