শক্তি অবকাঠামোতে ক্রস–বর্ডার আঘাত
রাশিয়ার ভলগোগ্রাদ অঞ্চলের কনডেনসেট প্রক্রিয়াজাত কারখানায় ইউক্রেনীয় ড্রোন হামলায় দাহ্য আগুন ধরে যায়—রুশ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। অগ্নিনির্বাপণ বাহিনী আগুন নিয়ন্ত্রণে আনলেও প্ল্যান্টের কার্যক্রম সাময়িকভাবে থেমে যায়। হতাহতের খবর নেই। কিয়েভ এ ধরনের সীমান্ত–পারাপার হামলার দায় সচরাচর স্বীকার করে না, এবারও করেনি।
এই ঘটনাই দেখায়—সামনের যুদ্ধরেখা ছাড়িয়ে শক্তি অবকাঠামো এখন নিয়মিত টার্গেট। রিফাইনারি, ডিপো, এক্সপোর্ট টার্মিনাল—সবখানেই ধারাবাহিক হামলা চলে রুশ আয়ের ধারা চাপে রাখতে। পাল্টা রাশিয়াও ইউক্রেনের বিদ্যুৎ স্থাপনাগুলোয় ক্ষেপণাস্ত্র–ড্রোন ছুড়ে গ্রিড অস্থিতিশীল করতে চায়—বিশেষ করে শীতের আগে।
কৌশলগত প্রভাব ও বাজারে প্রতিক্রিয়া
একক হামলায় দীর্ঘদিন উৎপাদন অচল হয় না; কিন্তু ক্রমাগত আঘাতে হিসাব বদলে যায়—মেরামত, নিরাপত্তা জোরদারে ব্যয় বাড়ে; বীমা প্রিমিয়াম চড়ে; আঞ্চলিক বাজারে মাঝে মাঝে দাম লাফায়। মস্কো “সহনশীলতা” দেখাতে চায়; কিয়েভ “অনিশ্চয়তা” তৈরি করে। বিশ্লেষকদের মতে, এই সূচিকারের মতো হামলা রাশিয়াকে প্রতিরক্ষা ছড়িয়ে দিতে বাধ্য করে—ফলে ফ্রন্টলাইন–বহির্ভূত এলাকায়ও অর্থ ও মনোযোগ খরচ হয়।
ইউরোপীয় ট্রেডারদের তাৎক্ষণিক ঝুঁকি সীমিত; তবে রুশ প্রোসেসিং সক্ষমতায় দীর্ঘ চাপ ডিজেল সরবরাহ জটিল করতে পারে। যুদ্ধ–শুরুর পর থেকে জ্বালানিতে যে ভূ–রাজনৈতিক প্রিমিয়াম যোগ হয়েছে—প্রতিটি হামলাতেই সেটি নতুন করে আলোড়িত হয়।