সীমান্তের লজিস্টিকস, নিরাপত্তা ও মানবিক যাত্রা
ইসরায়েলি সমন্বয় সংস্থা (কোগাট) জানিয়েছে, রাফাহ স্থলসীমান্ত ফের মানুষের চলাচলের জন্য খুলতে কায়রোর সঙ্গে প্রযুক্তিগত প্রস্তুতি চলছে। প্রাথমিক ধাপে পাসপোর্ট নিয়ন্ত্রণ, নিরাপত্তা তল্লাশি ও চিকিৎসা ত্রায়াজকে কেন্দ্র করে লেন সাজানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে, যাতে রোগী সরানো, শিক্ষার্থীদের যাতায়াত ও পরিবার পুনর্মিলন ধীরে ধীরে শুরু করা যায়। মিসরের শর্ত স্পষ্ট—স্ক্রিনিং প্রোটোকল, দায়বদ্ধতা ও গাজার পাশে পরিধি-নিয়ন্ত্রণ কে করবে, সে বিষয়ে নিশ্চয়তা। ইসরায়েল ইঙ্গিত দিয়েছে, খাদ্য-ওষুধের বড় চালান আগের মতোই কেরেম শালোম ও অন্যান্য পয়েন্ট দিয়ে যাবে; রাফাহকে তারা কখনোই মূল মালামাল রুট হিসেবে দেখেনি। প্রেক্ষাপট জটিল—যুদ্ধবিরতি টিকে আছে, কিন্তু বন্দি-হস্তান্তর, মরদেহ শনাক্তকরণ ও ‘শর্তভঙ্গ’ নিয়ে দ্বন্দ্ব অব্যাহত; যে কোনো রোডম্যাপকে এ বাস্তবতার মধ্যেই কাজ করতে হবে।
মানুষের যাত্রাপথ, আঞ্চলিক সমীকরণ
বিদেশে আটকে থাকা বা ছিন্নপরিবার—রাফাহ আংশিক খোলায় তাদের জন্য সীমিত হলেও গুরুত্বপূর্ণ দরজা খুলতে পারে। তবে সক্ষমতা কম, কাগজপত্র কঠোর। আঞ্চলিক উদ্বেগও বড়—মিসর শরণার্থী প্রবাহের আশঙ্কা এড়াতে চায়; ইসরায়েল চায় এমন পরিদর্শনব্যবস্থা যাতে সশস্ত্রেরা বেসামরিক ধারা ব্যবহার করতে না পারে। মানবিক সংস্থাগুলোর দাবি—পাশাপাশি স্থিতিশীল, পূর্বঘোষিত কার্গো-কনভয় সূচি চালু করতে হবে; অ্যাম্বুলেন্স ও উচ্চঝুঁকির রোগীদের অগ্রাধিকার নিশ্চিত করতে হবে। কূটনীতিকদের মতে, সফলতার মানদণ্ড ঘোষণায় নয়—প্রতিদিন কতজন নিরাপদে পার হলেন, কোনো সহিংসতা ঘটল কি না—সেই হিসাবেই মাপা হবে। কয়েকদিনেই বোঝা যাবে, সমন্বয় কি মুখোমুখি রাজনীতিকে হারাতে পারে, আর বেসামরিকদের জন্য এই দরজা কি দীর্ঘমেয়াদে কার্যকর থাকে।