যা তৈরি হচ্ছে এবং কিভাবে কাজ করবে
শনিবার প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানা গেছে, এমইউএফজি, সুমিতোমো মিৎসুই ও মিজুহো ব্যাংক যৌথভাবে স্থিতিশীল মুদ্রা (স্টেবলকয়েন) ইস্যু করতে যাচ্ছে—যা ইয়েন বা ডলারের সঙ্গে পেগ থাকবে এবং মূলত ব্যবসায়িক লেনদেনের জন্য। টোকেনগুলো একটি অভিন্ন মানদণ্ডে চলবে। টোকিও-ভিত্তিক ফিনটেক ‘প্রোগমাট’ প্ল্যাটফর্মে পরীক্ষামূলক লেনদেন চালু হবে; সম্ভাব্য প্রথম ব্যবহারকারী হিসেবে মিতসুবিশি করপোরেশনের নাম রয়েছে। লক্ষ্য হলো নগদ ব্যবস্থাপনার ঘর্ষণ কমানো, নিষ্পত্তির সময় ছোট করা এবং সাপ্লাই-চেইন ফাইন্যান্সে নতুন ধরনের অটোমেশন আনা। প্রতিযোগিতার বদলে সমন্বিত পথ বেছে নিয়ে ব্যাংকগুলো নিয়ন্ত্রক উদ্বেগ—রিজার্ভ, ঝুঁকি নিয়ন্ত্রণ ও অনিয়ম প্রতিরোধ—নিয়েও আশ্বস্ত করতে চায়।
জাপান ইনকর জন্য সম্ভাব্য প্রভাব
এই উদ্যোগ এগোলে স্টেবলকয়েন ব্যবহার ক্রিপ্টো এক্সচেঞ্জের বাইরে মূলধারার কর্পোরেট নগদ ব্যবস্থাপনায় ঢুকে পড়তে পারে। ফলে দেশীয় ট্রান্সফার ফিতে চাপ বাড়বে এবং ডলার-পেগড টোকেনে সীমান্তপারের পাইলটও এগোতে পারে। তবু কয়েকটি প্রশ্ন বড়: সমমূল্যে (পার ভ্যালু) রিডেম্পশন কীভাবে হবে, ব্যালান্স কি ব্যাংক ডিপোজিট হিসেবে বীমাসুরক্ষিত থাকবে নাকি ই-মানি, আর অনিয়ম প্রতিরোধ ও তাৎক্ষণিক তারল্য ব্যবস্থাপনা কীভাবে স্কেলে চলবে। ইআরপি-ইন্টিগ্রেশন ও লিগ্যাসি ব্যাংক রেলের সমমানের ফাইনালিটি—করপোরেট গ্রহণে এসবই ফ্যাক্টর। নীতিনির্ধারকদের জন্য, ব্যাংক-ইস্যু স্টেবলকয়েন ভবিষ্যৎ কেন্দ্রীয় ব্যাংক ডিজিটাল মুদ্রাকে (CBDC) পরিপূরক করতে পারে—কারণ টোকেনাইজড ডিপোজিট বাস্তবে পরীক্ষা হবে। আপাতত বার্তাটি স্পষ্ট: স্লাইড থেকে সিস্টেমে টোকেনাইজেশন এগোচ্ছে।