বিলম্বের ভেতরের গল্প
জাতিসংঘের শিপিং নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইএমও-তে জাহাজ চলাচলের নির্গমন কমাতে বৈশ্বিক মূল্য নির্ধারণের যে প্রস্তাব ছিল, তার ভোট এক বছর পিছিয়ে গেছে—শুক্রবারের সিদ্ধান্ত শনিবার প্রকাশ পায়। প্রস্তাবটি পাশ হলে জাহাজ থেকে গ্রিনহাউস গ্যাস কমাতে একটি সাধারণ মূল্য সংকেত স্থাপন হতো, যা পরিষ্কার জ্বালানি, জাহাজ রেট্রোফিট ও রুট-অপ্টিমাইজেশনে বিনিয়োগ টানত। সমর্থকেরা বলছেন, একটি লেভি বিলিয়ন ডলার উন্মুক্ত করতে পারত; সমালোচকেরা বলছেন, এতে জ্বালানি-নির্ভর পণ্যে মূল্যচাপ পড়বে এবং উন্নয়নশীল রপ্তানিকারকরা অসমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। ওয়াশিংটনের অবস্থান ঘরোয়া চাপের প্রতিফলন—নীতিগত সমর্থন থাকলেও ভোটার-সংবেদনশীল সময়ে শিপিং খাতে সরাসরি খরচ বাড়ানোর পদক্ষেপে অনীহা। প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপরাষ্ট্রগুলোর কাছে এটি পুরনো দৃশ্য: সময়সীমা পিছোয়, কিন্তু সমুদ্রপৃষ্ঠ ও তাপমাত্রার রেকর্ড থামে না।
এক বছরের ব্যবধানে কী পাল্টায়
শিপিংয়ের ডিকার্বনাইজেশন নির্ভর করছে জ্বালানি বদল (মিথানল, অ্যামোনিয়া, ই-ফুয়েল), দক্ষতা বাড়ানো এবং স্মার্ট রাউটিংয়ের ওপর। বৈশ্বিক মূল্য সংকেত না থাকলে উদ্যোগগুলো ‘গ্রিন করিডর’ বা স্বেচ্ছা ক্রেডিটের মতো খণ্ডিত পথে আটকে যায়। ইউরোপ সম্ভবত বন্দর-লেভেলে ইটিএস কভারেজ বাড়াবে, ফলে আঞ্চলিক কমপ্লায়েন্স খরচে ক্যারিয়ারদের চাপ বাড়বে। এশিয়ার শিপইয়ার্ডগুলো ডুয়াল-ফুয়েল নতুন জাহাজ প্রচার করবে; ব্যাংকগুলো ‘ক্লাইমেট কোভেন্যান্ট’ যোগ করে পরিষ্কার রুটে চলা জাহাজের ঋণ ব্যয় কমাতে পারে। জলবায়ু অঙ্কে হারানো বছর গুরুত্বপূর্ণ—পুরোনো টনেজ আরও এক মৌসুম লকে পড়ে, যা বহু বছর চলবে। ভোটের নতুন তারিখের আগে দুটি সূচক দেখুন: তহবিল–প্লাস–ফি মডেলে সমঝোতা হয় কি না, আর ক্ষুদ্র দ্বীপরাষ্ট্রগুলো অভিযোজন তহবিলে নির্দিষ্ট অংশ পায় কি না। দুটি হলে, আইএমও এখনো ‘বিজনেস অ্যাজ ইউজুয়াল’ থেকে ফ্লিটকে ঘুরিয়ে নিতে পারে।