০৭:২৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫
সেনাপ্রধানের সাথে কুয়েতের এশিয়া বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী H.E. Sameeh Essa Johar Hayat এর সৌজন্য সাক্ষাৎ ধারাবাহিক পতনে ধসের মুখে শেয়ারবাজার — ৫ হাজার পয়েন্ট সীমার কাছাকাছি ডিএসই সূচক তিন দফা দাবিতে অনড় এমপিও শিক্ষকরা, ফখরুলের সঙ্গে বৈঠক শেষে নতুন কর্মসূচির হুঁশিয়ারি বিমানবন্দরের অগ্নিকাণ্ডে ফ্লাইট বন্ধ থাকায় সিলেটের অনুষ্ঠানে যেতে পারেনি জনপ্রিয় ব্যান্ড আর্টসেল বিএনপিকে জুলাই আন্দোলনের বিপরীতে দাঁড় করানোর চেষ্টা ব্যর্থ হবে — সালাহউদ্দিন জামায়াতের ‘পিআর আন্দোলন’ আসলে পরিকল্পিত রাজনৈতিক প্রতারণা — নাহিদ ইসলাম শাহজালাল বিমানবন্দরের অগ্নিকাণ্ডে নষ্ট হলো পোশাক খাতের কাঁচামাল ও ব্যবসায়িক নমুনা শিরোনাম: মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়ার আগে কনডেম সেলে রাখা যাবে না—এই রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রের আপিলের শুনানি নির্ধারিত বন্যার নতুন বাস্তবতা: এফিমার মানচিত্র পাল্টাতে শহরগুলোর জোর প্রচেষ্টা বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার প্রধানের আহ্বান: মার্কিন-চীনের বাণিজ্য যুদ্ধ শিথিল করতে, অথবা দীর্ঘমেয়াদী বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধিতে ঝুঁকি

ডিএমজে পাড়ি দিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ায় উত্তর কোরীয় সেনার পলায়ন

ডিএমজে অতিক্রম, তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া, কী বার্তা দেয়
রোববার উত্তর কোরিয়ার এক সেনা কোরিয়া উপদ্বীপের কড়া পাহারায় থাকা ডিমিলিটারাইজড জোন (ডিএমজে) পেরিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ায় আত্মসমর্পণ করেন—দক্ষিণের জয়েন্ট চিফস নিশ্চিত করেছে। বিশ্বের অন্যতম সুরক্ষিত সীমান্ত দিয়ে এমন বিপজ্জনক পলায়ন বিরল; তবু গুলি ছাড়াই ঘটনাটি নিয়ন্ত্রণে আসে। সেনাটিকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে; স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও জিজ্ঞাসাবাদ চলবে—এটাই প্রচলিত প্রক্রিয়া। সিউল তাৎক্ষণিকভাবে সৈনিকের ইউনিট, পদমর্যাদা বা পলায়নের কারণ প্রকাশ করেনি।
ঘটনাটি সাম্প্রতিক টানাপোড়েনের প্রেক্ষিতে ঘটল—পিয়ংইয়ংয়ের বেলুনে আবর্জনা পাঠানো ও সিউলের লাউডস্পিকার সম্প্রচারের পাল্টাপাল্টি প্রদর্শন পর্ব চলছে। ডিএমজে পথে পলায়ন অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এবং অস্বাভাবিক—এটি হতাশা, মানসিক চাপ বা শৃঙ্খলার ভাঙনের ইঙ্গিত হতে পারে। একইসঙ্গে এটি সিউলের জন্য গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহের সুযোগ—কিন্তু কূটনৈতিক সংকোচও রয়েছে, কারণ পিয়ংইয়ং প্রথামতো এ ধরনের পলায়নকে “অপহরণ” আখ্যা দেয়।

