পুঁজি, ডার্ক-স্টোর ও প্রযুক্তি
ভারতীয় কুইক-কমার্স স্টার্টআপ জেপ্টো নতুন তহবিলে ৪৫০ মিলিয়ন ডলার তুলেছে; মূল্যায়ন ৭ বিলিয়ন ডলার। সংস্থাটি জানায়, টাকার বড় অংশ যাবে মুম্বাই-দিল্লি-বেঙ্গালুরুসহ প্রথম সারির শহরে ও ঘনবসতিপূর্ণ টিয়ার-টু পকেটে ডার্ক-স্টোর সম্প্রসারণে। পাশাপাশি মাইক্রো-ফুলফিলমেন্ট অটোমেশন, পিকিং-রাউটিং সফটওয়্যার আপগ্রেড, আর সাবস্ক্রিপশন স্তর শক্ত করতে ব্যয় ধরা হয়েছে। প্রতিদ্বন্দ্বীরা লোকসানি জোন ছাঁটাই করছে; জেপ্টো বাজি ধরেছে ডেনসিটি, প্রাইভেট-লেবেল স্কু ও পুনরাবৃত্তি অর্ডারে। তবে বিধিনিষেধ নজরদারিতে আছে—কিছু এলাকায় শব্দদূষণ ও রাইডার সুরক্ষার অভিযোগ বেড়েছে। প্রযুক্তি-দিক থেকেও বদল—চাহিদা-পূর্বাভাস ও ডায়নামিক ব্যাচিং দিয়ে অফ-পিাকে বাইক ‘ফুল’ রাখতে চায় জেপ্টো। ব্র্যান্ডদের জন্য এটি স্যাম্পলিং প্ল্যাটফর্ম; ভোক্তার জন্য প্রতিশ্রুতি—গতি নয়, নির্ভরযোগ্যতা।
লাভজনকতায় পথ, ঝুঁকি ও সূচক
এই রাউন্ড লাভজনকতার সময়রেখা নতুন করে নির্ধারণ করছে। জেপ্টোর মডেল সবচেয়ে কার্যকর যেখানে গড় অর্ডার মূল্য বাড়ছে—তাজা পণ্য স্ট্যাপলের সঙ্গে বাণ্ডেল—এবং যেখানে রিপিট রেট উচ্চ। ফলে শহরের সচ্ছল অঞ্চল সুবিধায়; পাতলা উপশহর পিছিয়ে। লজিস্টিকস খরচ অনিশ্চিত—রাইডার টার্নওভার, জ্বালানি, দুই-চাকার নিয়ম। প্রতিদ্বন্দ্বীরা প্রোমো বাড়াতে পারে, তবে গত বছরের ক্ষতির পর মূলধন শাসন তাদের ছাড় কমাবে। প্রেক্ষাপট সহায়ক—দ্বৈত-আয় পরিবার, ডিজিটাল পেমেন্টের সর্বব্যাপীতা, আর পোস্ট-প্যান্ডেমিক ই-গ্রোসারির অভ্যাস। বিশ্লেষকেরা ডিসেম্বর পর্যন্ত তিন সূচক দেখবেন: প্রতি ঘণ্টায় ডার্ক-স্টোর থ্রুপুট; প্রাইভেট-লেবেল স্কুর অংশ; ৯০তম পারসেন্টাইলে ‘অন-টাইম’ ডেলিভারি। এগুলো উঠলে ৭ বিলিয়ন ডলারের ট্যাগ অযৌক্তিক দেখাবে না—আর খাতটি ১০-মিনিট প্রতিযোগিতা থেকে সরে লাভজনক সুবিধার খেলায় ঢুকে পড়বে।