ক্যারিবিয়ান সাগরে মার্কিন নৌবাহিনীর হামলায় ট্রিনিদাদ ও টোবাগোর দুই জেলে নিহত হওয়ার অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে ভেনেজুয়েলা। জাতিসংঘে দেশটির রাষ্ট্রদূত স্যামুয়েল মনকাদা বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র “নিরপরাধ মানুষকে হত্যা করছে” এবং এই ধরনের অভিযান আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করছে।
ভেনেজুয়েলার অভিযোগ: ‘নিরপরাধ মানুষ নিহত’
জাতিসংঘে এক সংবাদ সম্মেলনে ভেনেজুয়েলার রাষ্ট্রদূত মনকাদা বলেন, “বিভিন্ন দেশের মানুষ—কলম্বিয়া, ট্রিনিদাদসহ—এই হত্যাযজ্ঞের শিকার হচ্ছে।” তিনি ট্রিনিদাদের স্থানীয় পত্রিকা গার্ডিয়ান-এর প্রচ্ছদ তুলে ধরে জানান, সাম্প্রতিক নৌবাহিনীর বোমা হামলায় নিহতদের মধ্যে ট্রিনিদাদের দুই জেলে ছিলেন।

যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান: ‘মাদক সন্ত্রাসবাদ দমন অভিযান’
মার্কিন প্রশাসন জানায়, এই হামলাগুলো তথাকথিত “নার্কো-টেররিস্ট” বা মাদক সন্ত্রাসবাদীদের দমন করতে চালানো হয়েছে, যারা ভেনেজুয়েলা থেকে যুক্তরাষ্ট্রে মাদক পাচার করে। তবে অভিযানের বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ না করায় আন্তর্জাতিক মহলে প্রশ্ন উঠেছে—এই হামলাগুলিতে ঠিক কারা লক্ষ্যবস্তু ছিলেন এবং কোনো আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়েছিল কি না।
আন্তর্জাতিক জলসীমায় হামলার বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন
এই ঘটনাকে ঘিরে বিতর্ক দেখা দিয়েছে যে, আন্তর্জাতিক জলসীমায় যুক্তরাষ্ট্রের এই প্রাণঘাতী অভিযান কতটা বৈধ। কোনো বিচার প্রক্রিয়া ছাড়াই মানুষ হত্যা আন্তর্জাতিক আইনের গুরুতর লঙ্ঘন বলে মানবাধিকার সংস্থাগুলো মন্তব্য করেছে।
ট্রিনিদাদে শোক ও ক্ষোভ
ট্রিনিদাদ ও টোবাগোর এক জেলেপল্লিতে গার্ডিয়ান পত্রিকার সাংবাদিকদের গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, তাদের দুই স্থানীয় জেলে ভেনেজুয়েলায় মাছ ধরতে গিয়েছিলেন এবং আর ফেরেননি। তাদের বিশ্বাস, যুক্তরাষ্ট্রের বোমা হামলায় তারা নিহত হয়েছেন।

ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা ও আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া
ঘটনাটি ক্যারিবিয়ান অঞ্চলে নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে। ভেনেজুয়েলা এই হামলাকে “মার্কিন আগ্রাসন” আখ্যা দিয়ে আন্তর্জাতিক তদন্ত দাবি করছে। তবে ওয়াশিংটন এখনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানায়নি।
# ভেনেজুয়েলা, #যুক্তরাষ্ট্র,# ট্রিনিদাদ_ও_টোবাগো, #ক্যারিবিয়ান, #নৌবাহিনী, #জাতিসংঘ, #মাদক_পাচার, #আন্তর্জাতিক_আইন, #সারাক্ষণ_রিপোর্ট
সারাক্ষণ রিপোর্ট 



















