০৭:১৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৫
মার্কিন অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্টের অভিযোগ—চীনের প্রধান বাণিজ্য আলোচক ‘অশ্রদ্ধাশীল ও ভারসাম্যহীন’ আফগান সীমান্তের কাছে মির আলিতে আত্মঘাতী বোমা ও বন্দুকধারীর হামলা” নেপালের ‘জেন জেড’ বিদ্রোহে বিভাজন—আদর্শগত ফাটল উন্মোচিত গাইবান্ধায় মা ও নবজাতকের মৃত্যুতে উত্তেজনা ক্লিনিক ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ পাকিস্তান সীমান্তে ৪৮ ঘণ্টার যুদ্ধবিরতি,আলোচনার উদ্যোগ ৩০ ইউনিটের প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ চলছে, বন্ধ বিমান চলাচল কার্গো টার্মিনালে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে বিমান চলাচল বন্ধ ঘোষণার কয়েক সপ্তাহ পরই এসকে টেলিকমের এআই ইউনিটে স্বেচ্ছা অবসর অটিজম আক্রান্ত শিশুদের জন্য ‘মুন সং’—সহানুভূতি, অন্তর্ভুক্তি ও ভালোবাসার মঞ্চ তেলদামের ধারাবাহিক পতন—শীতের আগে কারা লাভবান, কারা চাপে

ইউরোপে চাপ বাড়ায় পোল্যান্ডে কারখানা পরিকল্পনা থামাল ভেস্তাস

খরচ বৃদ্ধি ও নীতিগত ধীরগতি

ডেনমার্কের টারবাইন নির্মাতা ভেস্তাস জানিয়েছে, পোল্যান্ডে তাদের পরিকল্পিত অফশোর উইন্ড-কারখানা আর এগোনো হচ্ছে না। উচ্চ সুদের হার, ইনপুট ও লজিস্টিক খরচ, এবং ইইউ দেশগুলোর ধীর অনুমোদন—সব মিলিয়ে মার্জিন চাপে পড়ে সিদ্ধান্তটি এসেছে। ইউরোপজুড়ে কিছু প্রকল্প পুনঃটেন্ডার বা স্থগিত হয়েছে; নির্মাতারা মূল্য-সূচকভিত্তিক সহায়তা, গ্রিড সংযোগ ও বন্দর সক্ষমতা নিয়ে পরিষ্কার রোডম্যাপ চাইছেন। অফশোর অর্ডারে শীর্ষে থাকা ভেস্তাস বলছে, নিশ্চিত চাহিদা ও স্থিতিশীল অফটেক যেখানে আছে, সেখানেই বিনিয়োগ অগ্রাধিকার পাবে। বিশ্লেষকদের মতে, নতুন সক্ষমতা না বাড়ানো ক্যাশ-ফ্লো রক্ষা ও দামের নিয়ন্ত্রণে একটি রক্ষাকবচ কৌশল। কোম্পানিটি বিদ্যমান কারখানা ও বৈশ্বিক সরবরাহচেইন থেকে পোল্যান্ডসহ অঞ্চলের প্রকল্পে সেবা অব্যাহত রাখবে।

ইউরোপের নবায়নযোগ্য লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়নে নীতিগত ত্বরান্বন যেমন জরুরি, তেমনই গ্রিড জট নিরসনও। সাম্প্রতিক টেন্ডারে সতর্ক দরপত্র দেখা গেছে; যেখানে মূল্য-সূচকভিত্তিক সমর্থন যুক্ত হয়েছে, সেখানে অংশগ্রহণ বেড়েছে। শিল্পসংগঠনগুলোর বক্তব্য—ইনডেক্সড সাপোর্ট, দ্রুত ইন্টারকানেকশন, ও স্থিতিশীল টেন্ডার ক্যালেন্ডার থাকলে স্থবির ক্ষমতাও খুলে যাবে। বাল্টিক উপকূলে সম্ভাবনা থাকলেও, বিনিয়োগকারীরা বন্দর উন্নয়ন, কেবল রুট, ও অফটেক স্থায়িত্বের নিশ্চয়তা চান। ভেস্তাসের সিদ্ধান্ত দেখায়—মার্জিন স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত শীর্ষ ওইএমরাও ‘স্কেল’ নয়, ‘স্থিতি’কে অগ্রাধিকার দিচ্ছে।

২০৩০ লক্ষ্যে প্রভাব

ইইউ-র ২০৩০ লক্ষ্যমাত্রা পূরণে অফশোর উইন্ড স্থাপনে রেকর্ড গতি দরকার। কিন্তু নতুন কারখানা না হলে ন্যাসেল, ব্লেড, মোনোপাইল—সবখানেই বাঁধা বাড়বে, দামে চাপ বজায় থাকবে। সরকারগুলো ব্যাংকেবল দরপত্রের জন্য নকশা বদলাচ্ছে; তবে গ্রিড প্রস্তুতিই বড় বাধা। পরিবেশগত মূল্যায়ন ও স্থানীয় আপত্তিও সময় বাড়ায়। স্বল্পমেয়াদে উপকরণ সরবরাহকারীদের মধ্যে একীভবন এবং ঝুঁকি ভাগাভাগির যৌথ উদ্যোগ বাড়তে পারে। ক্রেতাদের জন্য বহুমুখী সোর্সিং ও ইনডেক্সড পিপিএ ঝুঁকি কমাবে। ২০২৬-এ মুদ্রাস্ফীতি ও সুদ কমলে স্থগিত বিনিয়োগ ফের চালু হতে পারে; ততদিন নির্মাতারা নিশ্চিত অফটেক-সমৃদ্ধ বাজারেই পুঁজি বরাদ্দ করবেন।

