সদর দফতরের সমন্বয় ও অগ্রাধিকার
শনিবার আফগানিস্তানের উচ্চ-পর্যায়ের প্রতিনিধিদল দোহায় পৌঁছেছে পাকিস্তানের সঙ্গে নতুন আলোচনায় বসতে। সাম্প্রতিক সংঘর্ষে তোর্খাম ও চানমান সীমান্ত অচল হয়ে পড়েছিল; এই আলোচনার লক্ষ্য সেই চাপ কমানো। কাবুলের দলে নেতৃত্ব দিচ্ছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী মোল্লা মুহাম্মদ ইয়াকুব। ইসলামাবাদও জ্যেষ্ঠ নিরাপত্তা ও কূটনৈতিক কর্মকর্তাদের মনোনীত করেছে। আলোচনায় প্রথম লক্ষ্য হবে বাণিজ্য রুট খুলে দেয়া, অনুপ্রবেশ ঠেকানো এবং কনস্যুলার সেবা পুনরায় চালু করা। প্রতিটি ছাড়ের সঙ্গে নিরাপত্তা নিশ্চয়তার বিনিময় হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। সীমান্তবর্তী ব্যবসায়ীরা দ্রুত ফল চায়—যেমন নির্দিষ্ট গেট সময়সূচি, দ্রুত কার্গো পরীক্ষা এবং আটকে থাকা ট্রাক ছাড়।
আঞ্চলিক প্রভাব ও নজরদারির পয়েন্ট
দোহা ট্র্যাকটি দক্ষিণ এশিয়ার উত্তেজনাপূর্ণ প্রেক্ষাপটে শুরু হচ্ছে। টেকসই অস্ত্রবিরতি আফগান শহরে খাদ্য-জ্বালানি খরচ কমাতে পারে, পাকিস্তানের সীমান্ত অঞ্চলেও মুদ্রাস্ফীতির চাপ হালকা করবে। তবে উভয় পক্ষের কট্টরপন্থীরা কোনো আপসের বিরোধী। পশ্চিমা অংশীদাররা জোর দেবে সন্ত্রাসবিরোধী প্রতিশ্রুতিতে—বিশেষ করে ইসলামিক স্টেট খোরাসানকে দমনে সমন্বয় বাড়াতে। শীতের আগে মানবিক সহায়তার ট্রাক যাতে নির্বিঘ্নে চলতে পারে, সেটিও বড় চাহিদা। বাস্তব অগ্রগতির তিনটি সূচক দেখুন: সীমান্ত ঘটনার জন্য যৌথ হটলাইন; তোর্খাম-চানমান খোলার প্রকাশ্য সময়সূচি; এবং চালকদের জন্য বায়োমেট্রিক পাইলট। ব্যর্থ হলে আবারও মাঝে-মধ্যে গোলাগুলি ও গেট বন্ধের ঝুঁকি থাকবে। আপাতত যুদ্ধবিরতি টিকে আছে—এবং দুই রাজধানীরই শান্তি ধরে রাখার রাজনৈতিক কারণ রয়েছে।