০১:০৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫
তীব্র তাপে বিশ্বজুড়ে বিদ্যুৎ গ্রিডে চাপ বিআরটিএতে সবচেয়ে বেশি দুর্নীতি, আইনশৃঙ্খলা ও পাসপোর্ট দপ্তরও শীর্ষে মগবাজার ফ্লাইওভার থেকে বোমা নিক্ষেপ, নিহত এক পথচারী অসম ভিআইপি সুবিধা নির্বাচন আচরণবিধি লঙ্ঘন: নির্বাচন কমিশনকে জানাল জামায়াত বড়দিন ও সাপ্তাহিক ছুটিতে টানা তিন দিন বন্ধ ব্যাংক ও শেয়ারবাজার বৃহস্পতিবার দেশে পালিত হবে বড়দিন, উৎসব ঘিরে শুভেচ্ছা ও বাড়তি নিরাপত্তা উপেক্ষিত রুমিন ফারহানা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ তরুণ ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের কর্মসংস্থানে বিশ্বব্যাংকের নতুন অর্থায়ন, বাংলাদেশে অনুমোদন ১৫০ কোটি ডলার তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তনে সরকারের স্বাগত, পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস গাজীপুরে জাসাস নেতাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা

সূর্যের শক্তি ধরার দৌড়ে চীন – ২০৩৫ সালের মধ্যেই কি আসছে ‘নিউক্লিয়ার ফিউশন’ যুগ?

বেইজিং থেকে মাত্র এক ঘণ্টার দূরত্বে উত্তর চীনের এক পরীক্ষাগারে চলছে ভবিষ্যতের শক্তি প্রযুক্তি নিয়ে গবেষণা—নিউক্লিয়ার ফিউশন বা পারমাণবিক সংযোজন প্রযুক্তি। এটি এমন এক পরিচ্ছন্ন জ্বালানি উৎস, যা সূর্যের শক্তি উৎপাদনের মূল প্রক্রিয়াকেই পৃথিবীতে পুনর্নির্মাণের চেষ্টা করছে।

নতুন প্রজন্মের পরীক্ষাগার

হেবেই প্রদেশের লাংফাং এলাকায় অবস্থিত ইএনএন (ENN) গ্রুপের বিশাল ক্যাম্পাসে একাধিক পরীক্ষামূলক স্থাপনা রয়েছে। এর কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে এক গোলাকার যন্ত্র—ইএক্সএল-৫০ইউ (EXL-50U)—যা মূলত একটি ক্ষুদ্র “টোকামাক”। এটি শক্তিশালী চৌম্বক ক্ষেত্র ব্যবহার করে চার্জযুক্ত গ্যাস বা প্লাজমাকে ধরে রাখে, যাতে হাইড্রোজেন নিউক্লিয়াস একত্রিত হয়ে ফিউশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারে।

 

তাপমাত্রা ১০ কোটি ডিগ্রি সেলসিয়াসের লক্ষ্য

সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের সফরের সময় প্রকৌশলীরা নতুন “নিউট্রাল বিম হিটিং সিস্টেম” স্থাপন করছিলেন, যা প্লাজমার তাপমাত্রা আরও বাড়াতে সাহায্য করবে। প্রকল্পের প্রধান প্রকৌশলী ইয়াং ইউয়ানমিং জানান, তাদের লক্ষ্য প্লাজমাকে ১০ কোটি ডিগ্রি সেলসিয়াস (অথবা ১৮ কোটি ডিগ্রি ফারেনহাইট) পর্যন্ত উত্তপ্ত করা।

সূর্যের শক্তি পৃথিবীতে

ফিউশন প্রক্রিয়ায় হালকা পরমাণুগুলোকে অতি উচ্চ তাপমাত্রায় উত্তপ্ত করে দীর্ঘ সময় আটকে রাখতে হয়, যাতে তারা ভারী পরমাণুতে পরিণত হতে পারে। এই সংযোজনের সময় বিপুল পরিমাণ শক্তি উৎপন্ন হয়, যা পরিষ্কার বিদ্যুতে রূপান্তর করা সম্ভব বলে আশা করা হচ্ছে।

পরিচ্ছন্ন জ্বালানির দৌড়ে চীন

চীনের শীর্ষ পরিচ্ছন্ন জ্বালানি প্রতিষ্ঠান ইএনএন গ্রুপসহ বেশ কিছু বেসরকারি ও রাষ্ট্রীয় সংস্থা ২০৩৫ সালের মধ্যেই বা তার আগেই বাণিজ্যিক নিউক্লিয়ার ফিউশন রিঅ্যাক্টর চালু করার প্রতিযোগিতায় নেমেছে। তাদের লক্ষ্য শুধু ফসিল জ্বালানির বিকল্প তৈরি নয়, বরং বৈশ্বিক শক্তি বাজারে চীনের নেতৃত্ব নিশ্চিত করা।

