এআই ডিপফেক, রাজনীতি ও প্ল্যাটফর্ম নীতি
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ব্লুস্কাই/ট্রুথ–এ শেয়ার করেছেন ১৯–সেকেন্ডের একটি এআই–ভিডিও—যেখানে “কিং ট্রাম্প” লেখা ফাইটার জেট থেকে নিউইয়র্কের বিক্ষোভকারীদের ওপর বাদামি পদার্থ ফেলা হচ্ছে। ক্রাউন পরা ট্রাম্পকে ককপিটে দেখানো হয়; ব্যাকগ্রাউন্ডে বাজে “ডেঞ্জার জোন” গান। সমালোচকেরা একে অনৈতিক ও সহিংসতার স্বাভাবিকীকরণ বলে আখ্যা দিচ্ছেন; হোয়াইট হাউস মন্তব্য করেনি।
দেশজুড়ে ‘নো কিংস’ বিক্ষোভের প্রেক্ষাপটে ঘটনাটি প্ল্যাটফর্মগুলোর এআই–কনটেন্ট নীতিকে নতুন করে প্রশ্নের মুখে ফেলেছে। সমর্থকেরা “ব্যঙ্গ” বললেও বিরোধীরা বলছেন—এটি ক্ষমতার অপব্যবহারকে রোমাঞ্চকর করে দেখায়। সত্যতা যাচাইয়ের আগে ভিডিও ভাইরাল—এ চক্রটা ভাঙাই সবচেয়ে কঠিন।
প্ল্যাটফর্ম লেবেলিং, নিয়ন্ত্রণ ও জনশিক্ষা
ডিপফেক মোকাবিলায় লেবেল, ওয়াটারমার্ক, সোর্স–প্রোভেন্যান্স—সব প্রস্তাবই আছে; কিন্তু নিয়ম এক প্ল্যাটফর্ম থেকে আরেক প্ল্যাটফর্মে বদলে যায়, প্রয়োগও অনিয়মিত। দ্রুত অপসারণ ও অভিযোগ–প্রক্রিয়া শক্ত না হলে রাজনৈতিক এআই–কনটেন্ট ফিড দখল করেই থাকবে।
ক্যাম্পেইন, ক্রিয়েটর আর নিউজরুম—সবাই জানে: ছবি–ভিডিও টেক্সটের চেয়ে বহুগুণ ছড়ায়, সত্য হোক বা না হোক। তাই আস্থা–সংকট বাড়ে; ভোটার ও সাংবাদিকদের যাচাই–খরচও দ্রুত ফুলে ওঠে।