সম্মান, উত্তরাধিকার ও প্রভাব
শনিবারের প্রতিবেদনে জানা যায়, ফ্রান্সের লিয়নে মর্যাদাপূর্ণ ‘প্রি লুমিয়ের’ পুরস্কার পেলেন পরিচালক মাইকেল ম্যান। টারান্টিনো ও স্করসেসির পথ ধরে এই সম্মান তার নগরচিত্র-নির্ভর থ্রিলার ভাষ্যকে স্বীকৃতি দিল। ‘থিফ’, ‘হিট’, ‘দ্য ইনসাইডার’, ‘কল্যাটেরাল’—প্রতিটিই প্রক্রিয়াভিত্তিক চরিত্র নির্মাণের রেফারেন্স। ম্যানের স্বাক্ষর—নিয়ন-রঙা রাত, শহরের আলোর দুধর্ষ টেক্সচার, আর পেশাদার কোডে আবদ্ধ মানুষ—আজকের ক্রাইম ড্রামা ও প্রেস্টিজ টিভির নান্দনিকতায় মিশে গেছে। রিস্টোরেশন কালচার যখন ক্লাসিকগুলোকে নতুন দর্শকের সামনে ফের তুলে ধরছে, তখন এই পুরস্কার তার কারিগরি পন্থাকেই সামনে আনে: নিঃশ্বাস নেওয়া সাউন্ডস্কেপ, গবেষণানির্ভর স্ক্রিপ্ট, দীর্ঘ অনুশীলনে গড়া পারফরম্যান্স।
কেন এই ব্যাকরণ এখনো প্রাসঙ্গিক
ম্যানের সিনেমা বলে, ‘প্রসেসই চরিত্র’—দল কীভাবে চলে, ড্রিল কীভাবে ব্যাংকের লকার ভেদ করে, ফিক্সার কীভাবে সময় রাখে। এখান থেকেই আজকের হাইস্ট সিরিজ থেকে শুরু করে ট্রু-ক্রাইম ডকের স্টাইল পর্যন্ত প্রভাবিত। ডিজিটাল চেহারা নিয়েও তিনি পথপ্রদর্শক—এইচডি-র দানা ও আভা তিনি গ্রহণ করেছিলেন, বলেছিলেন শহরের আলোই গল্প। নির্মাতাদের শেখায় দুটি কথা: ভিজ্যুয়াল স্টাইল কোনো ফিল্টার নয়, এক দর্শন; আর সত্যতা ক্যামেরার বাইরের শ্রমেও জন্মায়। দর্শকদের জন্য এটি ক্যাটালগে ফিরে যাওয়ার ডাক—পেশাদারিত্বে গড়া মানুষ, ভাগ্যের পরীক্ষায় টললেও কাজেই সংজ্ঞা খোঁজা। পুরস্কার অনেক সময় আনুষ্ঠানিক; এইটি যেন নির্ণয়—আধুনিক থ্রিলারকে উত্তেজনাময় অথচ কঠোর বাস্তবতায় কীভাবে দাঁড় করাতে হয়, তার জীবন্ত নকশা।