০১:০৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫
তীব্র তাপে বিশ্বজুড়ে বিদ্যুৎ গ্রিডে চাপ বিআরটিএতে সবচেয়ে বেশি দুর্নীতি, আইনশৃঙ্খলা ও পাসপোর্ট দপ্তরও শীর্ষে মগবাজার ফ্লাইওভার থেকে বোমা নিক্ষেপ, নিহত এক পথচারী অসম ভিআইপি সুবিধা নির্বাচন আচরণবিধি লঙ্ঘন: নির্বাচন কমিশনকে জানাল জামায়াত বড়দিন ও সাপ্তাহিক ছুটিতে টানা তিন দিন বন্ধ ব্যাংক ও শেয়ারবাজার বৃহস্পতিবার দেশে পালিত হবে বড়দিন, উৎসব ঘিরে শুভেচ্ছা ও বাড়তি নিরাপত্তা উপেক্ষিত রুমিন ফারহানা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ তরুণ ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের কর্মসংস্থানে বিশ্বব্যাংকের নতুন অর্থায়ন, বাংলাদেশে অনুমোদন ১৫০ কোটি ডলার তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তনে সরকারের স্বাগত, পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস গাজীপুরে জাসাস নেতাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা

অর্থায়ন বন্ধে ক্ষুব্ধ—মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ছেড়ে চীনে ফিরে গেলেন শীর্ষ জৈব-বিজ্ঞানী হু ই

মার্কিন ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হেলথ (NIH) কর্তৃক ৮.৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের গবেষণা অনুদান বন্ধ হওয়ার পর খ্যাতনামা জৈব-বিজ্ঞানী হু “টনি” ই ২২ বছর যুক্তরাষ্ট্রে কাজ করার পর নিজ দেশে ফিরে গেছেন। তিনি এখন চিংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের প্রতিষ্ঠাতা ডিন হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন।

মার্কিন গবেষণা অনুদান বন্ধ ও তার প্রভাব

টিউলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রখ্যাত অধ্যাপক হু ই সাম্প্রতিক মাসগুলোতে মার্কিন NIH অর্থায়ন স্থগিত ও কর্তনের সমালোচনা করেছিলেন। তিনি জানান, তার নেতৃত্বাধীন তিনটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে—যার মধ্যে শিশুদের টিবি ও এইচআইভি শনাক্তকরণের জন্য ৩.৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, রক্ত-নির্ভর ক্যান্সার শনাক্তকরণ প্রযুক্তি বিকাশে ৩.১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং উন্নত গবেষণাগার সরঞ্জাম কেনার জন্য ১.৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বরাদ্দ ছিল।

গত ৭ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত খোলা চিঠিতে তিনি লেখেন, “NIH-এর তহবিল কমিয়ে দিলে তা জনস্বাস্থ্য গবেষণার জন্য মারাত্মক আঘাত হবে। এখনই আমাদের কণ্ঠ তুলতে হবে, নয়তো ভবিষ্যৎ হারাবো।” তিনি সতর্ক করেন, প্রস্তাবিত বাজেট কর্তন কার্যকর হলে NIH অনুদানের পরোক্ষ খরচ ফেরত দেওয়ার হার ৫৩ শতাংশ থেকে নেমে ১৫ শতাংশে দাঁড়াবে।

চিংহুয়ায় প্রত্যাবর্তন ও নতুন দায়িত্ব

চিংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকাশিত তথ্যানুযায়ী, হু ই ২০২৫ সালের ১০ অক্টোবর দেশে ফিরে প্রতিষ্ঠিত বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা ডিন ও ঝাও–ই অধ্যাপক হিসেবে যোগ দেন। ১৯৯৯ সালে তিনি লানঝো বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন ও রাসায়নিক প্রকৌশল কলেজ থেকে অনার্সসহ স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন, যেখানে ২,০০০ শিক্ষার্থীর মধ্যে মাত্র ১০ জন এই সম্মান পান। এরপর চিংহুয়ায় মাস্টার্স সম্পন্ন করে যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয়ে বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ২০০৯ সালে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন।