প্রেক্ষাপট, ঝুঁকি ও সামনে কী
পলায়নের ঘটনাটি এমন এক সময় এলো যখন পিয়ংইয়ং–মস্কো সামরিক ঘনিষ্ঠতা বেড়েছে এবং পরমাণু আলোচনাও স্থগিত। সাম্প্রতিক সতর্কতায় সিউল জানিয়েছে, উত্তর কোরিয়া সীমান্তে ট্যাকটিক্যাল পজিশন জোরদার করছে। একক পলায়ন মানেই যে বাহিনীজুড়ে মনোবল ভাঙন—তা নয়; তবে জিজ্ঞাসাবাদে রসদ চেইন, খাদ্যাভাব বা রোটেশন–সংক্রান্ত মূল্যবান তথ্য মিলতে পারে।
উত্তেজনা না বাড়াতে সিউল সীমিত তথ্য প্রকাশেই থাকবে—তবু প্রতিরোধ–সঙ্কেতও দেবে। আপাতত সীমান্তে স্নায়ুযুদ্ধ জারি। শব্দ–প্রচারণা, কড়াকড়ি টহল ও পারস্পরিক দায়ারোপই সবচেয়ে সম্ভাব্য “পরবর্তী দৃশ্য”।

জনপ্রিয় সংবাদ

সেনাপ্রধানের সাথে কুয়েতের এশিয়া বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী H.E. Sameeh Essa Johar Hayat এর সৌজন্য সাক্ষাৎ

ডিএমজে পাড়ি দিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ায় উত্তর কোরীয় সেনার পলায়ন

০৩:৫৭:২৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫

ডিএমজে অতিক্রম, তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া, কী বার্তা দেয়
রোববার উত্তর কোরিয়ার এক সেনা কোরিয়া উপদ্বীপের কড়া পাহারায় থাকা ডিমিলিটারাইজড জোন (ডিএমজে) পেরিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ায় আত্মসমর্পণ করেন—দক্ষিণের জয়েন্ট চিফস নিশ্চিত করেছে। বিশ্বের অন্যতম সুরক্ষিত সীমান্ত দিয়ে এমন বিপজ্জনক পলায়ন বিরল; তবু গুলি ছাড়াই ঘটনাটি নিয়ন্ত্রণে আসে। সেনাটিকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে; স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও জিজ্ঞাসাবাদ চলবে—এটাই প্রচলিত প্রক্রিয়া। সিউল তাৎক্ষণিকভাবে সৈনিকের ইউনিট, পদমর্যাদা বা পলায়নের কারণ প্রকাশ করেনি।
ঘটনাটি সাম্প্রতিক টানাপোড়েনের প্রেক্ষিতে ঘটল—পিয়ংইয়ংয়ের বেলুনে আবর্জনা পাঠানো ও সিউলের লাউডস্পিকার সম্প্রচারের পাল্টাপাল্টি প্রদর্শন পর্ব চলছে। ডিএমজে পথে পলায়ন অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এবং অস্বাভাবিক—এটি হতাশা, মানসিক চাপ বা শৃঙ্খলার ভাঙনের ইঙ্গিত হতে পারে। একইসঙ্গে এটি সিউলের জন্য গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহের সুযোগ—কিন্তু কূটনৈতিক সংকোচও রয়েছে, কারণ পিয়ংইয়ং প্রথামতো এ ধরনের পলায়নকে “অপহরণ” আখ্যা দেয়।

প্রেক্ষাপট, ঝুঁকি ও সামনে কী
পলায়নের ঘটনাটি এমন এক সময় এলো যখন পিয়ংইয়ং–মস্কো সামরিক ঘনিষ্ঠতা বেড়েছে এবং পরমাণু আলোচনাও স্থগিত। সাম্প্রতিক সতর্কতায় সিউল জানিয়েছে, উত্তর কোরিয়া সীমান্তে ট্যাকটিক্যাল পজিশন জোরদার করছে। একক পলায়ন মানেই যে বাহিনীজুড়ে মনোবল ভাঙন—তা নয়; তবে জিজ্ঞাসাবাদে রসদ চেইন, খাদ্যাভাব বা রোটেশন–সংক্রান্ত মূল্যবান তথ্য মিলতে পারে।
উত্তেজনা না বাড়াতে সিউল সীমিত তথ্য প্রকাশেই থাকবে—তবু প্রতিরোধ–সঙ্কেতও দেবে। আপাতত সীমান্তে স্নায়ুযুদ্ধ জারি। শব্দ–প্রচারণা, কড়াকড়ি টহল ও পারস্পরিক দায়ারোপই সবচেয়ে সম্ভাব্য “পরবর্তী দৃশ্য”।