#tags
চীন, নিউক্লিয়ার ফিউশন, জ্বালানি প্রযুক্তি, ইএনএন গ্রুপ, হাইড্রোজেন ফিউশন, পরিচ্ছন্ন জ্বালানি, সারাক্ষণ রিপোর্ট

জনপ্রিয় সংবাদ

তীব্র তাপে বিশ্বজুড়ে বিদ্যুৎ গ্রিডে চাপ

সূর্যের শক্তি ধরার দৌড়ে চীন – ২০৩৫ সালের মধ্যেই কি আসছে ‘নিউক্লিয়ার ফিউশন’ যুগ?

০৪:৪৬:০৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৫

বেইজিং থেকে মাত্র এক ঘণ্টার দূরত্বে উত্তর চীনের এক পরীক্ষাগারে চলছে ভবিষ্যতের শক্তি প্রযুক্তি নিয়ে গবেষণা—নিউক্লিয়ার ফিউশন বা পারমাণবিক সংযোজন প্রযুক্তি। এটি এমন এক পরিচ্ছন্ন জ্বালানি উৎস, যা সূর্যের শক্তি উৎপাদনের মূল প্রক্রিয়াকেই পৃথিবীতে পুনর্নির্মাণের চেষ্টা করছে।

নতুন প্রজন্মের পরীক্ষাগার

হেবেই প্রদেশের লাংফাং এলাকায় অবস্থিত ইএনএন (ENN) গ্রুপের বিশাল ক্যাম্পাসে একাধিক পরীক্ষামূলক স্থাপনা রয়েছে। এর কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে এক গোলাকার যন্ত্র—ইএক্সএল-৫০ইউ (EXL-50U)—যা মূলত একটি ক্ষুদ্র “টোকামাক”। এটি শক্তিশালী চৌম্বক ক্ষেত্র ব্যবহার করে চার্জযুক্ত গ্যাস বা প্লাজমাকে ধরে রাখে, যাতে হাইড্রোজেন নিউক্লিয়াস একত্রিত হয়ে ফিউশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারে।

 

তাপমাত্রা ১০ কোটি ডিগ্রি সেলসিয়াসের লক্ষ্য

সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের সফরের সময় প্রকৌশলীরা নতুন “নিউট্রাল বিম হিটিং সিস্টেম” স্থাপন করছিলেন, যা প্লাজমার তাপমাত্রা আরও বাড়াতে সাহায্য করবে। প্রকল্পের প্রধান প্রকৌশলী ইয়াং ইউয়ানমিং জানান, তাদের লক্ষ্য প্লাজমাকে ১০ কোটি ডিগ্রি সেলসিয়াস (অথবা ১৮ কোটি ডিগ্রি ফারেনহাইট) পর্যন্ত উত্তপ্ত করা।

সূর্যের শক্তি পৃথিবীতে

ফিউশন প্রক্রিয়ায় হালকা পরমাণুগুলোকে অতি উচ্চ তাপমাত্রায় উত্তপ্ত করে দীর্ঘ সময় আটকে রাখতে হয়, যাতে তারা ভারী পরমাণুতে পরিণত হতে পারে। এই সংযোজনের সময় বিপুল পরিমাণ শক্তি উৎপন্ন হয়, যা পরিষ্কার বিদ্যুতে রূপান্তর করা সম্ভব বলে আশা করা হচ্ছে।

পরিচ্ছন্ন জ্বালানির দৌড়ে চীন

চীনের শীর্ষ পরিচ্ছন্ন জ্বালানি প্রতিষ্ঠান ইএনএন গ্রুপসহ বেশ কিছু বেসরকারি ও রাষ্ট্রীয় সংস্থা ২০৩৫ সালের মধ্যেই বা তার আগেই বাণিজ্যিক নিউক্লিয়ার ফিউশন রিঅ্যাক্টর চালু করার প্রতিযোগিতায় নেমেছে। তাদের লক্ষ্য শুধু ফসিল জ্বালানির বিকল্প তৈরি নয়, বরং বৈশ্বিক শক্তি বাজারে চীনের নেতৃত্ব নিশ্চিত করা।

#tags
চীন, নিউক্লিয়ার ফিউশন, জ্বালানি প্রযুক্তি, ইএনএন গ্রুপ, হাইড্রোজেন ফিউশন, পরিচ্ছন্ন জ্বালানি, সারাক্ষণ রিপোর্ট