গবেষণা জীবনের পথচলা ও প্রেরণা

ডক্টরেট-পরবর্তী সময়ে ইতালিতে এইডসে আক্রান্ত কিছু শিশুর সঙ্গে দেখা করার অভিজ্ঞতা হু ই-এর জীবনে গভীর ছাপ ফেলে। তাদের দুর্ভোগ তাঁকে অনুপ্রাণিত করে দ্রুত ভাইরাস শনাক্তকরণ প্রযুক্তি উন্নয়নে। ২০২১ সালে তাঁর টিউলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবরেটরি কোভিড–১৯ শনাক্তে নাকের সোয়াবের পরিবর্তে লালারস–ভিত্তিক পরীক্ষার কিট তৈরি করে, যা মাত্র ১৫ মিনিটে স্মার্টফোনের মাধ্যমে ফল দিতে সক্ষম ছিল।

টিবি ও অন্যান্য সংক্রামক রোগে অবদান

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ২০২৪ সালের হিসাবে প্রতি বছর বিশ্বজুড়ে প্রায় ১ কোটি ৮ লাখ মানুষ যক্ষ্মায় আক্রান্ত হয়, যার মধ্যে প্রায় ১২.৫ লাখ মারা যায়। হু ই ন্যানোপার্টিকলের মাধ্যমে মানব রক্তে টিবি অ্যান্টিজেন শনাক্তের নতুন প্রযুক্তি তৈরি করেন, যা সাধারণ পদ্ধতির তুলনায় পরীক্ষার সময় ৪–৬ সপ্তাহ থেকে কমিয়ে আনে মাত্র ২.৫ ঘণ্টায়। পরীক্ষার খরচও কমে প্রায় ৩ মার্কিন ডলার প্রতি নমুনা।

পেশাগত অর্জন ও আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি

২০১১ থেকে ২০১৫ পর্যন্ত হু ই হিউস্টন মেথডিস্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউটে ন্যানোমেডিসিন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কাজ করেন এবং পাশাপাশি ওয়েইল, কর্নেল মেডিক্যাল কলেজেও শিক্ষকতা করেন। ২০১৯ সালে তিনি টিউলেন বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দেন এবং সেলুলার অ্যান্ড মলিকিউলার ডায়াগনস্টিকস সেন্টারের পরিচালক হন।

২০২৪ সালে নেচার জার্নালে প্রকাশিত “Tracking down tuberculosis” প্রবন্ধে যক্ষ্মা শনাক্তের সাতটি সম্ভাব্য নতুন প্রযুক্তির মধ্যে তিনটি তাঁর ল্যাবের উদ্ভাবন হিসেবে উল্লেখ করা হয়। তাঁর গবেষণাগার দীর্ঘদিন ধরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বিভাগ, NIH, গেটস ফাউন্ডেশন এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অর্থায়নে পরিচালিত হয়েছে।

২০২৫ সালের জুনে যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাসোসিয়েশন অব ডায়াগনস্টিকস অ্যান্ড ল্যাবরেটরি মেডিসিন হু ইকে ক্লিনিক্যাল কেমিস্ট্রিতে অসামান্য অবদানের জন্য তাদের একাডেমি পুরস্কারে ভূষিত করে। তবে এপ্রিলের খোলা চিঠিতে তিনি সতর্ক করেন, “যথাযথ অর্থায়ন না থাকলে আমাদের উদ্ভাবনগুলো কখনোই মানুষের কাছে পৌঁছাবে না।”

বৈজ্ঞানিক মেধা প্রত্যাবর্তনের প্রবণতা

হু ই-এর দেশফেরার ঘটনাটি সাম্প্রতিক বছরগুলোতে যুক্তরাষ্ট্র থেকে চীনে বিজ্ঞানীদের প্রত্যাবর্তনের ক্রমবর্ধমান প্রবণতাকে আরও উজ্জ্বল করে তুলেছে। তহবিল সংকোচন, প্রশাসনিক প্রতিবন্ধকতা এবং গবেষণার সীমিত স্বাধীনতা অনেক চীনা বিজ্ঞানীকে নিজ দেশে ফিরে যেতে উৎসাহিত করছে, যেখানে সরকার নতুন প্রযুক্তি ও চিকিৎসা উদ্ভাবনে ব্যাপক বিনিয়োগ চালিয়ে যাচ্ছে।

