পরিবারকে জানানো ও ফরেনসিক নিশ্চিতকরণ
ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ৭৬ বছর বয়সী এলিয়াহু মারগালিত—যাকে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাস অপহরণ করেছিল—তার দেহাবশেষ শনাক্ত হয়েছে। সপ্তাহের শুরুতে জঙ্গিরা যে দেহাবশেষ হস্তান্তর করেছিল, জাতীয় ফরেনসিক মেডিসিন সেন্টার পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর এ শনাক্তকরণ নিশ্চিত করে। প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় জানায়, মারগালিত কিবুত্জ নির ওজ-এর একটি ঘোড়ার আস্তাবলে কাজ করতেন। প্রায় দুই বছরের টানাপোড়েনের পর এই খবর কিছুটা হলেও পরিবারের অনিশ্চয়তা দূর করেছে। তবে এই নিশ্চিতকরণ এমন এক সময়ে এলো যখন যুদ্ধবিরতি ও বন্দি বিনিময় নিয়ে ধীরগতির কূটনীতি চলছে। মানবাধিকার সংগঠনগুলো স্বজনদের দীর্ঘ অপেক্ষা কমাতে স্বচ্ছ প্রক্রিয়া ও দ্রুত যাচাইয়ের আহ্বান জানিয়েছে। ইসরায়েলে ঘটনাটি নিরাপত্তা কৌশল ও ছাড় দেওয়ার সম্ভাবনা—কোন পথে বাকি বন্দিদের মুক্তির সম্ভাবনা বেশি—এ প্রশ্নে নতুন বিতর্ক তুলেছে।
আঞ্চলিকভাবে পরিস্থিতি উত্তেজনাপূর্ণ। গাজায় ইসরায়েলের লক্ষ্যভিত্তিক অভিযান ও দক্ষিণ লেবাননে হামলার পাশাপাশি রকেট ও ড্রোন প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে ব্যস্ত রাখছে। মধ্যস্থতাকারীরা সতর্ক করছেন—যত দেরি হবে, জনমত তত মেরুকৃত হবে। যাচাইকৃত প্রত্যাবর্তন—দেহাবশেষ হলেও—অনিশ্চয়তা কমিয়ে সামাজিক উত্তেজনা হ্রাস করতে পারে; আবার প্রতিটি শনাক্তকরণ ক্ষোভ ও জবাবদিহির দাবিও বাড়ায়। এ প্রেক্ষাপট বন্দি ও মৃতদেহ বিনিময়ের আলোচনায় নতুন গতি আনতে পারে, যা অতীতে টুকরো-টুকরো অগ্রগতি দেখেছে। এখনও নিখোঁজদের পরিবারগুলো তথ্য আদান-প্রদানে অভিন্ন প্রোটোকল ও হস্তান্তরের সময় স্বাধীন পর্যবেক্ষকের দাবি তুলছে, যাতে ভুল বোঝাবুঝি ও মানসিক চাপ না বাড়ে।
ঘরোয়া রাজনীতি ও কূটনৈতিক চাপ
ইসরায়েলে জনসমাবেশ ও জোটের অভ্যন্তরীণ মতভেদের মধ্যে খবরটি এসেছে। গোয়েন্দানির্ভর অভিযান চালিয়ে যাওয়ার পক্ষে নিরাপত্তা বাহিনী যুক্তি দিচ্ছে; সমালোচকেরা বলছে মানবিক প্রবেশাধিকার ও ধাপভিত্তিক যুদ্ধবিরতিই বেশি ফল দেবে। যুক্তরাষ্ট্র, মিসর ও কাতার উভয় পক্ষকে তালিকা সম্প্রসারণ ও যাচাই-সময়ের সূচিতে রাজি করাতে চাপ দিচ্ছে। সহায়তাসংস্থাগুলোর দাবি—ডিএনএ ডেটা শেয়ারিং, পারিবারিক লিয়াজোঁ টিম—এসব গুছিয়ে নিলে অপেক্ষার কষ্ট কমবে। মারগালিতের পরিবারের জন্য এটি সমাপ্তি টেনেছে; অন্য বহু পরিবার এখনও অপেক্ষায়—জীবন, পুনরুদ্ধার ও সত্যকে অগ্রাধিকার দিয়ে একটি দ্রুত চুক্তির প্রত্যাশায়।