ডিসকাউন্টকে কনটেন্টে পরিণত করা
এই সপ্তাহান্তে হংকংয়ের জনপ্রিয় চেইনগুলো—ওয়াটসনস থেকে ওয়েলকাম—একযোগে সীমিত সময়ের অফার চালু করেছে। শনিবার ‘এনগ্যাজেট’-এর ক্যান্টোনিজ সংস্করণে এসব প্রমোর বিবরণ এসেছে। লক্ষ্য স্পষ্ট: সীমিত সময়ের ভিড় বাড়ানো, মৌসুমি স্টক ছাঁটাই, আর সোশ্যাল ভিডিও ও অ্যাপ-পুশ দিয়ে অফলাইন-অনলাইনের সেতু তৈরি। কৌশলটি সহজ: নির্দিষ্ট অঙ্কের বেশি কেনাকাটায় সাইট-ওয়াইড ছাড়, ওয়াইন-বান্ডেলে অতিরিক্ত শতাংশ, আর অনলাইন ক্রেতার জন্য কোড। আজকের মার্জিন নয়, বরং আগামী দিনের ‘লাইফটাইম ভ্যালু’—প্রত্যেক চেকআউটেই ডাটা সংগ্রহ, টিয়ার-ভিত্তিক কুপন, সিঙ্গলস ডে ও বড়দিনের আগে লক্ষ্যভিত্তিক বার্তা। পর্যটন মন্দার পর পুনর্গঠিত শহরে এটি পরীক্ষা—মাইক্রো-মোমেন্টের এক্সক্লুসিভ অনুভূতি কি পুরোনো বিজ্ঞাপনের চেয়ে বেশি টানে?
কেন এই ক্ষুদ্র খবর দূর পর্যন্ত যায়
এশিয়ার রিটেইল প্রায়ই বৈশ্বিক ট্রেন্ডের ‘প্রিভিউ’। অনলাইন-অফলাইন মিলিয়ে ফ্ল্যাশ ডিল এখন কনভেনিয়েন্স স্টোর থেকে ইলেকট্রনিক্স পর্যন্ত স্বাভাবিক কৌশল। তবে ঝুঁকি আছে—প্রমো-ফ্যাটিগে ক্রেতারা সেলে অপেক্ষা করতে শিখে, পূর্ণমূল্যের বিক্রি কমে। তাই অফারকে টেকসই করতে কুপনের বাইরে কিছু যুক্ত হচ্ছে—ফ্রি হেলথ স্ক্রিনিং, টেস্টিং পপ-আপ, কেবল সদস্যদের জন্য দ্রুত পিক-আপ কাউন্টারের মতো সুবিধা। পরের ধাপ হাইপার-লোকালাইজেশন—একই এমটিআর স্টেশনের দুই পাশে দোকানভেদে আলাদা বান্ডেল, এলাকাভিত্তিক ডেটায়। মূল্যস্ফীতির চাপে খরচ-সচেতন ক্রেতা, অনলাইনে বিজ্ঞাপনের খরচও বাড়তি—এই প্রেক্ষাপটে রিটেইলাররা আবিষ্কার করছে, ফিজিক্যাল আইলও মিডিয়া চ্যানেল হতে পারে। সপ্তাহান্তের প্রমোগুলো এই সূত্রটাই দেখাল: স্বল্পসময়ের হুক, সহজ রিডেম্পশন, আর ভিডিও-রেডি মুহূর্ত—যাতে এক কিউআর স্ক্যানে ‘জয়ের’ অনুভূতি হয়।