#চীনা_বিজ্ঞানী #হু_ই #বায়োমেডিকেল_ইঞ্জিনিয়ারিং #NIH_অর্থায়ন #চিংহুয়া_বিশ্ববিদ্যালয় #টিউলেন_বিশ্ববিদ্যালয় #বিজ্ঞান_গবেষণা #যক্ষ্মা_ও_এইডস #চীনে_প্রত্যাবর্তন #সারাক্ষণ_রিপোর্ট

জনপ্রিয় সংবাদ

তীব্র তাপে বিশ্বজুড়ে বিদ্যুৎ গ্রিডে চাপ

অর্থায়ন বন্ধে ক্ষুব্ধ—মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ছেড়ে চীনে ফিরে গেলেন শীর্ষ জৈব-বিজ্ঞানী হু ই

০৪:৩৯:০৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৫

মার্কিন ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হেলথ (NIH) কর্তৃক ৮.৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের গবেষণা অনুদান বন্ধ হওয়ার পর খ্যাতনামা জৈব-বিজ্ঞানী হু “টনি” ই ২২ বছর যুক্তরাষ্ট্রে কাজ করার পর নিজ দেশে ফিরে গেছেন। তিনি এখন চিংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের প্রতিষ্ঠাতা ডিন হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন।

মার্কিন গবেষণা অনুদান বন্ধ ও তার প্রভাব

টিউলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রখ্যাত অধ্যাপক হু ই সাম্প্রতিক মাসগুলোতে মার্কিন NIH অর্থায়ন স্থগিত ও কর্তনের সমালোচনা করেছিলেন। তিনি জানান, তার নেতৃত্বাধীন তিনটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে—যার মধ্যে শিশুদের টিবি ও এইচআইভি শনাক্তকরণের জন্য ৩.৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, রক্ত-নির্ভর ক্যান্সার শনাক্তকরণ প্রযুক্তি বিকাশে ৩.১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং উন্নত গবেষণাগার সরঞ্জাম কেনার জন্য ১.৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বরাদ্দ ছিল।

গত ৭ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত খোলা চিঠিতে তিনি লেখেন, “NIH-এর তহবিল কমিয়ে দিলে তা জনস্বাস্থ্য গবেষণার জন্য মারাত্মক আঘাত হবে। এখনই আমাদের কণ্ঠ তুলতে হবে, নয়তো ভবিষ্যৎ হারাবো।” তিনি সতর্ক করেন, প্রস্তাবিত বাজেট কর্তন কার্যকর হলে NIH অনুদানের পরোক্ষ খরচ ফেরত দেওয়ার হার ৫৩ শতাংশ থেকে নেমে ১৫ শতাংশে দাঁড়াবে।

চিংহুয়ায় প্রত্যাবর্তন ও নতুন দায়িত্ব

চিংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকাশিত তথ্যানুযায়ী, হু ই ২০২৫ সালের ১০ অক্টোবর দেশে ফিরে প্রতিষ্ঠিত বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা ডিন ও ঝাও–ই অধ্যাপক হিসেবে যোগ দেন। ১৯৯৯ সালে তিনি লানঝো বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন ও রাসায়নিক প্রকৌশল কলেজ থেকে অনার্সসহ স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন, যেখানে ২,০০০ শিক্ষার্থীর মধ্যে মাত্র ১০ জন এই সম্মান পান। এরপর চিংহুয়ায় মাস্টার্স সম্পন্ন করে যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয়ে বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ২০০৯ সালে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন।

গবেষণা জীবনের পথচলা ও প্রেরণা

ডক্টরেট-পরবর্তী সময়ে ইতালিতে এইডসে আক্রান্ত কিছু শিশুর সঙ্গে দেখা করার অভিজ্ঞতা হু ই-এর জীবনে গভীর ছাপ ফেলে। তাদের দুর্ভোগ তাঁকে অনুপ্রাণিত করে দ্রুত ভাইরাস শনাক্তকরণ প্রযুক্তি উন্নয়নে। ২০২১ সালে তাঁর টিউলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবরেটরি কোভিড–১৯ শনাক্তে নাকের সোয়াবের পরিবর্তে লালারস–ভিত্তিক পরীক্ষার কিট তৈরি করে, যা মাত্র ১৫ মিনিটে স্মার্টফোনের মাধ্যমে ফল দিতে সক্ষম ছিল।

