খরচ বৃদ্ধি ও নীতিগত ধীরগতি
ডেনমার্কের টারবাইন নির্মাতা ভেস্তাস জানিয়েছে, পোল্যান্ডে তাদের পরিকল্পিত অফশোর উইন্ড-কারখানা আর এগোনো হচ্ছে না। উচ্চ সুদের হার, ইনপুট ও লজিস্টিক খরচ, এবং ইইউ দেশগুলোর ধীর অনুমোদন—সব মিলিয়ে মার্জিন চাপে পড়ে সিদ্ধান্তটি এসেছে। ইউরোপজুড়ে কিছু প্রকল্প পুনঃটেন্ডার বা স্থগিত হয়েছে; নির্মাতারা মূল্য-সূচকভিত্তিক সহায়তা, গ্রিড সংযোগ ও বন্দর সক্ষমতা নিয়ে পরিষ্কার রোডম্যাপ চাইছেন। অফশোর অর্ডারে শীর্ষে থাকা ভেস্তাস বলছে, নিশ্চিত চাহিদা ও স্থিতিশীল অফটেক যেখানে আছে, সেখানেই বিনিয়োগ অগ্রাধিকার পাবে। বিশ্লেষকদের মতে, নতুন সক্ষমতা না বাড়ানো ক্যাশ-ফ্লো রক্ষা ও দামের নিয়ন্ত্রণে একটি রক্ষাকবচ কৌশল। কোম্পানিটি বিদ্যমান কারখানা ও বৈশ্বিক সরবরাহচেইন থেকে পোল্যান্ডসহ অঞ্চলের প্রকল্পে সেবা অব্যাহত রাখবে।
ইউরোপের নবায়নযোগ্য লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়নে নীতিগত ত্বরান্বন যেমন জরুরি, তেমনই গ্রিড জট নিরসনও। সাম্প্রতিক টেন্ডারে সতর্ক দরপত্র দেখা গেছে; যেখানে মূল্য-সূচকভিত্তিক সমর্থন যুক্ত হয়েছে, সেখানে অংশগ্রহণ বেড়েছে। শিল্পসংগঠনগুলোর বক্তব্য—ইনডেক্সড সাপোর্ট, দ্রুত ইন্টারকানেকশন, ও স্থিতিশীল টেন্ডার ক্যালেন্ডার থাকলে স্থবির ক্ষমতাও খুলে যাবে। বাল্টিক উপকূলে সম্ভাবনা থাকলেও, বিনিয়োগকারীরা বন্দর উন্নয়ন, কেবল রুট, ও অফটেক স্থায়িত্বের নিশ্চয়তা চান। ভেস্তাসের সিদ্ধান্ত দেখায়—মার্জিন স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত শীর্ষ ওইএমরাও ‘স্কেল’ নয়, ‘স্থিতি’কে অগ্রাধিকার দিচ্ছে।
২০৩০ লক্ষ্যে প্রভাব
ইইউ-র ২০৩০ লক্ষ্যমাত্রা পূরণে অফশোর উইন্ড স্থাপনে রেকর্ড গতি দরকার। কিন্তু নতুন কারখানা না হলে ন্যাসেল, ব্লেড, মোনোপাইল—সবখানেই বাঁধা বাড়বে, দামে চাপ বজায় থাকবে। সরকারগুলো ব্যাংকেবল দরপত্রের জন্য নকশা বদলাচ্ছে; তবে গ্রিড প্রস্তুতিই বড় বাধা। পরিবেশগত মূল্যায়ন ও স্থানীয় আপত্তিও সময় বাড়ায়। স্বল্পমেয়াদে উপকরণ সরবরাহকারীদের মধ্যে একীভবন এবং ঝুঁকি ভাগাভাগির যৌথ উদ্যোগ বাড়তে পারে। ক্রেতাদের জন্য বহুমুখী সোর্সিং ও ইনডেক্সড পিপিএ ঝুঁকি কমাবে। ২০২৬-এ মুদ্রাস্ফীতি ও সুদ কমলে স্থগিত বিনিয়োগ ফের চালু হতে পারে; ততদিন নির্মাতারা নিশ্চিত অফটেক-সমৃদ্ধ বাজারেই পুঁজি বরাদ্দ করবেন।