জনপ্রিয় সংবাদ

মার্কিন অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্টের অভিযোগ—চীনের প্রধান বাণিজ্য আলোচক ‘অশ্রদ্ধাশীল ও ভারসাম্যহীন’

ইউরোপে চাপ বাড়ায় পোল্যান্ডে কারখানা পরিকল্পনা থামাল ভেস্তাস

০৩:১৪:৫০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৫

খরচ বৃদ্ধি ও নীতিগত ধীরগতি

ডেনমার্কের টারবাইন নির্মাতা ভেস্তাস জানিয়েছে, পোল্যান্ডে তাদের পরিকল্পিত অফশোর উইন্ড-কারখানা আর এগোনো হচ্ছে না। উচ্চ সুদের হার, ইনপুট ও লজিস্টিক খরচ, এবং ইইউ দেশগুলোর ধীর অনুমোদন—সব মিলিয়ে মার্জিন চাপে পড়ে সিদ্ধান্তটি এসেছে। ইউরোপজুড়ে কিছু প্রকল্প পুনঃটেন্ডার বা স্থগিত হয়েছে; নির্মাতারা মূল্য-সূচকভিত্তিক সহায়তা, গ্রিড সংযোগ ও বন্দর সক্ষমতা নিয়ে পরিষ্কার রোডম্যাপ চাইছেন। অফশোর অর্ডারে শীর্ষে থাকা ভেস্তাস বলছে, নিশ্চিত চাহিদা ও স্থিতিশীল অফটেক যেখানে আছে, সেখানেই বিনিয়োগ অগ্রাধিকার পাবে। বিশ্লেষকদের মতে, নতুন সক্ষমতা না বাড়ানো ক্যাশ-ফ্লো রক্ষা ও দামের নিয়ন্ত্রণে একটি রক্ষাকবচ কৌশল। কোম্পানিটি বিদ্যমান কারখানা ও বৈশ্বিক সরবরাহচেইন থেকে পোল্যান্ডসহ অঞ্চলের প্রকল্পে সেবা অব্যাহত রাখবে।

ইউরোপের নবায়নযোগ্য লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়নে নীতিগত ত্বরান্বন যেমন জরুরি, তেমনই গ্রিড জট নিরসনও। সাম্প্রতিক টেন্ডারে সতর্ক দরপত্র দেখা গেছে; যেখানে মূল্য-সূচকভিত্তিক সমর্থন যুক্ত হয়েছে, সেখানে অংশগ্রহণ বেড়েছে। শিল্পসংগঠনগুলোর বক্তব্য—ইনডেক্সড সাপোর্ট, দ্রুত ইন্টারকানেকশন, ও স্থিতিশীল টেন্ডার ক্যালেন্ডার থাকলে স্থবির ক্ষমতাও খুলে যাবে। বাল্টিক উপকূলে সম্ভাবনা থাকলেও, বিনিয়োগকারীরা বন্দর উন্নয়ন, কেবল রুট, ও অফটেক স্থায়িত্বের নিশ্চয়তা চান। ভেস্তাসের সিদ্ধান্ত দেখায়—মার্জিন স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত শীর্ষ ওইএমরাও ‘স্কেল’ নয়, ‘স্থিতি’কে অগ্রাধিকার দিচ্ছে।

২০৩০ লক্ষ্যে প্রভাব

ইইউ-র ২০৩০ লক্ষ্যমাত্রা পূরণে অফশোর উইন্ড স্থাপনে রেকর্ড গতি দরকার। কিন্তু নতুন কারখানা না হলে ন্যাসেল, ব্লেড, মোনোপাইল—সবখানেই বাঁধা বাড়বে, দামে চাপ বজায় থাকবে। সরকারগুলো ব্যাংকেবল দরপত্রের জন্য নকশা বদলাচ্ছে; তবে গ্রিড প্রস্তুতিই বড় বাধা। পরিবেশগত মূল্যায়ন ও স্থানীয় আপত্তিও সময় বাড়ায়। স্বল্পমেয়াদে উপকরণ সরবরাহকারীদের মধ্যে একীভবন এবং ঝুঁকি ভাগাভাগির যৌথ উদ্যোগ বাড়তে পারে। ক্রেতাদের জন্য বহুমুখী সোর্সিং ও ইনডেক্সড পিপিএ ঝুঁকি কমাবে। ২০২৬-এ মুদ্রাস্ফীতি ও সুদ কমলে স্থগিত বিনিয়োগ ফের চালু হতে পারে; ততদিন নির্মাতারা নিশ্চিত অফটেক-সমৃদ্ধ বাজারেই পুঁজি বরাদ্দ করবেন।