টিবি ও অন্যান্য সংক্রামক রোগে অবদান

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ২০২৪ সালের হিসাবে প্রতি বছর বিশ্বজুড়ে প্রায় ১ কোটি ৮ লাখ মানুষ যক্ষ্মায় আক্রান্ত হয়, যার মধ্যে প্রায় ১২.৫ লাখ মারা যায়। হু ই ন্যানোপার্টিকলের মাধ্যমে মানব রক্তে টিবি অ্যান্টিজেন শনাক্তের নতুন প্রযুক্তি তৈরি করেন, যা সাধারণ পদ্ধতির তুলনায় পরীক্ষার সময় ৪–৬ সপ্তাহ থেকে কমিয়ে আনে মাত্র ২.৫ ঘণ্টায়। পরীক্ষার খরচও কমে প্রায় ৩ মার্কিন ডলার প্রতি নমুনা।

পেশাগত অর্জন ও আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি

২০১১ থেকে ২০১৫ পর্যন্ত হু ই হিউস্টন মেথডিস্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউটে ন্যানোমেডিসিন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কাজ করেন এবং পাশাপাশি ওয়েইল, কর্নেল মেডিক্যাল কলেজেও শিক্ষকতা করেন। ২০১৯ সালে তিনি টিউলেন বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দেন এবং সেলুলার অ্যান্ড মলিকিউলার ডায়াগনস্টিকস সেন্টারের পরিচালক হন।

২০২৪ সালে নেচার জার্নালে প্রকাশিত “Tracking down tuberculosis” প্রবন্ধে যক্ষ্মা শনাক্তের সাতটি সম্ভাব্য নতুন প্রযুক্তির মধ্যে তিনটি তাঁর ল্যাবের উদ্ভাবন হিসেবে উল্লেখ করা হয়। তাঁর গবেষণাগার দীর্ঘদিন ধরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বিভাগ, NIH, গেটস ফাউন্ডেশন এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অর্থায়নে পরিচালিত হয়েছে।

২০২৫ সালের জুনে যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাসোসিয়েশন অব ডায়াগনস্টিকস অ্যান্ড ল্যাবরেটরি মেডিসিন হু ইকে ক্লিনিক্যাল কেমিস্ট্রিতে অসামান্য অবদানের জন্য তাদের একাডেমি পুরস্কারে ভূষিত করে। তবে এপ্রিলের খোলা চিঠিতে তিনি সতর্ক করেন, “যথাযথ অর্থায়ন না থাকলে আমাদের উদ্ভাবনগুলো কখনোই মানুষের কাছে পৌঁছাবে না।”

বৈজ্ঞানিক মেধা প্রত্যাবর্তনের প্রবণতা

হু ই-এর দেশফেরার ঘটনাটি সাম্প্রতিক বছরগুলোতে যুক্তরাষ্ট্র থেকে চীনে বিজ্ঞানীদের প্রত্যাবর্তনের ক্রমবর্ধমান প্রবণতাকে আরও উজ্জ্বল করে তুলেছে। তহবিল সংকোচন, প্রশাসনিক প্রতিবন্ধকতা এবং গবেষণার সীমিত স্বাধীনতা অনেক চীনা বিজ্ঞানীকে নিজ দেশে ফিরে যেতে উৎসাহিত করছে, যেখানে সরকার নতুন প্রযুক্তি ও চিকিৎসা উদ্ভাবনে ব্যাপক বিনিয়োগ চালিয়ে যাচ্ছে।

#চীনা_বিজ্ঞানী #হু_ই #বায়োমেডিকেল_ইঞ্জিনিয়ারিং #NIH_অর্থায়ন #চিংহুয়া_বিশ্ববিদ্যালয় #টিউলেন_বিশ্ববিদ্যালয় #বিজ্ঞান_গবেষণা #যক্ষ্মা_ও_এইডস #চীনে_প্রত্যাবর্তন #সারাক্ষণ_রিপোর্ট